অনলাইন
জন্মদিনের অনুভূতি প্রকাশ করে যা বললেন ড. ইউনূস
অনলাইন ডেস্ক
(২ দিন আগে) ২৮ জুন ২০২৪, শুক্রবার, ২:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
![mzamin](uploads/news/main/116147_iunUs.webp)
জন্মদিনকে কেন্দ্র করে বিশেষ অনুভূতির কথা জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, “ওরকম কোনো অনুভূতি নাই। যেহেতু পারিবারিকভাবে কোনোদিন জন্মদিন পালন করি নাই, এই ঐতিহ্য পরিবারে নাই। যখনই জন্মদিনের কথা আসে লোকে পালন করতে চায়। আমি বললাম, জন্মদিন পালন করব না, সেদিন বরং সোশ্যাল বিজনেস ডে করবো। সেভাবে বাংলাদেশে সোশ্যাল বিজনেস ডে শুরু হয়েছে।”
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী সামাজিক ব্যবসা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন (২৮ জুন) চা বিরতির ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, এটি একটি পরিবার, এটি পারিবারিক পূনর্মিলনী। জন্মদিন যদি হয় এটা পরিবারিক অনুষ্ঠান। আমরা বৃহত্তর পরিবার নিয়ে সেটা করছি। প্রত্যেকবার আমরা সবাইকে একত্র করি। সেটা বাংলাদেশেই ৭ বছর ধরে করেছি। পরবর্তীতে সেটা বাংলাদেশে পালন করা সম্ভব হলো না।”
কেন সম্ভব হলো না? এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের হোটেল নিতে দিল না, জায়গা পেলাম না (২০১৭ সালে)।
আপনি ৮৪ বছরে পদার্পন করলেন, এর মধ্যে ৫৩ বছর কেটে গেল স্বাধীন বাংলাদেশে। বাংলাদেশ জন্মের সময় আপনার একটা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ছিল। আপনার কি ওই কথা কখনো মনে হয়?-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম ইরি ধান দিয়ে। আগে সঠিক পদ্ধতিতে ধানা লাগানো হতো না। যেখানে সেখানে ধান লাগিয়ে চলে যেত। আমরা বললাম এভাবে হবে না, ইরি ধানের চাষ করতে হবে, তাহলে ফসল বাড়বে। মানুষ ইরি ধানের নাম শোনেনি, কিচ্ছু নাই, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আসলাম মাঠে। তখন কাদা মাটির মধ্যে পা ঢুকানো প্রথম অভিজ্ঞতা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের। মানুষ খুব অবাক হয়ে গেল। এখানে এম.এ/বি.এ পড়তে এসেছে, তারা এখন মাঠে গিয়ে চাষার সঙ্গে কাজ করছে। এটা কোন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়! এটা ৭৩/৭৪ এর ঘটনা।
এর সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের সম্পর্ক কী? এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, এই একটা থেকে আরেকটা আইডিয়া আসলো। তখন দেখলাম এখানে অনেক লোক..চাষ নাই। তারা মহাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জীবন চালায়। তারা হলো চাষী, তাদের জমি নাই। তখন মনে হলো এদের জন্য কী করা যায়। তাদের জন্য করতে গিয়ে নানান কর্মসূচি আসলো।