ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৪, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪ জিলহজ্জ ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৫ দেশের ৮১টি গণমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করলো রাশিয়া

মানবজমিন ডিজিটাল

(২ দিন আগে) ২৮ জুন ২০২৪, শুক্রবার, ১:৫৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ পূর্বাহ্ন

mzamin

রাশিয়ার মানুষ ৮০টির বেশি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম আর দেখতে পারবেন না। মস্কোর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এ সংবাদমাধ্যমগুলো রাশিয়াবিরোধী খবর প্রচার করছে এবং ভুল তথ্য দিচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অসত্য তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও রয়েছে এ সংবাদমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে। যে গণমাধ্যমগুলো বন্ধ করা হয়েছে, তার মধ্যে ফরাসি সংবাদসংস্থা এএফপি, জার্মানির স্পিগেল, স্পেনের এল প্যারিস, অস্ট্রিয়া, ইতালি এবং ইতালির জাতীয় সংবাদসংস্থা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর ওপরও। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ দিনের সিদ্ধান্তের পেছনে মে মাসের একটি ঘটনা আছে। সে সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার চারটি গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। যার মধ্যে ছিল - ভয়েস অফ ইউরোপ, আরআইএ নিউজ এজেন্সি এবং ইজভেস্টিয়া এবং রসিয়স্কায়া গেজেটা সংবাদপত্র। অভিযোগ ছিল, ক্রেমলিনের হয়ে প্রোপাগান্ডা করছে ওই গণমাধ্যমগুলি। প্রাগের ভয়েস অফ ইউরোপও সেই তালিকায় আছে।

বিজ্ঞাপন
যারা সরাসরি পশ্চিমী বিশ্বের বিরোধিতা করে। রাশিয়া ইইউর এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছিল। ইইউর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে ‘ননসেন্স’ বলে অভিহিত করেছেন। তার বক্তব্য, যে গণমাধ্যমগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তারা কেউ প্রোপাগান্ডা মেশিন নয়। বস্তুত, রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতকে ‘যুদ্ধ’ বলার পক্ষপাতী নয় রাশিয়া। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এই সংঘাতের শুরু এবং তখন থেকেই মস্কো একে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে আখ্যায়িত করে আসছে। কেউ একে যুদ্ধ বললে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে পশ্চিমা অধিকাংশ গণমাধ্যমই একে যুদ্ধ বলছে। মস্কো জানিয়েছে, তারা এই পদক্ষেপ ফিরিয়ে নিতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ইইউ যে গণমাধ্যমগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা তুলে নিতে হবে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আমরা বার বার সতর্ক করেছিলাম। ইইউ-তে যেসব সংবাদ প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার পক্ষে কথা বলছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদের সমস্যায় ফেলা যাবে না, তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। কিন্তু ইইউ তখন সে কথা শোনেনি।  পার্লামেন্টের স্টেট ডুমার নিম্নকক্ষের স্পিকার এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন মে মাসে বলেছিলেন যে ইইউর পদক্ষেপ দেখিয়েছে যে পশ্চিমারা কোনও বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং বাক স্বাধীনতাকে ‘সহ্য করে না’।

সূত্র : আলজাজিরা

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status