ভারত
পশ্চিমবঙ্গে মুখ পুড়লো বিজেপির 'মুখ' শুভেন্দু অধিকারীর, ফের ভরাডুবি বামেদের
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা থেকে
(৪ মাস আগে) ৪ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার, ৪:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গের ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর মতামতকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন বলে বিজেপির অন্দরেই আলোচনা ছিল। কিন্তু গোটা দেশে বিজেপির শক্তিক্ষয়ের দিনে বঙ্গেও বড় ধাক্কা খেয়েছে পদ্মশিবির। সেই ধাক্কার পরে বিজেপিতে শুভেন্দুর ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই নির্বাচনে বিজেপি ভাল ফল করলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ‘মুখ’ হয়ে উঠতে পারতেন শুভেন্দু। কিন্তু ফলের যে ইঙ্গিত, তাতে মুখ তো দূরস্থান, মুখরক্ষা করাই মুশকিল বিরোধী দলনেতার! শুভেন্দুর সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে মেদিনীপুর আসনে অগ্নিমিত্রা পাল এবং বর্ধমান-দুর্গাপুরে দিলীপ ঘোষ পিছিয়ে পড়ার কারণে। এটা সর্বজনবিদিত যে, শুভেন্দুর ইচ্ছাতেই দিলীপকে তার জেতা আসন থেকে অন্যত্র সরিয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পদ্মশিবিরের অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু ‘গোঁ’ ধরে বসে না থাকলে মেদিনীপুরে পিছিয়ে পড়তে হত না। রাজ্যের সবচেয়ে সফল সভাপতি দিলীপকেও আনকোরা আসনে গিয়ে পরাজয়ের মুখে পড়তে হত না। বিজেপির ‘আদি’ নেতারা বলছেন ,শুভেন্দুর জন্যই রাজনীতিতে এসেই জয় পাওয়া এবং অন্যদের জেতানো দিলীপ ঘোষকে হারানোর ছক করেই অন্য আসনে পাঠানো হয়েছিল।
অন্যদিকে বাম কর্মীদের আশা-ভরসায় কার্যত জল ঢেলে পশ্চিমবঙ্গের কোনও লোকসভা কেন্দ্রেই দাঁত ফোটাতে পারেননি প্রার্থীরা। সকালে ভোট গণনা শুরুর সময় মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে মহম্মদ সেলিম কিছুটা এগিয়ে থাকলেও বেলা বাড়তেই কার্যত নিচে নামতে থাকেন। ভোট শতাংশের হিসাবে রাজ্যে বিশেষ কিছু ফায়দা করতে পারেনি বামেরা। অন্যদিকে ‘বন্ধু’ কংগ্রেস মালদহ দক্ষিণে এগিয়ে থেকে কিছুটা যেন মুখ রক্ষা করছে। তবে রাজ্যে যে বাম কংগ্রেস দাগ কাটতে পারল না তা স্বীকার করে নিলেন প্রবীণ বাম নেতা অশোক ভট্টচার্য। বললেন, “বিজেপি বিরোধীতায় রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের বদলে মানুষ তৃণমূলকে বেছে নিয়েছে। কিন্তু, কেন রাজ্যে বাম-কংগ্রেস দাগ কাটতে পারেনি।” খানিক আত্মসমালোচনার সুরে বললেন, “রাজ্যে বাম-কংগ্রেস কেন মুখ থুবরে পড়ল তা দল খতিয়ে দেখবে। রাজ্যের মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের বদলে তৃণমূলকে বেছে নিয়েছে।”
বাংলাদেশের মানবজমিন, প্রথম আলো ও ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার নিয়মিত পাঠক আমি। বিগত পাঁচ বছর খবরের বিশ্লেষণ করে আমি যা বুঝেছিলাম শুভেন্দু রাজনৈতিক আদর্শে নয় বরং বিজেপির বিজয় দেখে ক্ষমতার স্বাদ নিতে মুদির তোষামোদ কারি হিসাবে কাজ করেছেন। এলাকার জনগণ সরাসরি তার কার্যকলাপ দেখে যাচাই করে তারা সঠিক রায় দিয়েছেন।