ঢাকা, ২৬ জুন ২০২৪, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯ জিলহজ্জ ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

'চিকেন নেকের' সুরক্ষায় বাংলাদেশ হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন রেললাইন

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ সপ্তাহ আগে) ১৭ জুন ২০২৪, সোমবার, ৮:২০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১:২৯ অপরাহ্ন

mzamin

উত্তরে বদলাচ্ছে রেল মানচিত্র। চিকেন নেকের সুরক্ষায় এবার আঁটঘাট বেঁধে নামছে রেল। যে কারণে বাংলাদেশ তো বটেই, নেপালেও রেললাইন পাতবে ভারতীয় রেল । ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যোগাযোগ উন্নত তো হবেই, সেইসঙ্গে একাধিক রুটে যাত্রাপথ কমে যাবে অনেকটা। শিলিগুড়ি করিডোরের মধ্য দিয়ে বিদ্যমান রুট , যা সাধারণত "চিকেন নেক" নামে ( একটি ২২ কিমি-সংকীর্ণ  রুট  যার  উত্তরে নেপাল এবং দক্ষিণে বাংলাদেশ ) পরিচিত তার ওপর নির্ভরতা কমাতে ভারত তাই  একটি বিকল্প রুট তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেছে ।  বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে এই রেলপথ দেশের  বাকি অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের সংযোগ ঘটাবে। উদ্দেশ্য হল ১৯৮০ সালের ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য চুক্তিকে মাথায় রেখে  বাংলাদেশের বুকে নেটওয়ার্ক স্থাপন করে  চিকেনস নেক বাইপাস করা। ২০১৭ সালে ভারত ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান ডোকলাম অচলাবস্থার কারণে সামরিক বাহিনী এবং  বেসামরিক পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রেললাইনটি  উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে,  কারণ সংকীর্ণ করিডোরটি বিবাদ অঞ্চলের কাছে পড়ছে। আন্তর্জাতিক রেল সংযোগস্থাপনের ক্ষেত্রে ১৪টি রুট সমীক্ষায় রিপোর্টে চূড়ান্ত সিলমোহর দিয়েছে ভারতীয়  রেল বোর্ড। ইতিমধ্যে সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত ট্রেন নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।

বিজ্ঞাপন
নাথু লা পর্যন্ত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ১,২৭৫.৫ কিলোমিটার রেললাইনের যে অনুমোদন দিয়েছে রেল বোর্ড, তার মধ্যে বাংলাদেশের ৮৬১ এবং নেপালের ২৯২.৫ কিলোমিটার রয়েছে। বাকিটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের। রেল সূত্রে খবর, অধিকাংশ রুটে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলছেন, ‘রেল বোর্ডের অনুমোদন মেলায় অর্থবরাদ্দের পাশাপাশি কাজ শুরু হতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। প্রকল্পগুলি রূপায়িত হওয়ার পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে।  এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও শক্তিশালী হবে। কলকাতা থেকে ভ্রমণের সময় কমার পাশাপাশি
ভারতের উত্তর-পূর্বের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে পর্যটন কার্যক্রম বাড়বে ।’

সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া

পাঠকের মতামত

Is it our land or India's?

Mustafizur Rahman
২১ জুন ২০২৪, শুক্রবার, ৪:৩১ পূর্বাহ্ন

স্বাধীনতা.............................?

Md.Saifuuddin khaled
১৯ জুন ২০২৪, বুধবার, ৯:০১ পূর্বাহ্ন

চিকেন নেক নিয়ে চীন ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধ হলে তার আঁচড় বাংলাদেশে লাগতে বাধ্য

monowar
১৮ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার, ৮:৩১ পূর্বাহ্ন

@Hasan লেখা পড়ে মনে হয় যেন ভারতে জন্মেছেন। সব যদি ভারতীয়রাই করে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে এত চেতনাবাজি কেন?

সোহেল
১৮ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার, ৮:২৪ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের প্রতিটি নদির পানির ন্যায্য অংশ সময়মত প্রাপ্তি নিশ্চিত না করার আগ পর্যন্ত ভারতীয় কোনো অংশীদারত্ব প্রকল্পের কাজে যাওয়া বাংলাদেশের জনগনের অধিকার আদায়ের বিপক্ষে যাবে। সেই সাথে সমুদ্রবন্দর, করিডোর, ও স্থলবন্দর ব্যবহারেও বানিজ্যিক ভারসাম্য আনা প্রয়োজন। জোর করে বা আজ্ঞাবহ দালালশ্রেনীর দৌরাত্ম্যে কিছু একটা চাপিয়ে দিলে এর জের তাদেরকেই টানতে হবে। মিয়ানমারের ১৪০০ কিমি রোড প্রজেক্ট থেকে শিক্ষা নেয়া যেতে পারে।

হাবিব
১৮ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার, ৫:৫৫ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ অঞ্চলে এই রেল পথ সুরক্ষার জন্য ইন্ডিয়ান ট্রেইন্ড বাংলাদেশ ফোর্স বা ইন্ডিয়ান সিকিউরিটি ফোর্স আপদ কালিন সময়ে দায়িত্বে থাকার অপশন থাকতে হবে। বাংলাদেশ এর বিএনপি জামাত এর উপর নজরদারি রাখতে হবে। এই রেল পথ ধরে প্রতিটা আওয়ামীলীগ ইউনিট কে যে কোনো সাহায্যর জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। সবশেষে এই রেলপথ এর কাজের মেইনটেনেন্স এর কাজ বাংলাদেশি দের কাছে দেয়া যাবে না। কাজ করবে দক্ষ ভারতীয়রা বাংলাদেশিরা নয় কোনো মতে।

Hasan Khan
১৭ জুন ২০২৪, সোমবার, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

মানুষ কতকিছু ভাবে কিন্তু হয় ভিন্ন কিছুই ......

সুতা কাটা ঘুড়ি
১৭ জুন ২০২৪, সোমবার, ৯:০২ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status