ঢাকা, ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ

পিয়াস সরকার
২৬ মে ২০২৪, রবিবার
mzamin

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর হাতে গড়া স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান গণ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টি নানা জটিলতায় হারাতে বসেছে জৌলুস। বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রয়েছে পিএইচডি জালিয়াতিসহ মর্জিমতো নিয়োগের অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে হয়েছে আন্দোলন। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। নিয়োগ দিয়েছেন একাধিক আত্মীয়স্বজনকেও। নিজের বিপক্ষে কথা বললেই হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। 

পিএইচডি ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও তা দেখিয়েই চাকরি নিয়েছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ। এমন অভিযোগ করেছেন তার সহকর্মীরা। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভিভাবক প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনেও (ইউজিসি) দেয়া হয়েছে লিখিত অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে চাকরিও ছেড়েছেন। সেইসঙ্গে অভিযোগ আছে, ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়টি সামনে আনায় নানা ধরনের হুমকির মুখে পড়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। চাকরি পর্যন্ত হারাতে হয়েছে।

জানা যায়, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে পিএইচডি করেছেন বলে দাবি করতেন। যখন তার জালিয়াতির বিষয়টি চাউর হয় তখন থেকে তিনি আর নামের আগে ড. লিখছেন না। শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হলে রেজিস্ট্রার উচ্চবাচ্য করেন এবং তাদের প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন। বর্তমান রেজিস্ট্রার সেইসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানারকম মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেন। কয়েকজন শিক্ষক তার নানারকম অত্যাচারে গণ বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যান। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের পদ ধরে রাখতে দুজন ডিন আর কতিপয় শিক্ষককে নিয়ে একটি চক্র গড়ে তুলেছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিনদ্বয়ের পিএইচডি ডিগ্রি নেই। অভিযোগ রয়েছে দুটি অনুষদেই পিএইচডি আছে এমন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও, যাদের পড়াশুনা গবেষণার সঙ্গে সম্পর্ক নেই তাদেরকেই ডিন বানানো হয়েছে। কলা এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আগের ডিন মো. রফিকুল আলমের যে শুধু পিএইচডি নেই তা নয়, সামান্য গবেষণাও নেই। তিনি দেড় বছর ডিন থাকার পর তার জায়গায় অধ্যাপক নীলুফার সুলতানাকে ডিন করা হয়। তারও পিএইচডি নেই। গবেষণাও নেই। 

ইতিপূর্বে তার স্বাক্ষরে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আমিন আহমেদকে বহিষ্কার করা হয় সনদপত্র সঠিক ছিল না বলে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হতে পিএইচডি ডিগ্রি আবশ্যক নয়। এ বিষয়ে ইউজিসি বলছে, পিএইচডি না করে কোনোভাবেই নামের আগে ড. উপাধি ব্যবহার করা যায় না। 
২০২০ সালের ১২ই আগস্ট এস তাসাদ্দেক আহমেদকে গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ড রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেয়। ওই নিয়োগপত্রে তার নামের আগে ড. লেখা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চিঠিসহ ইউজিসির ওয়েবসাইটেও তার নামের আগে ড. ব্যবহার করতে দেখা যায়। জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খবির উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে তাসাদ্দেক আহমেদ পিএইচডি’র জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। তার রোল নং ৬২ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১০৭৪। পিএইচডি’র থিসিসের বিষয় ছিল Extent of Environment Friendly Agricultaral Practices and Farmers, Empowerment through Integrated pest Management (IPM)। তবে ভর্তি হলেও ওই পিএইচডি তিনি শেষ করেননি। পিএইচডি’র বিষয়টি সামনে আসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট উজ্জ্বল আকন্দের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে তাকে বরখাস্তও করা হয়। এরই মধ্যে ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে রেজিস্ট্রার তাসাদ্দেক আহমেদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও পিএইচডি জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ তুলে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। 
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিঠি যাচাই করে দেখা গেছে, ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তাসাদ্দেক আহম্মেদ নিজে পিএইচডি করেছেন বলে দাবি করতেন। বিভিন্ন চিঠিতে তার নামের আগে ড. ব্যবহৃত হতো। কিন্তু সেই বছরের ডিসেম্বর থেকে তিনি আর সেটি ব্যবহার করছেন না। ইউজিসি’র ওয়েবসাইটেও তার নামের আগে ড. পদবি মুছে ফেলা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তি কিংবা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা না নিয়েই তিনি রেজিস্ট্রার অফিস, ভিসি অফিস, হিসাব বিভাগ ও ভেটেরিনারি বিভাগসহ নানা অফিসে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে ৩৪ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে শিক্ষকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের অর্থ। দীর্ঘ ২০ বছর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেছেন সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন কোনো কারণ ছাড়াই স্বল্প নোটিশে তার চাকরি চলে যায় তাসাদ্দেকের নির্দেশে। 

গণ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরিষদের পক্ষ বেশকিছু দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো- পিএইচডি সনদ জালিয়াত রেজিস্ট্রার তাসাদ্দেক আহমেদকে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার উপস্থিতিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না। সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশন ফি যথাক্রমে ৬ হাজার ও ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে যা বাতিল করে একটা যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে। তাসাদ্দেক অর্থের বিনিময়ে নিজের মেয়ের জামাইসহ আত্মীয়স্বজনদের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দিয়েছেন তা বাতিল করে তাদের বহিষ্কার করতে হবে। ইতিমধ্যে জমি ক্রয়, বাস ক্রয়, ও অন্যান্য খাতে যেসব আর্থিক চুরি হয়েছে তা তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্যাগী ও পরিশ্রমী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সহকর্মী গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে আগত প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে কর্মরত কর্মীদের জোরপূর্বক অবসরে পাঠানো বাতিল করে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। 

অভিযোগ মতে, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পেয়েই কর্মরত লোকদের অনেককে চাকরিচ্যুত করে নিজের পছন্দের লোকদের চাকরি দিচ্ছেন রেজিস্ট্রার এবং ভিসি। তাসাদ্দেক আহমেদ ২০২০ সালে থেকে দায়িত্ব নেয়ার পরে অবৈধভাবে ও অনিয়মিতভাবে যাদের নিয়োগ দিয়েছেন তাদের মধ্যে ছোট মেয়ের জামাই, যার কোনো শিক্ষকতার ও গবেষণার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই, অথচ সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান পদে সরাসরি নিয়োগ দিয়েছেন, তার অন্য কারও ২টি গবেষণাপত্র নিজের নামে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছেন ভাতিজির জামাই আইন বিভাগের শিক্ষক মো. তৌহিদুল ইসলাম। আসরাফুন্নাহার রীতু, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা (আপন ভগ্নি); মো. সাইদুর রহমান, সহকারী হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা (ভাতিজা); হুমায়রা আহম্মেদ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (ভাতিজি); আসফাক আহম্মেদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভাতিজির জামাতা), ভর্তি অফিসে কর্মরত আসফাক (ভাতিজির জামাতা), জুরিহা রুমাইয়া আলম জ্যোতি, সহকারী লাইব্রেরিয়ান (ভাতিজির বান্ধবী); মেহেদী হাসান মারুফ, ল্যাব সহকারী (বড় মেয়ের জামাতার ভাগ্নে)। 

মো. শাহ আলম, সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ ও ফুয়াদ হোসেন, সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক বায়োকেমিস্ট্র্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ সার্বক্ষণিক রেজিস্ট্রারের আশপাশে থাকেন। তারা নির্ধারিত ক্লাস বাদ দিয়েও রেজিস্ট্রারের টেবিলে বসে থাকায় অন্য শিক্ষকরা তাদের জরুরি কাজে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে আলাপ করার সুযোগ পান না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় কমিটিতে তাদের নাম রয়েছে। এগুলো হলো- নিয়োগ কমিটি, নির্মাণ কমিটি, ক্রয় কমিটি, প্রক্টর কমিটি, প্রমোশন কমিটি, ভর্তি কমিটি, টেন্ডার কমিটি, কোটেশন কমিটি, ক্লিনার ও মাঠকর্মী কমিটি। এরই মধ্যে তারা করেছেন বিপুল সম্পদ। ফুয়াদ শেখ বিভাগীয় প্রধান হয়েছেন কিন্তু এই বিভাগেই দুইজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী ছিলেন। তারা ফুয়াদ শেখের থেকেও অন্তত ১৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি সুইমিংপুলের স্থান বড় দেখিয়ে টেন্ডার করা হয়। ২০২২ ল্যাব  কেমিকেলে আগুন ধরে যায়। এরপর জানা যায়, ল্যাবের জন্য কেনা পণ্য ছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ। এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান ড. নীলয় কুমার দেবকে সরিয়ে দেয়া হয়। এই ক্রয় কমিটির সদস্য ছিলেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পণ্য ‘তাকওয়া’ নামের একটি কোম্পানি থেকে কেনা হয়েছিল।

অভিযোগ রয়েছে, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ফার্মের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ছয় শতাংশ বোরো ক্ষেত ধানি জমি ক্রয় করে সেখান থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের পাঁচ শতাংশ বোরো ক্ষেত ধানি জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ক্রয় করেও রেজিস্ট্রার নিয়েছেন অনৈতিক অর্থনৈতিক সুবিধা। 

এ ছাড়াও পূর্বে তিনি কৃষি ক্যাডার এসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। ২০১৫ সালের জুনে তাসাদ্দেকের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল। যা এখনো চলমান রয়েছে। 
নানারকম দুর্নীতির দায়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। চলতি বছরের ১২ই মে ঢাকার ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নগর হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ভুয়া পরিচয়সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তারা রেজিস্ট্রারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপসারণের দাবি জানান। 

জানা যায়, ট্রেজারারের নানা অভিযোগের বিষয়ে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে গত ১২ তারিখে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির তদন্ত চলমান রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহ আলম ও বায়োক্যামিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের ড. ফুয়াদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।  বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি অধ্যাপক আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত। বর্তমানে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্ত চলা অবস্থায় কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এস তাসাদ্দেক আহমেদ বলেন, আমি এখন ড. লিখি না। এ ছাড়াও আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকে পছন্দ করেন না তারাই এসব মিথ্যা অভিযোগ করেন। নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়োগ হয় বোর্ডের মাধ্যমে। আমি তো চাইলেই নিয়োগ দিতে পারি না। ভিসি স্যারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সমন্বয়ে বোর্ডের মাধ্যমেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

 

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status