ভারতের বিপক্ষে ‘ভারতীয়দের’ লড়াই

প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নেমে স্বপ্নের মতো সময় কাটছে যুক্তরাষ্ট্রের। কানাডা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে টানা দুই জয় পেয়েছে তারা। অন্যদিকে শিরোপা জয়ে অন্যতম ফেভারিট ভারতও প্রথম দুই ম্যাচ জিতেছে। আজ নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাত সাড়ে ৮টায় মাঠে গড়াবে এই দুই দলের ম্যাচ। আজ জিতলেই সুপার এইট নিশ্চিত হবে যেকোনো একটি দলের। এই ম্যাচটি ভারতের বিপক্ষে ভারতীয়দের, এমনও বলা যায়! 
যুক্তরাষ্ট্র দলে রয়েছেন এমন ৮ জন ক্রিকেটার, যারা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। শুধু তাই নয় অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন অন্তত ৪ জন। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দলটির প্রথম একাদশে ছিলেন ছয়টি দেশে জন্ম নেয়া ক্রিকেটারেরা। সব থেকে বেশি পাঁচ জন ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এরপর মধ্যে জয়ের নায়ক পেসার সৌরভ নেত্রবালকার তো ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপও খেলেছেন। 
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই ফর্ম টেনে এনেছে বিশ্বকাপেও। প্রথম ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে তারা পায় রেকর্ড গড়া জয়। এরপর তো রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে দলটি। 
অধিনায়ক মোনাংক প্যাটেল দারুণ ছন্দে আছেন। প্রথম ম্যাচে ইনিংস বড় করতে না পারলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন দারুণ এক ফিফটি। মিডল অর্ডারে অ্যারণ জোন্স, নিতীশ কুমাররাও ফর্মে আছেন। আর বোলিংয়ে সৌরভ নেত্রবালকার, আলি খানরা প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠছেন। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে সহজ জয় পাওয়া ভারতকে অবশ্য দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার মাত্র ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় তারা। সেটা তাড়া করতে নেমে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিলো পাকিস্তান। তবে জাসপ্রীত বুমরাহ ও হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬ রানের রোমাঞ্চকর জয় পায় রোহিত শর্মার দল। ভারতের জন্য চিন্তার বিষয় বিরাট কোহলি! জাতীয় দলে ৩ নম্বরে ব্যাটিং করলেও গেল আইপিএলে ওপেনিংয়ে ৭৪১ রান করার পর ভারতের জার্সিতেও তাকে ওপেনিং করানো হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যর্থ এই ব্যাটার। কোনো ম্যাচেই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দলের জন্যই এটি সুপার এইট নিশ্চিত করার ম্যাচ। ইতিহাস, ঐতিহ্য শক্তিতে ভারত এগিয়ে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে পাকিস্তানকে হারানোর পর থেকে সবার নজরে এসেছে তারা। এরপর আবার ঘরের মাঠ, যদিও নাসাউ মাঠে ঘরের মাঠের সুবিধা পাওয়া নিয়েই সন্দেহ আছে। কারণ মাত্র ৬ মাস আগে কাজ শুরু হওয়া মাঠে বিশ্বকাপ দিয়েই খেলা শুরু হয়েছে।
এই মাঠের উইকেট ব্যাটারদের জন্য ভয়াবহ! ভারত-পাকিস্তান ও বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচেই লো স্কোরিং ম্যাচ হয়েছে। ভারত ১১৯ ও আফ্রিকা ১১৩ রান করেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। ফলে টস এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে জয় পেতে হলে দুই দলের ব্যাটারদের বাড়তি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।