ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৪, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪ জিলহজ্জ ১৪৪৫ হিঃ

শেষের পাতা

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব, আইন আছে বাস্তবায়ন কম

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
২৯ জুন ২০২৪, শনিবার

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের বিবরণী জমা দেয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। পাঁচ বছর পরপর সরকারি কর্মচারীর নিজ সম্পদ বিবরণী নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়ার কথা। তবে চাকরির সেই আচরণবিধি বাস্তবায়ন খুবই কম। তাদের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থারও হিসাব নেয়ার ব্যাপারে খুব বেশি তৎপরতা নয়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশে বড় ধরনের দুর্নীতি ঠেকাতে দেশের সরকারি চাকরিজীবীদের কাছ থেকে প্রতি বছর সম্পদের হিসাব নেয়া এবং তা নিয়মিত হালনাগাদ করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে। 

মন্ত্রণালয় ঘুরে জানা গেছে, নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে সরকারি কর্মচারীর ওপর সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার ব্যাপারে কোনো চাপই নেই। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সম্পদের হিসাব জমা দিতে কড়া নির্দেশ দেয়া হলে সে সময় সব কর্মচারী তা দিয়েছিলেন। নানা দিকে আলোচনা উঠলে ২০১৫ সালে আরেক দফা সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দিতে সরকার থেকে বলা হয়। তখন গুটিকয়েক মন্ত্রণালয় তাদের নিয়ন্ত্রিত কর্মচারীর সম্পদের হিসাব নিতে পারলেও বেশির ভাগই ব্যর্থ হয়। বিশেষ করে সরকারি চিকিৎসকদের সম্পদের হিসাব চাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তখন বেশ বিপাকে পড়ে। চিকিৎসকের মধ্য থেকে এর জোরালো প্রতিবাদও ওঠে। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা এ ব্যাপারে মানবজমিনকে বলেন, আমরা প্রতি বছরই সম্পদের বিবরণ জমা দেই।

বিজ্ঞাপন
আয়কর রিটার্ন বা এনবিআরে জমা দেয়া সম্পদ বিবরণীতে প্রকৃত সম্পদ দেখানো হয় নির্দিষ্ট ছকে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব ৫ বছর পরপরই দেয়ার বিধান রয়েছে। এটি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, এটি একেবারে প্রতিপালিত হচ্ছে না-এমনটা বলা যাবে না।

সূত্রমতে, পাঁচ বছর পরপর সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার বিধান ১৯৭৯ সালে চালু হয়। দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী আছেন। চাকরিজীবীর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আচরণ বিধিমালায় এ নিয়ম যুক্ত করা হয়। তবে চার দশকের বেশি সময় ধরে এ নিয়ম পুরোপুরি কার্যকর করা যায়নি। অতীতে দেখা গেছে, বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি মন্ত্রণালয় তাদের অধীন কর্মচারীর কাছে সম্পদের বিবরণী চেয়েও তেমন সাড়া পায়নি।

এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া মানবজমিনকে বলেন, নিয়ম অনুসারে প্রতি পাঁচ বছর পর সরকারি কর্মচারী তাদের সম্পদের হিসাব জমা দেবেন। এটা বাধ্যতামূলক। আচরণবিধি না মানলে তা অসদাচরণ। এজন্য বিভাগীয় মামলা হবে। সদিচ্ছা থাকলে শাস্তি দিতে পারে। স্বচ্ছতা না থাকলে দুর্নীত বাড়বে। সরকারি কর্মচারীরা সম্পদ বাড়াবে। এ বিশেষজ্ঞ আরও জানান, পাশের দেশ ভারতে এজন্য আলাদা কর্মকর্তাই রয়েছেন। 

আচরণ বিধিমালা অনুসারে, নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার কথা। সরকারি চাকরিতে ক্যাডার রয়েছে ২৬টি। এসব ক্যাডার কর্মকর্তা তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করেন। সম্পদের হিসাবও নিজ নিজ মন্ত্রণালয়েই দেয়ার কথা। ক্যাডার কর্মকর্তার বাইরেও সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বিপুলসংখ্যক নন-ক্যাডার কর্মকর্তা রয়েছেন।
জানা গেছে, সরকারি কর্মচারীকে আচরণবিধি মানাতে না পেরে গত বছরের শেষের দিকে এ নিয়ম বদলে ফেলার উদ্যোগ নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে আচরণবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা (ধারা-১২ ও ১৩) সংশোধনের বিষয়টি সমালোচনার মুখে পড়লে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়। 

সরকারি কর্মচারী আইন (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর বিধি ১২ ও ১৩ অনুসারে সরকারি কর্মচারীর স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রি ও সম্পদ বিবরণী জমার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এমনকি জমি-বাড়ি-ফ্ল্যাটসহ যেকোনো সম্পদ কিনতে বা বিক্রি করতেও সরকারের অনুমতি নিতে হয় তাদের। সম্পদ কেনার ক্ষেত্রে টাকার উৎস সম্পর্কেও জানাতে হয়। আবার সম্পদ বিক্রি করা হলে দাম জানাতে হয়। কারণ, কমবেশি দামে সম্পদ বেচাকেনা হলো কিনা, তা যাচাই করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-৪ শাখার সূত্রগুলো বলছে, প্রশাসন ক্যাডারে চাকরিতে ঢোকার সময় নবীন কর্মকর্তারা শুরুতেই তাদের সম্পদের বিবরণী জমা দেন। প্রশাসন ক্যাডারের নবনিযুক্ত কর্মকর্তা সবাই (বিসিএস ৪১তম ব্যাচ) সম্পদের বিবরণী জমা দিয়েছেন। তবে নতুন অন্যান্য ক্যাডারদের এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য এই শাখায় নেই। ৫ বছর পরপর সম্পদের বিবরণীর জমা দেয়ার কোনো তথ্যও জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট শাখা। এই বিষয়ে সঠিক ডেটাবেইজ নেই। 

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম তার দপ্তরে মানবজমিনকে বলেন, সরকারি কর্মচারী আইন (আচরণ) বিধিমালা রয়েছে। সেখানে বলা আছে। বিধিমালার সংশোধনী চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, এটা হয়ে গেলে বিষয়টি আরও স্মুথ হবে।

যা বললেন আইনমন্ত্রী: এদিকে, চলতি বছরের ২৩শে জুন রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পত্তির যথাযথ হিসেব পেতে প্রচলিত নিয়মের বাইরে নতুন আইনের প্রয়োজন নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দেয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা চাকরিতে প্রবেশের সময় সম্পদের হিসাব দাখিল করে থাকেন। পরে সময়ে সময়ে তারা সেটা জমাও দেন। 

সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব নেয়ার পরামর্শ আইএমএফ’র: এদিকে, বাংলাদেশে বড় ধরনের দুর্নীতি ঠেকাতে দেশের সরকারি চাকরিজীবীদের কাছ থেকে প্রতি বছর সম্পদের হিসাব নেয়া এবং তা নিয়মিত হালনাগাদ করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বাংলাদেশ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থাটির কান্ট্রি রিপোর্টে সম্প্রতি এই পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এমন এক সময়ে আইএমএফ  সরকারকে এই পরামর্শ দিলো যখন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও এনবিআরের মতিউর রহমানের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়ার পর সারা দেশে সরকারি চাকরিজীবীদের দুর্নীতির ব্যাপকতা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। শুধু আইএমএফ নয়, সরকারি চাকরিজীবীদের দুর্নীতি ঠেকানোর কথা জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরাও বলেছেন। আইএমএফও বলেছে, উচ্চস্তরে দুর্নীতি কার্যকরভাবে সামাল দেয়ার বিষয়ে অসম্মতি (নন-কমপ্লায়েন্স) দেখা দিলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। সম্পদের পরিমাণ নিয়মিত হালনাগাদের জন্য একটি মানসম্মত পন্থা অবলম্বন করে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদ ঘোষণার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে হবে।

এদিকে, চলতি বছর ১৯শে মার্চ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক বিবৃতিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারি চাকরিজীবী (আচরণ) বিধিমালার প্রস্তাবিত সংশোধনী সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ও শীর্ষ পর্যায়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা ঘোষণার ঠিক উল্টো। তিনি বলেন, প্রথমে প্রতিবছর সম্পদ বিবরণী জমা দেয়ার বিধান থাকলেও সরকারি কর্মচারীদের অনীহার মুখে পরবর্তীতে শিথিল করে তা পাঁচ বছর পর পর দেয়ার বিধান করা হয়। সেই বিধানও সঠিকভাবে পালনে অনাগ্রহ ছিল। চাকরির শুরুতে সম্পদের বিবরণী দিলেও পাঁচ বছর পরপর হিসাব হালনাগাদের বাধ্যবাধকতার গুরুত্বই দেন না সরকারি কর্মচারীরা। এখন এই বাধ্যবাধকতা সরিয়ে দেয়ার অর্থ হলো প্রকারান্তরে সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে উঠতে ব্যাপক উৎসাহ দেয়া। কেন না, সম্পদের বিবরণী জমা দেয়ার মতো কোনো বিধান না থাকলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে নির্ভয়ে দুর্নীতি, এর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুযোগ বাড়বে। একইসঙ্গে প্রাপ্য সেবা পেতে সরকারি অফিসে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে, অবৈধ অর্থ লেনদেন বহুগুণে বাড়বে এবং সর্বোপরি সুশাসিত সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিতের স্বপ্ন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে তার এক প্রবন্ধে বলেছেন, ১৯৭৯ সালে প্রণীত সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার ১৩ বিধির ১নং উপবিধিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে চাকরিতে প্রবেশের সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তার অথবা তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন শেয়ার সার্টিফিকেট, সিকিউরিটি, বীমা পলিসি ও দশ হাজার টাকা বা এর অধিক সর্বমোট অলংকারাদিসহ সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে সরকারের নিকট ঘোষণা দিতে হবে। আর উপবিধি-২-এ বলা হয়েছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে ১নং উপবিধির অধীন ঘোষণায় বা সর্বশেষ দাখিলকৃত বিবরণীতে প্রদর্শিত সম্পত্তির হ্রাস-বৃদ্ধির বিবরণী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের নিকট দাখিল করতে হবে। দুই দশক পর সরকার ২০০২ সালের শেষদিকে উপবিধি-২-এ সংশোধনী এনে সম্পদের হ্রাস-বৃদ্ধির বিবরণী দাখিলের সময় ‘প্রতিবছর পর ডিসেম্বর মাস’-এর পরিবর্তে ‘প্রতি পাঁচ বছর পর ডিসেম্বর মাস’ করে। প্রত্যেক বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব দাখিলের বিধান বিষয়টির গুরুত্ব বহুলাংশে কমিয়ে দেয় এবং সরকারি চাকরিজীবীদের এ বিষয়ে অনাগ্রহী করে তোলে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দাখিল নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে তা হলো, সরকারি চাকরিজীবীর সম্পদের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের বাধ্যবাধকতা। অনেকের মতে মূল সমস্যা এখানেই। এক্ষেত্রে সম্পদের হিসাব নিতে হবে বিপুলসংখ্যক মানুষের, অন্তত ৩৫ লাখ ব্যক্তির। সরকারের এ সক্ষমতা নিয়েও তাদের প্রশ্ন রয়েছে। 
তিনি বলেন, আয়কর অফিসে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া এবং সরকারি কর্মচারীর নিজ দপ্তরে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করার উদ্দেশ্য এক নয়। আয়কর অফিসের লক্ষ্য হলো কর আদায় করা। দুর্নীতি দমন কমিশন বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা কোনো সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব না চাইলে আয়কর অফিস রিটার্নদাতার সম্পদের বৃদ্ধি নিয়ে তেমন উদ্বেগে থাকে না। অন্যদিকে সরকারি কর্মচারীর নিজ দপ্তরে সম্পদের বিবরণী দাখিলের মাধ্যমে তার সম্পদের হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা সরকারের উদ্দেশ্য। তাই একটি অপরটির বিকল্প নয়। তার ওই লেখায় আরও বলেন, সাবেক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকে বলছেন, এতে সম্পদবিবরণী দাখিলের প্রক্রিয়া আরও দুর্বল হয়ে পড়বে এবং দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, যৌক্তিকতা থাকার কারণেই বিধিমালা প্রণয়নের সময় আয়কর রিটার্ন ছাড়াও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিধান করা হয়েছিল এবং বর্তমানেও সে যৌক্তিকতা ফুরিয়ে যায়নি। বরং দুর্নীতি বৃদ্ধির কারণে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের আগে সরকারের উচিত হবে বিষয়টি ভালোভাবে ভেবে দেখা।

পাঠকের মতামত

আইনের বাস্তবায়ন থাকলে সরকারি চাকুরি করার লোক পাওয়া যাবেনা তাই আইনের যথাযথ প্রয়োগ নাই।

Md Chowdhury
২৯ জুন ২০২৪, শনিবার, ১২:৫০ অপরাহ্ন

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status