শেষের পাতা
দেখামাত্র গুলির নির্দেশের নিন্দা জানাই: যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন ডেস্ক
২৪ জুলাই ২০২৪, বুধবার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা অব্যাহতভাবে শান্ত থাকার এবং উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়ে আসছি। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সব সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই আমরা। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পক্ষে আমাদের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। দেশ জুড়ে টেলিযোগাযোগে বিঘ্ন ঘটার চলমান রিপোর্টে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ কারণে মার্কিন নাগরিক সহ বাংলাদেশি জনগণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সক্ষমতাকে সীমিত করা হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা পুনঃস্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই আমরা। দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয়ার নিন্দা জানাই। এসব নির্দেশ প্রত্যাহার করার আহ্বানও জানাই আমরা। পরিস্থিতির প্রতি সম্মান রেখে চূড়ান্তভাবে আমি আবারো বলছি, একটি গতিশীল গণতন্ত্রের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হলো মিডিয়ার স্বাধীনতা। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের সব স্থানের সাংবাদিকদের অবাধে কাজ করার সক্ষমতা অত্যাবশ্যকীয়। নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরেক প্রশ্নে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিশ্বের সবখানে প্রতিবাদ করছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হোয়াইট হাউসের সামনে এবং টাইমস স্কোয়ারে বিক্ষোভ করছেন তারা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে, দুবাইয়ে, আমিরাতের আরও কিছু স্থানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন- এ জন্য ৫৭ জন বাংলাদেশিকে ১১ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? এবং শেষ পর্যন্ত আপনারা যেমন আহ্বান করছেন, অনুরোধ করছেন, তাতে বাংলাদেশ সাড়া দেবে বলে কি বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর ওপর ভরসা করতে পারেন? গত ১৫ বছর ধরে আমরা দেখছি, বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে একটি কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠী দ্বারা। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে যেকোনো উপায়ে তারা ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে।
জবাবে মিলার বলেন, প্রথম প্রশ্নের জবাবে আমি বলবো প্রথম রিপোর্টের বিষয়ে আমি অবহিত নই। সুতরাং এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। যখন আমার কাছে প্রকৃত তথ্য না থাকে, তখন সব সময়ই আমি এমনটা বলি। কিন্তু যখন বাংলাদেশ সরকারের বিষয় আসে, তখন এই সরকারের সঙ্গে আমরা অনেক ইস্যুতে কাজ করছি। তবুও আমাদের উদ্বেগের বিষয় পরিষ্কার করি। যেমনটা মনে করি এরই মধ্যে আবার আমরা জানিয়েছি।
মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিবাদ করায় বাংলাদেশীদের কারাদণ্ড দেয়া সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৬০ সেকেন্ড আগে আমি বলেছি সুনির্দিষ্ট এই রিপোর্টের বিষয়ে আমি অবহিত নই। সুস্পষ্টভাবে আমি এই রুম থেকে উঁকি দেইনি এবং যে সময়ের মধ্যে প্রশ্ন করা হয়েছে- সে সময়ে পড়ারও সুযোগ পাইনি। সুতরাং সুনির্দিষ্ট এই রিপোর্টের বিষয়ে আমি এখনো অবহিত নই। তাই কোনো বিস্তারিত মন্তব্য করতে পারছি না।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষয়ে আপনার কোনো মন্তব্য আছে কিনা? এমন প্রশ্নে মিলার বলেন, না। কারণ, কোটা ব্যবস্থার বিষয়ে এবং তা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, তা প্রত্যাহার করা- এসবই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদেরকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা শুধু সহিংস কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলতে পারি, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া নিয়ে কথা বলতে পারি এবং মৌলিক মানবাধিকার, মানুষের মর্যাদা এবং স্বাধীনতার বিষয়ে কথা বলতে পারি।
পাঠকের মতামত
মধ্য প্রাচ্যের মতো বাংলাদেশে বড় ধরনের এমন কোন স্বার্থ আমেরিকার নেই। আবার চীনের প্রতিপক্ষ ভারতকে অখুশি করে এমন কোন কাজ তারা করবে না।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া সকলেই জঙ্গি জঙ্গি জঙ্গি | এই দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া বাকি সকলেই রাজাকার রাজাকার এবং রাজাকার | কোটা বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে এটি পরিস্কারভাবে প্রমাণিত হয়েছে |
মার্কিন যুক্ত্রাষ্ট্রের মুখে মানবাধিকারের কথা মানায় না। তাদের মানবাধিকার নিজেদের সুবিধামত ব্যবহার ব্যবহার করে। ইসরাইল প্রতিদিন নির্মমভাবে শত শত ফিলিস্তিনী শিশু ও নারীসহ নিরীহ মানুষদের হত্যা করছে অথচ অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে মদদ দিচ্ছে, সমর্থন করছে একই সাথে ফিলিস্তিনীদের মারার জন্য অর্থ ও সামরিক অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে।
তোমরা উদ্বেগ আর নিন্দা নিয়েই থাকো।
সাত শ কবুতর খেয়ে বিড়াল হজ্বে যাওয়ার মত মন্তব্য করলো তারা। গাজায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি হত্যায় সরাসরি সহযোগিতাকারী আমেরিকার মুখে এসব রাম নাম মানায় না।