অনলাইন
সংক্রমণের মতো ছড়িয়ে পড়েছে ছেলেধরা গুজব, ভয়ে কাঁটা অভিভাবকরা!
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা থেকে
(২ দিন আগে) ২৮ জুন ২০২৪, শুক্রবার, ৪:২৩ অপরাহ্ন
![mzamin](uploads/news/main/116158_Untitled-2.webp)
ছেলেধরা’ সন্দেহে গণধোলাই ক্রমেই সংক্রমণের মতো ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে। প্রথমে বারাসত, তারপর একে একে অশোকনগর, খড়দহ, বনগাঁ, গাইঘাটা। কোথাও ভবঘুরে, কোথাও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, কোথাও অপরিচিত যুবক আর সবচেয়ে চমকে দেওয়ার মতো এক সন্তানের মাকেই ছেলে ধরা সন্দেহে গণধোলাই, হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। সর্বক্ষেত্রে সন্দেহ তারা ছেলেধরা। কড়া হাতে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাও করেছে পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই রাশ টানা যাচ্ছে না গুজবে, গণপ্রহারের ঘটনায়। সেই আবহে বারাসতের মূল ঘটনার ‘রহস্যভেদ’ করে কড়া বার্তা দিল পুলিশ। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, গুজব ছড়ালে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। বারাসতের জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া দাবি করেন, পুলিশকে ভুল পথে চালিত করতেই পরিকল্পনা করে এলাকায় ছেলেধরার উপদ্রবের মনগড়া কাহিনি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এত কিছু করেও শেষরক্ষা হল না। তদন্তে উঠে এসেছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই ১১ বছরের বালক ফারদিন নবিকে খুন করে তার চাচা আঞ্জিব নবি।
এরপর থেকেই ভাইকে শিক্ষা দিতে ভাইপোকে খুনের পরিকল্পনা করেন আঞ্জিব। ৯ জুন, রবিবার ফারদিনকে বাড়ির পিছনে নিয়ে যান তিনি। গলা টিপে খুন করেন ভাইপোকে। ফারদিনের নিথর দেহ পাশের বাড়ির পরিত্যক্ত শৌচাগারে ঝুলিয়ে দেন। ঘটনার কয়েকদিন পরে ফারদিনের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি, পুলিশ আরও জানিয়েছে, জেলা জুড়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির একের পর এক যে ঘটনা ঘটে চলেছে, তা আঞ্জিবেরই মস্তিষ্কপ্রসূত।বারাসতের ফারদিনের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই সমাজমাধ্যমে ‘ছেলেধরা’ নিয়ে ‘গুজব’ আগুনের শিখার মতো ছড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। তারপরেই বারাসত, খড়দহ, অশোকনগরে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। বারাসাত থানায় রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে ছেলেধরা গুজবের মাস্টারমাইন্ডের নাম প্রকাশ্যে আনেন বারাসাত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া ।