ভারত
আনারের দেহ খুঁজতে কলকাতার বাগজোলা খালে নামানো হলো ডুবুরি
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা থেকে
(১ বছর আগে) ৪ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:২০ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারের মৃতদেহ এখনও উদ্ধার সম্ভব হয়নি। এরইমাঝে সাংসদের দেহাংশ উদ্ধারের জন্য বাগজোলা খালে নামানো হলো ডুবুরি ও ডিএমজি। সাংসদের ব্যবহৃত কোনও জামা, জুতো, পোশাক কিছুই উদ্ধার হয়নি। তাই সিআইডির পক্ষ থেকে খালে তদন্তের জন্য ভারতীয় নৌসেনার সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। এরপরই এদিন নৌসেনার তিনজন ডুবুরি আসেন কৃষ্ণমাটিতে। ডিএমজির সঙ্গে তারা বাগজোলা খালে তল্লাশি শুরু করে। গত ১২ মে কলকাতায় এসেছিলেন আজিম আনার। ঘনিষ্ঠ এক সোনা ব্যবসায়ীর বাড়িতে উঠেছিলেন তিনি। এরপর ৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর জানা যায় তাকে খুন করা হয়েছে। নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে পেশাদার খুনি এনে তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ১৩ তারিখ একটি ভাড়ার গাড়িতে বেরিয়েছিলেন তিনি। এরপরই এই ঘটনা। যত সময় এগিয়েছে, এই ঘটনায় সাংঘাতিক সব তথ্য উঠে এসেছে। যার পরতে পরতে নৃশংসতা। খুনের দুই অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর ও ফয়জল মাথার অংশটি লোপাট করে বলে খবর। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে ওই অভিযুক্তকে না নিয়ে আসতে পারার কারণেই কোন জায়গায় ওই অংশটি লোপাট করা হয়েছে, তা নিয়ে সিআইডি এখনও বিভ্রান্ত। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, খুনের পরের দিন, ১৪ মে একটি ট্রলিতে করে সাংসদ আজিমের মাথা ও মাংসের টুকরোর অংশ নিয়ে নিউ টাউনের আবাসন থেকে বেরিয়ে আসে দুই খুনের অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর ও ফয়জল। তার আগে অভিযুক্ত কশাই জিহাদ সাংসদের মাথার খুলি ভেঙে ফেলে তা-ও কয়েক টুকরো করে দেয়। ফয়জলের কাছ থেকে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা জেনেছেন, তারা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ সীমান্তের কাছে যশোর রোডের পাশে একটি জায়গায় সাংসদ আজিমের দেহের ওই অংশ ফেলে আসে।কিন্তু ঠিক সেই জায়গাটি কোথায়, তা নিয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দা ও সিআইডিও ধন্দে।
পাঠকের মতামত
লাশ নিয়ে নিচের বিভ্রান্তিকর তথ্য :- ১। প্রথমে শুনলাম পোস্টমর্টেম করার জন্য লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২। লাশ স্যুটকেসে ভরে লিফট দিয়ে নামিয়ে বাহিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভিডিও দেখানো হলো। ৩। লাশ কিমা করে কমোডে ফ্লাস করা হয়েছে। ৪। সেপটিক ট্যাংকে মাংসের টুকরো পাওয়া গেছে৷ ছবি দেখলাম। ৫। এখন আবার বাগজোলা খালে লাশের সন্ধানে নামানো হলো ডুবুরি। আরও কত কি! অথচ পরিধেয় কাপড় চোপড়ের কোন সন্ধান নাই। সত্য ঘটনা কেউ কি বলবেন?