বাংলারজমিন
বরিশালে বাবা-শিশুকন্যার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবারবরিশাল নগরীর কাউনিয়া এলাকার চারতলা ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে এক শিশু ও তার বাবার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে সন্তানকে হত্যার পরে আত্মহত্যা করেছেন বাবা। বিষয়টি তদন্ত করে বলা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে রহস্যের সৃষ্টি করেছে। পিতা ও মেয়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের বোন তার ভাইয়ের ঘরে গেলে মরদেহ দু’টি দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন- নাঈম হাওলাদার ও তার সাড়ে ৫ বছরের মেয়ে রাবেয়া বসরী রোজা। নাঈম বরিশাল নগরীর কাউনিয়া পানির ট্যাংকি এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি উজিরপুরের বরাকোঠা এলাকার শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে এবং একটি কোম্পানির গাড়ির চালক ছিলেন। স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে নাঈমের সঙ্গে তার স্ত্রী কণার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এছাড়া তাদের শিশুকন্যাকে নিয়ে প্রায়ই দু’জনের মধ্যে মোবাইলফোনে কলহ লেগে থাকতো। উভয়েই কন্যা রোজাকে দাবি করতেন। একটি সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে নাঈমের স্ত্রী কণা মোবাইলে জানান, ‘১২ই জুন তিনি বরিশাল আসছেন রোজাকে নিতে’। এরপরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন নাঈম। ধারণা করা হচ্ছে, সকালে নাঈম তার শিশুকন্যাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর তিনি নিজেই নিজের গলাকেটে আত্মহত্যা করেন। নাঈমের মা নাছিমা বেগম জানান, তিনি অসুস্থ থাকায় শুয়ে ছিলেন। নাঈমকে তার বোন ডেকে তুলতে গিয়ে তাদের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। বাড়ির মালিক পলাশ বলেন, তারা ২ মাস হবে বাসা ভাড়া নিয়েছেন। নাঈমকে মানসিকভাবে টেনশনে থাকতে দেখা যেত। আমি ঘটনাটি দেখে পুলিশকে খবর দেই। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাসান মো. শওকত আলী বলেন, আমরা বাবা ও মেয়ের মরদেহ পেয়েছি। দু’জনেই গলাকাটা অবস্থায় ছিল। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে বলা যাবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সিআইডি কাজ করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে নাঈমের স্ত্রী দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল এসে পৌঁছেছেন। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা গেছে।