খেলা
থাইল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ জুলাই ২০২৪, বুধবার
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াইটা ছিল বাঁচা-মরার। হারলে বাদ এমন ম্যাচে জ্বলে ওঠেন বোলার-ব্যাটাররা। প্রথমে বোলাররা থাই নারীদের অল্পতে আটকে রাখে। এরপর ব্যাটাররা দাপট দেখিয়ে সেটা তাড়া করে। এই জয়ে চলতি এশিয়া কাপের সেমিতে উঠার আশা টিকে রইলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের।
সোমবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় চলতি এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে ৯৬ রানে আটকে যায় থাই নারীরা। এরপর মুর্শিদা খাতুনের ৫৫ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তবে সেমিফাইনালে উঠতে গেলে গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচও জিততে হবে বাংলাদেশকে। যেখানে জ্যোতির দলের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া।
এদিন লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকে সতর্ক ব্যাটিং করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার দিলারা আক্তার ও মুর্শিদা খাতুন। দু’জনে মিলে গড়েন ২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। ভুল বোঝাবুঝিতে দিলারা আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি। রানআউট হয়ে ফেরার আগে ১১ বলে ১৭ রান করেন তিনি।
এরপর তিন নম্বরে নামা ইশমা তানজিমকে নিয়ে নতুন করে জুটি গড়েন মুর্শিদা। দ্বিতীয় উইকেটে তারা স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৬০ রান। এতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে টাইগ্রেসদের কাছে।
ইশমা অবশ্য বেশিদূর এগোতে পারেননি। ২২ বলে ১৬ রান করে ফেরেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন মুর্শিদা। ফিফটির পর অবশ্য তাকে দ্রুতই ফিরিয়ে দেয় থাই নারীরা। তবে তার আগে ৫৫ বলে ৫০ রানের ইনিংসে দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দেন মুর্শিদা। এরপর অভিজ্ঞ রুমানা আহমেদ ও ঋতু মণি মিলে বাকি কাজটুকু সারেন। শেষ পর্যন্ত ১৭৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ঋতু মণি ৯ আর রুমানা অপরাজিত থাকেন ৫ রানে। এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করে থাইল্যান্ড। আপ্সিরা সুচরানিথি ধুঁকলেও অন্যপ্রান্তে রানের গতি বাড়ান আরেক ওপেনার নাথিয়া বোচাথাম। দু’জনের জুটিতে আসে ২৬ রান। আপ্সিরাকে ফিরিয়ে থাইল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ভাঙেন রাবেয়া খান। এই লেগ স্পিনারের ভেলকিতে আউট হওয়া আপ্সিরা করে ৬ রান।
একই ওভারে আরও একটি শিকার ধরেন রাবেয়া। তার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ৩ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা নান্নাপথ কনচারিকা। এক ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে তখন বিপাকে পড়ে থাইল্যান্ড। এরপর ঋতু মণি সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দেন। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন পানিথ মায়া। ঋতুর সুইংয়ের সঙ্গে গতির হেরফের বুঝতেই পারেননি মায়া। একপাশে অন্যরা বিদায়ের মিছিলে যোগ দিলেও রান বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন ওপেনার নাথিরা। তাকে ফিরিয়ে টাইগ্রেস শিবিরে স্বস্তি এনে দেন রাবেয়া। এর আগে নাথিয়ার ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৪০ রান। যেটা তখন থাইল্যান্ডের মোট রানের অর্ধেক। এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি তারা। থাইল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে যোগ মাত্র ১৬ রান। অভিষিক্ত জেসমিন নিজের শেষ ওভারে নেন জোড়া উইকেট। ৪ ওভারে খরচ করেন ২৮ রান। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেয়া রাবেয়া এদিন বাংলাদেশের সেরা বোলার। আরেক স্পিনার নাহিদাও ৪ ওভারে ১৪ রান দেন, তবে উইকেটের দেখা পাননি।