ভারত
‘অভিমন্যুকে হত্যা করতে যেমন চক্রব্যূহ রচনা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনই চক্রব্যূহ রচনা হয়েছে বর্তমান সময়েও’
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ মাস আগে) ২৯ জুলাই ২০২৪, সোমবার, ৬:৪৯ অপরাহ্ন
দুপুর ২টা থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা। বাজেট অধিবেশন চলাকালীন সোমবার লোকসভায় মোদি সরকারকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। রায় বেরিলির সাংসদ বলেন, মহাভারতে যেমনটা হয়েছিল ঠিক তেমনই গোটা দেশ এখন চক্রব্যূহে আটকে পড়েছে। আর সেই চক্রব্যূহের প্রতীক পদ্ম বুকে বয়ে বেড়ান খোদ প্রধানমন্ত্রী। রাহুলের মতে, দেশ জুড়ে চক্রব্যুহ তৈরি করেছে সরকার, আর তার মধ্যে অভিমন্যুর মতো ফেঁসে গিয়েছেন দেশের কৃষক, মধ্যবিত্ত, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। বাজেট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে রাহুল বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম বাজেট এই চক্রব্যুহকে দুর্বল করে দেবে। কৃষক, শ্রমিকদের সাহায্য করবে ভেবেছিলাম। কিন্তু দেখলাম বড় ব্যবসায়ীরাই লাভবান হয়েছে। চক্রব্যুহ আরও পোক্ত হয়েছে। আপনারা সবসময় চক্রব্যুহ আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন, আমরা চক্রব্যুহ ভাঙার চেষ্টা করেছিলাম।” রাহুলের যুক্তি, মহাভারতের চক্রব্যূহের রাশ ছিল ছ’জনের হাতে- দ্রোণাচার্য, কর্ণ, কৃপাচার্য, কৃতবর্মা, অশ্বত্থামা ও শকুনি। বর্তমান সময়ের যে চক্রব্যূহের কথা রাহুল বলছেন, সেখানেও ছ’জনের হাতে রাশ রয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। রাহুলের মতে সেই ছ’জন হলেন- নরেন্দ্র মোদি , অমিত শাহ, মোহন ভাগবত, অজিত ডোভাল, অম্বানি ও আদানি। লোকসভার বিরোধী দলনেতার মতে, বর্তমান কালের এই চক্রব্যূহের নেপথ্য তিনটি শক্তি কাজ করছে। পুঁজির উপর একচেটিয়া অধিকারের ভাবনা, যেখানে গোটা দেশের সম্পত্তির উপর দু’জনের অধিকার থাকে।”এ ছাড়া রাহুলের যুক্তিতে, দ্বিতীয় শক্তি হল সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরের মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং তৃতীয় শক্তি হল রাজনৈতিক নেতারা। এই তিন শক্তিই চক্রব্যূহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বলে আক্রমণ শানান লোকসভার বিরোধী দলনেতা। সব শেষে রাহুল কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, “এই চক্রব্যুহের জন্য কোটি কোটি মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা এটা ভাঙবই।”
সূত্র : টাইমস নাও