শেষের পাতা
আরজিনার সম্পদের পাহাড়
বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
৭ জুলাই ২০২৪, রবিবার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়) বিভাগের দ্বিতীয় সচিব হিসেবে আরজিনা খাতুন চট্টগ্রাম কাস্টম
হাউসে কর্মরত থাকাকালীন কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। এসব দুর্নীতির অর্থ দিয়ে ঢাকা ও রাজবাড়ীতে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। অভিযুক্ত আরজিনা খাতুন রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার তালুকপাড়া গ্রামের আহমেদ আলীর মেয়ে।
দুর্নীতি দমন কমিশনে এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন ফেয়ার অ্যান্ড সন্স কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে মো. ইসতিয়াক আহমেদ রেজা নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগটি এখন অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে। ছাগলকাণ্ডে ফেঁসে যাওয়া মতিউর রহমানের সঙ্গে সখ্য ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এ নিয়ে রীতিমতো এলাকায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
তার বিরুদ্ধে দুদকে দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অবৈধভাবে উপার্জন করা অর্থে ৫০০ ভরি স্বর্ণ কিনেছেন আরজিনা খাতুন। তার বার্ষিক আয়কর নথিতে উল্লেখ করেছেন, বিয়ের সময় ১০০ ভরি স্বর্ণ উপহার পেয়েছেন।
শুধু তাই নয়, তিন কোটি টাকা ব্যয়ে তার আপন দুই ছোট ভাইয়ের নামে ৪০ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। বর্তমানে সেখান থেকে ৩০ বিঘা জমি বন্ধক রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আরজিনার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের তালুকপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেই টিনের ঘরটি এখন আর নেই। সেখানে আলিসান বাড়ি। গত ১০ই জুন দুদকে দাখিলকৃত অভিযোগে বলা হয়েছে, আমদানি পণ্য খালাসের নামে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের থেকে হাতিয়ে নিতেন মোটা অংকের টাকা। অনেক সময় পণ্য খালাসের কাজ না হলেও ফেরত দিতেন না ঘুষের টাকা। এভাবে দুর্নীতির টাকায় তিনি গড়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। একইসঙ্গে তিনি স্বর্ণ চোরাকারবারিদের সঙ্গে যোগসাজশে হাতিয়েছেন প্রায় ৬ কোটি টাকার স্বর্ণ।
অভিযুক্ত এ কর্মকর্তা আরজিনা খাতুন আগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার ছিলেন। এক বছর আগে চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে বদলি করা হয় তাকে। চট্টগ্রামে থাকাকালীন তার ঘুষের টাকা লেনদেনের বাহক ছিলেন তার বন্ধু আবু তাহের, অফিসের পিয়ন মো. ইলিয়াস ও গাড়িচালক শাহজাহান আকতার।
গ্রামের বাড়ি নারুয়া ইউনিয়নের তালুকপাড়ার বেশ কয়েকজন বলেন, আহম্মদ আলী একজন দিনমজুর। মাছ শিকার ও চাষাবাদ করে সংসার চলতো। ২ ছেলে, এক মেয়ে তার। মেয়ে আরজিনা খাতুন। অল্পদিনেই অনেক সম্পদ গড়ে তুলেছেন। নারুয়া বাজারে জমি ক্রয় করে ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। রাজবাড়ী ও বালিয়াকান্দি শহরে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। মাঠে ১০-১২ পাখি (২২ শতাংশ পাখি) ক্রয় করেছেন। ব্যাংকে টাকা আছে কিনা বলতে পারবো না। তবে ৩ ছেলে মেয়ে চাকরি করার পর অল্পকিছু দিনের মধ্যেই আর্থিক অবস্থা পাল্টে গেছে।
নারুয়া বাজারে জমি ক্রয় করে ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন আরজু নামে এক ব্যবসায়ীর নিকট। একজন মাহেন্দ্রচালক বলেন, আরজিনা খাতুনের মা’কে একটি ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে তার ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন হারিয়ে যায়। পরে আরজিনাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ও নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই, এটা আমার এক মিনিটের কামাইয়ের সমান নয়।
আব্দুল আলিম নামে এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন, বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা শুনছি। ছাগলকাণ্ডের মতিউরের সঙ্গে তার নাকি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। মাত্র ৩ বছরে এত সম্পদ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আরজিনা খাতুন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা ও কাল্পনিক। তার স্বামীকে তালাক দেয়ার পর থেকেই এভাবে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছে। তিনি এ বিষয়ে মামলা করেছেন। উল্টো তার বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। এখন তিনি চরম অশান্তির মধ্যে রয়েছেন। তবে দুদক ডাকলে তার জবাব দিবেন।
পাঠকের মতামত
ডিভোর্সী মহিলা মানেই তার মধ্যে গলদ আছে এটা আবারও প্রমানিত। এরপর থেকে কোন ডিভোর্সী মহিলা দেখতে পেলে সেভাবেই ট্রিট করতে হবে।
আরজিনা খাতুন যেহেতু ডির্ভোসী আমি তাকে বিবাহ করতে চাই।
আরজিনা খাতুন যেহেতু ডির্ভোসী আমি তাকে বিবাহ করতে চাই।
আরজিনা খাতুন যেহেতু ডির্ভোসী আমি তাকে বিবাহ করতে চাই।
আরজিনা খাতুন যেহেতু ডির্ভোসী আমি তাকে বিবাহ করতে চাই।
আরজিনা খাতুন যেহেতু ডির্ভোসী আমি তাকে বিবাহ করতে চাই।
আরজিনা খাতুন যেহেতু ডির্ভোসী আমি তাকে বিবাহ করতে চাই।
আরজিনা খাতুন যেহেতু ডির্ভোসী আমি তাকে বিবাহ করতে চাই।
আরজিনা খাতুন যেহেতু ডির্ভোসী আমি তাকে বিবাহ করতে চাই।
অকাম করেই এত্তো টাকা ! মহিলার স্বামীটা কি কিছুই বুঝেনি ? তার স্ত্রী কী করে এত্তো সম্পদ করতেছিলো !
শতশত ছাগল মতিউর আর আরিজনা রা দেশ টাকে গিলে ফেলেছে। সরকারি চাকরি করে মানে সরকারের সহযোগী এরা।
দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, লুটেরাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে কমপক্ষে ১ লাখ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব!
বিয়ের সময় ১০০ ভরি স্বর্ণ উপহার পেয়েছেন, আমাদের জানার খুব ইচ্ছা এই ১০০ ভরি স্বর্ণ তাকে কে দিয়েছে। রাজ কন্যাও ত হার মানবে।
লোক মুখে কৌতুক নাকি সত্য ঘটনা জানি না - তবে গল্পটি হল একজন চাকরি প্রার্থী কাস্টমস এর চাকরির ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। ইন্টারভিউর পর তাকে প্রশ্ন করা হল বেতন কত চান । চাকরি প্রার্থীর উত্তর, স্যার আমার বেতনের দরকার নাই। শুধুই চাকরির দরকার। তারপর আমি আপনাকে মালামাল করে দেব । এটি হল স্যার টাকার খনি । আপনি এতদিন চাকরি করে কিছুই করতে পারলেন না, আমাকে চাকরি দিলে আপনার দুরবস্থা রাতারাতি দূর হয়ে যাবে ।
বাংলার সহজ সরল ললনারাও কুটি কুটি টাকার ঘোষ দুর্নীতি করতে পারে ! এ যেন এক নুতন যুগের ফলক !
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ,এখন জবাভের ধরণ দেখার পালা।
মহিলারাও কি ভাবে যে কুটি কুটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন,এ কোন বাংলাদেশ ।