ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৪, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪ জিলহজ্জ ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

জন্মদিনের অনুভূতি প্রকাশ করে যা বললেন ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক

(২ দিন আগে) ২৮ জুন ২০২৪, শুক্রবার, ২:১২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

mzamin

জন্মদিনকে কেন্দ্র করে বিশেষ অনুভূতির কথা জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, “ওরকম কোনো অনুভূতি নাই। যেহেতু পারিবারিকভাবে কোনোদিন জন্মদিন পালন করি নাই, এই ঐতিহ্য পরিবারে নাই। যখনই জন্মদিনের কথা আসে লোকে পালন করতে চায়। আমি বললাম, জন্মদিন পালন করব না, সেদিন বরং সোশ্যাল বিজনেস ডে করবো। সেভাবে বাংলাদেশে সোশ্যাল বিজনেস ডে শুরু হয়েছে।”

ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী সামাজিক ব্যবসা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন (২৮ জুন) চা বিরতির ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, এটি একটি পরিবার, এটি পারিবারিক পূনর্মিলনী। জন্মদিন যদি হয় এটা পরিবারিক অনুষ্ঠান। আমরা বৃহত্তর পরিবার নিয়ে সেটা করছি। প্রত্যেকবার আমরা সবাইকে একত্র করি। সেটা বাংলাদেশেই ৭ বছর ধরে করেছি। পরবর্তীতে সেটা বাংলাদেশে পালন করা সম্ভব হলো না।”
কেন সম্ভব হলো না? এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের হোটেল নিতে দিল না, জায়গা পেলাম না (২০১৭ সালে)।

বিজ্ঞাপন
আমাদের বিদেশি যারা আসছিল, প্রায় ৩৫০ জন বিদেশি অলরেডি এসে গেছে ঢাকা শহরে। তাদের কোথায় নিয়ে যাবো, কোথায় বসাবো, কোথায় আলাপ করবো? কোথাও জায়গা পাচ্ছি না। শেষে হোটেলের লবিতে আমরা আয়োজন করলাম, যেহেতু আর জায়গা পাচ্ছি না। তখন থেকে ঠিক করলাম যে দেশের ভেতরে ধস্তাধস্তি করার চাইতে..... কারণ খুব গুরুত্বপূর্ণ লোকজন এসেছিল। জাতিসংঘের লোকজন এসেছিল, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোকজন এসেছিল। তাদের  নিয়ে আমরা খুব অ্যাম্বারাস (বিব্রত) হলাম।  তাদের কথা শুনতে পারছিলাম না, যদিও তাদের কথা বলার জন্য আনছি। তখন মনে করলাম, এটা আর করা ঠিক হবে না। সেই থেকে আমরা বাইরে বাইরে করছি। দেশে অনুমতি পাওয়া যায় না।” 
আপনি ৮৪ বছরে পদার্পন করলেন, এর মধ্যে ৫৩ বছর কেটে গেল স্বাধীন বাংলাদেশে। বাংলাদেশ জন্মের সময় আপনার একটা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ছিল। আপনার কি ওই কথা কখনো মনে হয়?-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম ইরি ধান দিয়ে। আগে সঠিক পদ্ধতিতে ধানা লাগানো হতো না।  যেখানে সেখানে ধান লাগিয়ে চলে যেত। আমরা বললাম এভাবে হবে না, ইরি ধানের চাষ করতে হবে, তাহলে ফসল বাড়বে। মানুষ ইরি ধানের নাম শোনেনি, কিচ্ছু নাই, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আসলাম মাঠে। তখন কাদা মাটির মধ্যে পা ঢুকানো প্রথম অভিজ্ঞতা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের। মানুষ খুব অবাক হয়ে গেল। এখানে এম.এ/বি.এ পড়তে এসেছে, তারা এখন মাঠে গিয়ে চাষার সঙ্গে কাজ করছে। এটা কোন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়! এটা ৭৩/৭৪ এর ঘটনা। 
এর সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের সম্পর্ক কী? এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, এই একটা থেকে আরেকটা আইডিয়া আসলো। তখন দেখলাম এখানে অনেক লোক..চাষ নাই। তারা মহাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জীবন চালায়। তারা হলো চাষী, তাদের জমি নাই। তখন মনে হলো এদের জন্য কী করা যায়। তাদের জন্য করতে গিয়ে নানান কর্মসূচি আসলো।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status