শেষের পাতা
মানবজমিনকে মির্জা ফখরুল
শিগগিরই কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি
কিরণ শেখ
২৫ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে শিগগিরই বিএনপি কর্মসূচিতে যাবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্যবৃদ্ধি এবং ভারতের সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতাসহ জনসম্পৃক্তমূলক ইস্যুতে জুলাই মাসেই যুগপৎভাবে কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা ছিল সমমনাদের। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ই জুলাই থেকে যুগপৎ আন্দোলনের দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক করে দলটি। তবে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে দেশে বিশেষ অবস্থা বিরাজ করায় কর্মসূচিতে যাওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা কর্মসূচিতে যেতে পারছি না। বিশেষ অবস্থা বিরাজ করছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা কর্মসূচিতে যাবো। আমাদের গণতান্ত্রিক স্পেসটা ফিরলে আমরা নিশ্চয় কর্মসূচিতে যাবো। মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নানা ইস্যুতে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত মাসে সমাবেশ করেছে বিএনপি। সামনেও এই দাবিতে দলটি আরও কর্মসূচিতে যাবে। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি অবশ্যই আসবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের শরীর ভালো না, তার শরীর খুব খারাপ।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগ আমাদের প্রধান দাবি। আমরা বলছি, সমস্যাগুলো আসলে কেন হচ্ছে? প্রধান কারণ হচ্ছে- দেশে একটা গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত বৈধ সরকার নেই। যে কারণে আজকে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে। যার ফলে আমরা বলছি যে, দেশের এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে হলে এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো যদি সমাধান করতে হয় তাহলে শিগগিরই এই সরকারকে পদত্যাগ করে তাদের নির্বাচনে যাওয়া উচিত। এটা আমার দাবি না। এটা কিন্তু সব রাজনৈতিক দলেরও দাবি।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটিতে রদবদলের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, রদবদল চলমান প্রক্রিয়া। এটা কোনো বিশেষ ইস্যু না। একটা রাজনৈতিক দলে তার সংগঠনে কিছু পরিবর্তন হবে। কাউন্সিল হবে। নতুন সংগঠন তৈরি হবে। কার্যকরী কমিটি হবে। সুতরাং এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।
সর্বশেষ বিএনপি’র কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৬ সালের মার্চে। তিন বছর পরপর কাউন্সিল করার বিধান দলটির গঠনতন্ত্রে থাকলেও সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘কাউন্সিল’ হয় না। দেশে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক স্পেস না থাকায় দলের কাউন্সিল হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, যদি সেই অবস্থা তৈরি হয় তাহলে আমরা করবো। দেশে তো রাজনৈতিক কোনো স্পেস নাই। রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক স্পেস পাওয়া না গেলে তো কাউন্সিল করা ডিফিকাল্ট হয়। তারপরও চেষ্টা করছি, যতদ্রুত সম্ভব আমরা সেটা করবো।
নয়াপল্টনে ২৮শে অক্টোবর সমাবেশের পর গ্রেপ্তার হন মির্জা ফখরুল। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর গত মার্চে মুক্তি পান। এরপরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি। ওই সময়ই গুঞ্জন ওঠে মির্জা ফখরুল বিএনপি মহাসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করে সিঙ্গাপুরে গেছেন। এখনো এই গুঞ্জন চলমান রয়েছে। তবে এ বিষয়টি নাকচ করেছেন তিনি। বলেছেন, এ ধরনের কোনো কথা আমি কোথাও বলিনি। আমি কোনো পত্রিকাতেও বলিনি। গুঞ্জনটা আছে, কিছুসংখ্যক লোক বিভিন্ন প্রচারণা করেন। রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্পর্কে এটা হয়, অনেক রকম গুজব-টুজব ওঠে। এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। যখন আপনারা আমার মুখ থেকে শুনবেন তখন সেটা নিশ্চিত করবেন। তার আগে তো না। আর এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত আমি নেইনি।
পাঠকের মতামত
কুরবানির পর রাস্তা যেভাবে গরুর রক্তে ভেসে যায়, তেমন অবস্থা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। এই কয়দিনে এক হাজারের ওপর মানুষ শহীদ হয়েছে আন্দোলনে। সংখ্যাটা নিশ্চিত নয়, যারা রাজপথে আছেন, হাসপাতালে কাজ করছেন তাদের আনুমানিক ধারণা। সম্ভবত বৃহষ্পতি এবং শুক্রবার সবচে বেশি মানুষ হত্যা করা হয়েছে। সবচে তীব্র আন্দোলন হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং রংপুরে। আলহামদুলিল্লাহ, এত কিছুর পরেও মানুষ রাজপথ ছাড়ে নি। আন্দোলন চলছে। চলবে। জীম তানভীর
কুরবানির পর রাস্তা যেভাবে গরুর রক্তে ভেসে যায়, তেমন অবস্থা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। এই কয়দিনে এক হাজারের ওপর মানুষ শহীদ হয়েছে আন্দোলনে। সংখ্যাটা নিশ্চিত নয়, যারা রাজপথে আছেন, হাসপাতালে কাজ করছেন তাদের আনুমানিক ধারণা। সম্ভবত বৃহষ্পতি এবং শুক্রবার সবচে বেশি মানুষ হত্যা করা হয়েছে। সবচে তীব্র আন্দোলন হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং রংপুরে। আলহামদুলিল্লাহ, এত কিছুর পরেও মানুষ রাজপথ ছাড়ে নি। আন্দোলন চলছে। চলবে। জীম তানভীর
দেশের সাধারণ জনগণের মাঝে হতাশ কাজ করছে কি হবে আগামী দিনে যে ভাবে ধরপাকর করছে পুলিশ,
সরকার বিরোধী একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মহাসচিব হিসেবে তার এই সাক্ষাৎকারটিতে চলমান বহু প্রসঙ্গ থাকা উচিৎ ছিলো।তিনিই বলতে চাননি না প্রশ্নকর্তা প্রশ্ন করেন নি?দেশে রাজনীতির পাশাপাশি দেশ চরম অর্থ সংকট বিরাজ করছে।প্রধানমন্ত্রীর ভারত-চীন সফরে অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মিলেনি।এমন একটি পরিস্থিতিতে ছাত্রদের কোটা সংষ্কার আন্দোলন দেশের অর্থনীতি রাজনীতিতে সংকট আরো বাড়বে।কোটা সংষ্কার আন্দোলন ধ্বংসের সকল দায় সরকার, বিরোধী দলের কাঁধে চাপাতে চাইছে,আসলে দায় কার? সরকারের মন্ত্রীদের কথাবার্তা, উচ্চ আদালতের মন্তব্য, শুনানিতে বিলম্ব, না সরকারের পরিকল্পিত ভাবে বিরোধী দলকে অভিযুক্ত করার পুরনো কৌশল? দেশের এমন একটি পরিস্থিতিতে একটি বৃহৎ বিরোধী দলের মহাসচিবের বক্তব্য একজন নগর নেতার মতো হয়েছে।