বাংলারজমিন
দোহারে ‘বাদশা’কে নিয়ে হইচই
স্টাফ রিপোর্টার, দোহার থেকে
১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার
স্বভাবে শান্ত হলেও চলা ফেরায় যেন বাদশাহী ভাব। গরুর এমন ভাব দেখে খামারি নাম রেখেছে বাদশা। হলিস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের প্রায় ১৮ মণ ওজনের অতিশ্যাম কালো গরুটিকে লালন পালন করছেন ঢাকার দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের খামারি জসিম মোল্লা। এবারের কোরবানির ঈদে গরুটিকে ৬ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন এ খামারি। বাদশার মালিক জসিম মোল্লা বলেন, আড়াই বছর ধরে পরম যত্নে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় বাদশাকে লালন পালন করছেন। জন্মের পর থেকেই সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে বড় করা হচ্ছে গরুটিকে। খাওয়ানো হচ্ছে খড়, ঘাস, ছোলা ও মসুরের ডাল। বাদশাকে সুস্থ রাখতে প্রতিনিয়ত নিচ্ছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ। ৯ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার বাদশাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই এলাকায় হৈ চৈ পড়ে গেছে। প্রিয় বাদশাকে বিক্রি করে দিতে হবে এটা ভাবতেই বিষাদ ভর করেছে পুরো পরিবারে।
জসিম মোল্লা আরো বলেন, গরুটিকে হাট উঠাবো না। খুবই খারাপ লাগছে, কিন্তু জীবিকার তাগিদে ওকে বিক্রি করে দিতে হবে। আরেকটা গরু রয়েছে, তাকে দিয়েই বাদশা দুঃখ ভুলে থাকব। কথাগুলোর বলার সময় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন এ খামারী।
জসিম মোল্লার স্ত্রী সেলিনা বেগম বলেন, ‘একটা সন্তানকে যেভাবে আদর যত্মে মানুষ ছোট বেলা থেকে বড় করে বাদশাকেও সেভাবেই লালন পালন করেছি। সবসময় প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াইছি। পরিবারে সবাই ওর যত্ন নিয়েছি। খুবই শান্ত বাদশা। আশা ভালো একটা দামে বিক্রি করতে পারবো।’ বিশাল আকৃতির গরুটিকে এক নজর দেখতে প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছেন তাদের বাড়িতে। বাদশা দেশীয় পদ্ধতিতে বড় করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। প্রতিবেশী কুদ্দুস মিয়া বলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে কাঁচা ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে বাদশাকে। ওজনের চেয়ে বাদশার চলন বলন দেখার জন্যই আমরা এ বাড়িতে আসি।’ গরুটির বিষয়ে দোহার উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শামীম হোসেন বলেন, খামারি জসিম মোল্লাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। নিয়মিত তার গরুর খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। গরুটির আনুমানিক ওজন ১৮ মণ। আমিও আশা তরি উপযুক্ত দামে বাদশাকে বিক্রি করতে পারবেন জসিম মোল্লা।