শেষের পাতা
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ জুন ২০২৪, শুক্রবাররাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। সিসিইউ সুবিধা সংবলিত কেবিনে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
রোববার বিকালে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। এরপর তাকে সিসিইউতে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। খালেদা জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ৩টি ব্লক ছিল। আগে একটা রিং পরানো হয়েছিল। সবকিছু পর্যালোচনা করে বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে পেসমেকার বসানো হয়।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা গত শনি ও রোববার কয়েকদফা বৈঠকে বসে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত দেন। লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চ্যুয়ালি মেডিকেল বোর্ডের এসব সভায় যুক্ত হন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও ৭ বছরের সাজা হয় তার। তিনি তখনো পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করেন ৬ মাসের জন্য। ওই বছরের ২৫শে মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। তারপর থেকেই পরিবারের আবেদনে প্রতি ৬ মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।