খেলা
হৃদয় ভাঙা হার, তবু গর্বিত নেপাল অধিনায়ক
স্পোর্টস ডেস্ক
১৬ জুন ২০২৪, রবিবার
এত কাছে তবুও কত দূরে! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নাটকীয় হারের পর নেপালি ক্রিকেটারদের মনে বোধহয় এই লাইনটাই বাজছিল। ১০ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরেছে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বড় দলকে বাগে পেয়েও হারাতে পারলো না দলটি। শেষ ওভারে ৮ রান প্রয়োজন ছিল নেপালের। শেষ পর্যন্ত তা দাঁড়ায় ১ বলে ২ রান। ওটনিল বার্টম্যানের শর্ট বল ব্যাটে লাগাতে পারলেন না গুলশান ঝা। তবে রানের জন্য ঠিকই দৌড়ালেন। কিপার কুইন্টন ডি ককের থ্রো লাগল মাঝ পিচে থাকা ঝার পিঠে। এরপর কেন যেন, দৌড়ের গতি একটু কমিয়ে দিলেন তিনি, ডাইভও দিলেন না। শর্ট মিড উইকেটেবল পেয়ে দ্রুত স্টাম্প ভাঙলেন হাইনরিখ ক্লসেন। রান আউট হলেন গুলশান! হৃদয় ভাঙলো নেপালের। তবে এমন হারের ম্যাচেও গর্বিত নেপাল অধিনায়ক রোহিত পাউডেল। গতকাল সেন্ট ভিনসেন্টে নেপাল প্রোটিয়াদের আটকে রেখেছিল ১১৪ রানে। রান তাড়ায় এক পর্যায়ে তাদের প্রয়োজন ছিল ২৪ বলে ২১ রান, উইকেট ছিল তখনও ৭টি। কিন্তু এরপর নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহের পর শেষ পর্যন্ত ১ রানে হেরে গেছে নেপাল। তিন ম্যাচে দ্বিতীয় পরাজয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল নেপালের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ১ রানে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরেসব দল মিলিয়ে ১ রানের ব্যবধানে নিষ্পত্তি হওয়া ষষ্ঠ ম্যাচ এটি। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়া ভারতও দুবার জিতেছে ১ রানে। আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার পঞ্চম জয় এটি। বিশ্বের আর কোনো দল জেতেনি দুবারের বেশি। বিশ্বকাপে এর চেয়ে কম রান করে জয়ের নজির আছে আর একটি।
নিজেদের আগের ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১৩ রানের পুঁজি নিয়ে ৪ রানে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দুই বলে দুই রান নিতে পারলে ম্যাচ জিততে পারত নেপাল। একটি রান করতে পারলে অন্তত ম্যাচ ‘টাই’ হতো, ম্যাচ গড়াত সুপার ওভারে। নেপাল পারেনি সেটিও। তবে এত বড় সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পরও আক্ষেপ নেই রোহিত পাউডেলের। বরং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দরতে এতটা চাপে ফেলা এবং জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করাকেই বড় করে দেখছেন নেপাল অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘দলকে নিয়ে আমি গর্বিত। বিশেষ করে, যেভাবে আমরা বোলিং ও ব্যাটিং করেছি। এসব নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। আমরা খুব কাছে ছিলাম, কিন্তু একটু দূরে রয়ে গেছি। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোয় আমরা ভালো করেছি, তবে যেভাবে আমরা লড়াই করেছি, তা দারুণ। আমরা যদি এরকম বড় টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলতে পারি, তাহলে পরের ম্যাচে এরকম পরিস্থিতিতে আমরা উল্টো প্রান্তে থাকব।’ নেপালে ক্রিকেট সমর্থনের নানা গল্প ও ছবি তো ক্রিকেট বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে কবে থেকেই! বিশ্বকাপেও তাদের সমর্থক ছিল গ্যালারিতে। ম্যাচ হারার পর সেই সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না রোহিত। রোহিত বলেন, ‘সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, সম্ভাব্য সেরা উপায়ে তারা আমাদেরকে সমর্থন জানাচ্ছে। অনেকেই অনেকটা পথ পাড়ি দিতে তারা এখানে এসেছে , বৃষ্টির মধ্যেও সমর্থন দিয়েছে, আমাদের পাশে থেকেছে এবং আমাদের সমর্থনে সবকিছু করেছে।’