ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২ রজব ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

কন্যাশিশুকে নিয়ে নিদারুণ কষ্টে তাসলিমা

হাসান পিন্টু, লালমোহন (ভোলা) থেকে
১২ জুলাই ২০২৪, শুক্রবারmzamin

গৃহবধূ মোসা. তাসলিমা বেগম। কয়েক মাস আগেও স্বামী-কন্যাশিশুকে নিয়ে হাসিখুশি দিন পার করেছেন তিনি। তবে হঠাৎ করেই যেন তার জীবনে নেমে আসে কালো মেঘের আঁধার। গত ২৯শে এপ্রিল সকালে হঠাৎ আকস্মিক বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান তার স্বামী মো. হেলাল। তিনি পেশায় ছিলেন ভ্রাম্যমাণ মাছ বিক্রেতা। ভোলার লালমোহন উপজেলার নবগঠিত মোতাহারনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কচুয়াখালী আবাসনের বাসিন্দা ছিলেন হেলাল। তার মৃত্যুর পর থেকে গৃহবধূ তাসলিমা বেগমের শুরু হয়েছে নিদারুণ কষ্ট। গৃহবধূ তাসলিমা বেগম জানান, স্বামী বেঁচে থাকতে মোটামুটি খেয়ে-পরে ভালোই ছিলাম। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে আড়াই বছরের ছোট্ট একজন কন্যাশিশুকে নিয়ে খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি। এখন তিনবেলা খেতেই কষ্ট হচ্ছে। ছোট্ট মেয়ে বিভিন্ন জিনিসের বায়না ধরে। মেয়েটার সেই বায়নাও মেটাতে পারছি না। এ ছাড়া ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে আবাসনের যেই ঘরটিতে রয়েছি তাও খুব জরাজীর্ণ। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরের ভেতরে পানি পড়ে। তখন ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে নির্ঘুম থাকতে হয়। আমি সংশ্লিষ্টদের কাছে এই ঘরটি মেরামত এবং আর্থিক সহায়তাসহ চাল বরাদ্দ দেয়ার অনুরোধ করছি।
গৃহবধূ তাসলিমার শাশুড়ি আয়াতুন্নেছা বলেন, আমার ছেলে বেঁচে থাকতে নিজের সংসার চালানোর পাশাপাশি আমাদেরও প্রায় সময় সহযোগিতা করতো। তার মৃত্যুর পর থেকে আমার পুত্রবধূ এবং নাতনি খুবই অসহায় হয়ে পড়েছে। আমাদের অবস্থাও তত ভালো না। আমার স্বামী ক্ষেতে-খামারে কাজ করেন। ওই কাজের বিনিময়ে যে অর্থ পান তা দিয়েই চলছে আমাদের সংসার। তবুও পুত্রবধূ ও নাতনির কোনোভাবে খেয়ে দিন পার করতে সাধ্যের মধ্যে তাদের চালসহ অন্যান্য জিনিসপত্র দিচ্ছি। ওই গৃহবধূ তাসলিমা বেগমের প্রতিবেশী ফজিলাতুন্নেছা, শেফালী এবং এনায়েত হোসেন বলেন, হেলাল ভালোই ছিল। সে যে কাজ করতো তা দিয়ে দিন এনে দিন খেয়ে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে কিছুটা ভালো ছিল। তবে তেমন কোনো সম্পদ বা সঞ্চয় রেখে না যাওয়ায় তার মৃত্যুর পর থেকে স্ত্রী-সন্তান চরম অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছেন। এমন অবস্থায় সরকার ও বিত্তবানদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ করছি। এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, আমরা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া ওই যুবকের পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

Bangladesh Army

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status