অনলাইন
বোট ক্লাবের পদ ছাড়লেন বেনজীর
মারুফ কিবরিয়া
(৯ মাস আগে) ১৫ জুন ২০২৪, শনিবার, ১০:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:২৮ অপরাহ্ন

ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চিঠি পাঠিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। গত ১৩ই জুন ক্লাবের সভাপতির পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দিতে চিঠি পাঠান তিনি।
ঢাকা বোট ক্লাবের উপদেষ্টা রুবেল আজিজকে পাঠানো ঐ চিঠিতে বেনজীর আহমেদ বলেন, বর্তমানে জরুরি কাজে পরিবারের সঙ্গে আমি দেশের বাইরে আছি। এই মুহূর্তে বোট ক্লাবের দায়িত্ব পালন করতে পারছি না।
পুলিশের সাবেক এই মহাপরিদর্শক আরো বলেন, ক্লাবের যাবতীয় কাজ সম্পাদনের জন্য ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে কাউকে মনোনয়ন করা হোক।
ওই চিঠিতে এই ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নিতেও বোট ক্লাবের ইসি কমিটির প্রতি অনুরোধ জানান বেনজির আহমেদ।
২০১৪ সালে বোট ক্লাব প্রতিষ্ঠা হয়। তারপর থেকেই ২০১৫ সালে ক্লাবটির সভাপতি পদে আসীন হন তিনি। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ক্লাবের সভাপতি পদ ধরে রেখেছেন বেনজীর আহমেদ।
সাবেক আইজিপি ও র্যাবপ্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয় গত মার্চে।
এরপরই বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজে গত ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩ ও ২৬ মে বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই কন্যার নামে থাকা অবৈধ বিশাল সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধ করারও আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের নামে থাকা ৬২৭ বিঘা জমি ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ এবং ৩৮টি ব্যাংক হিসাব ও বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, শুধু দেশের ভেতরেই নয়, বাইরেও অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বেনজীর আহমেদ। অবসরে যাওয়ার পর তিনি তুরস্কে নাগরিকত্ব নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকায়। মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম প্রকল্পের আওতায়ও করেছেন বিনিয়োগ। স্ত্রী জিশান মির্জার নামে সেকেন্ড হোম করেছেন স্পেনে। এছাড়া দুবাইয়ের পাম জুমেরা ও মেরিনা এলাকায় নামে-বেনামে বেনজীরের বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টের খোঁজ পেয়েছে দুদক। দুবাইয়ের মস্কো নামের একটি হোটেলে তিনি বিনিয়োগ করেছেন বলেও তথ্য আছে সংস্থাটির কাছে।
এদিকে বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তাকারী পুলিশ কর্মকর্তা, ভূমি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ অন্যদেরও তালিকা করছে দুদক। তালিকা তৈরির পর তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করবে সংস্থাটি। তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে বলে জানিয়েছে সূত্র। ঢাকা, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় অবৈধ সম্পদের বিশাল সাম্রাজ্য গড়েছেন বেনজীর আহমেদ। এসব এলাকার ভূমি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রারদের নাম তালিকায় থাকতে পারে বলে ধারণা করছে দুদক।
পাঠকের মতামত
বাংলাদেশের বড় কর্মকর্তারা টাকা লুটপাট করে বিদেশ নিয়ে যাচ্ছে,
আমাকে বোট ক্লাবের সভাপতি নির্বাচনের জন্য সবিনয় আবেদন করছি। আমি বোট ড্রাইভ করতে জানি।
Finally he will not convicted so far. It was planned, in 13th Parliamentary Election, he will be elected (Sorry, Selected) as Member of the Parliament and next Home Minister will Mr. Dr. Benjir Ahmed. In next 4 years, many things may happen and people will busy with more other important issues - as happened in the past. This is my personal understanding. Thanks
পাহাড়িদের জমি দখলকারীরা সবাই সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ।
পরীমনি দায়িত্ব নিলে ভালো চালাতে পারবে। উনি এক্সপার্ট এই ব্যপারে।
"মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।" তারপরও মন্তব্য প্রকাশ করতে পারেন না কেন? সব হেডলাইনের মন্তব্য প্রকাশ করেন না, কিছু কিছু শিরোনামের মন্তব্য প্রকাশ করেন l বেনোজির যদি ক্ষমতায় থাকতো তাহলে এই খবরের মতামত গুলো প্রকাশ করতেন না l তারপরও মানবজমিন পত্রিকা কে ধন্যবাদ l
Etodin pore boat cluber post charlen, Kar kache handover korlen? Kivave? Kotha theke? Boro chorer kache ki handover korlen?
এইসব নাটক আর কতদিন চলবে
কোন মতামত ছাপাতে অনুরোধ করছি না। কারণ মতামত দানের যেখানে কোন স্বাধীনতাই নেই, সেখানে মতামত প্রকাশ করার যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না।
বেনজিরের সম্পদের বিবরণ পড়তে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না অথচ correspondence ঠিকই চলছে।
উন্নয়নের দশক পূর্ণ হয়নি তো বোট ক্লাব এর.... ২০৪১ সাল তো অনেক দূরে....