প্রথম পাতা
বথুয়ায় আপ্লুত ড. ইউনূস
‘আঁর লাই দোয়া রাইখ্যো’
স্টাফ রিপোর্টার ও চবি প্রতিনিধি
১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
দেড় যুগ পর নিজ পিতৃভূমে গিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে হাটহাজারীর বাথুয়া গ্রামে গেলে মুহাম্মদ ইউনূসকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় গ্রহণ করেন এলাকাবাসী। নিজ ভিটে ঘুরে উত্তরসূরিদের কবর জিয়ারতের পর গেলেন গ্রামের ছোট্ট মাঠে। যেখানে তার জন্য অপেক্ষায় সহস্রাধিক মানুষ। বাথুয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যেও এদিন আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা যায়। কারণ এ গ্রামের নাম বিশ্বদরবারে পরিচয় করিয়েছেন ড. ইউনূস। উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে এদিন আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য রাখেন সরকারপ্রধান। বলেন, ভালা অইলো বেগ্গুনের লগে দেয়া অইলো। আইজ্জা আসছিলাম যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন সভা আছে। আশা করি ভবিষ্যতে আরও আসা-যাওয়া অইবো। আঁরলাই দোয়া রাইখোন বেগ্গুনে।
গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘অনন্য অবদানের’ জন্য তাকে সম্মানসূচক ‘ডি.লিট’ ডিগ্রি দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার তার হাতে ডি.লিট ডিগ্রির সনদ তুলে দেন। এরপর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা। যেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানান। বলেন, সেই নতুন বিশ্ব গড়ার সক্ষমতা আমাদের আছে, যেটা আমরা গড়তে চাই। তিনি বলেন, বর্তমানে যে সভ্যতা গড়ে উঠেছে, তা ‘ধ্বংসাত্মক অর্থনীতির’ সভ্যতা। আমরা যে অর্থনীতি দাঁড় করিয়েছি, তা মানুষকেন্দ্রিক নয়, ব্যবসাকেন্দ্রিক। এই ব্যবসাকেন্দ্রিক সভ্যতা আত্মঘাতী এবং এটা টিকবে না। অনুষ্ঠানে নিজের অতীত স্মৃতি স্মরণ করে ইউনূস বলেন, ১৯৭২ সালে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেই। দীর্ঘদিন পর এখানে এসে আনন্দিত।
চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ’৭৪ সালে বিরাট দুর্ভিক্ষ হলো। সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেল। মনের মধ্যে বহু জিজ্ঞাসার সৃষ্টি হলো। মনে মনে ভাবলাম, পুরো বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ ঠেকানোর ক্ষমতা তো আমার নাই, আমি চেষ্টা করতে পারি, এই বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র অংশের, কয়েকটি পরিবারের যদি দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারি, তাহলে সেটা আমার জন্য তৃপ্তির বিষয় হবে যে, আমি একটা কিছু করেছি। নারীদের ঋণদানের বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলোর পর যে কাজটা শুরু করলাম, সেটা মহিলাদের খুব পছন্দ হলো। মহিলাদের হাতে ঋণ দিলাম, ৫, ১০, ২০ টাকা। এটাতেই তারা যে এত খুশি হতে পারে জানা ছিল না, কোনোদিন ভাবিওনি। আমি যে একেবারেই টাকা দিয়েছি তাও না, তাদের বললাম আমার টাকা কাজ করে, রোজগার করে ফেরত দিতে হবে। তাতেও তারা খুশি। সভা-সমিতিতে বললাম, লেখালেখিতে বললাম- ঋণ মানুষের মানবিক অধিকার। মানুষ হাসাহাসি করলো। আপনি ঋণের কথা বলেন, অধিকারের কথাও বলেন- এটা কী ধরনের কথা! অর্থনীতিতে তো অধিকারের বিষয় নেই। অনেক খটকা, তা-ও আবার মানবিক অধিকার, একটা খটকার পর আরেকটা খটকা। তিনি আরও বলেন, আশা করি এই বিশ্ববিদ্যালয় যেন সবসময় এটা স্মরণ রেখে তার পাঠদান, গবেষণা কর্মসূচি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য চালু রাখে। আমরা শুধু খণ্ডিত বিষয়ে গবেষণা করার জন্য নিয়োজিত নই, আমাদের প্রত্যেকটি গবেষণার পেছনে একটিই উদ্দেশ্য, তা হলো সমস্ত বিশ্ব আমাদের মনের মতো করে সাজাতে হবে। আমাদের যদি সেই লক্ষ্য না থাকে তাহলে এগুলো গন্তব্যবিহীন শিক্ষাতে পরিণত হবে। পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আমাদের হাতে, আমরা কী ধরনের বিশ্ব, সমাজব্যবস্থা এবং শিক্ষাব্যবস্থা চাই সেটাই মুখ্য। তিনি বলেন, ঋণ মানুষের মানবিক অধিকার। আগামীর অর্থনীতির ভিত্তি হবে মানুষ। কোনোদিন নোবেল পাবো এটা মনে আসেনি। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমার শুরুটা এখান থেকেই। কোনোদিন নোবেল পাবো- এটা মনে আসেনি। আমি আমার কাজ করে গেছি।
সমাবর্তনে ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সমাবর্তন সভাপতি ও চবি ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করেছি। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার জীবনের অর্জনগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক রয়েছে। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। দীর্ঘ ৯ বছর পর দেশের সর্ববৃহৎ চবি’র সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ২২ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী। গ্রাজুয়েট ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পদচারণায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ সময় বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিনসহ প্রমুখ।
চট্টগ্রাম বন্দর চালাতে হলে আমাদের লোকই চালাবে: প্রধান উপদেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর চালাতে হলে আমাদের লোকই চালাবে। আমাদের লোকদের শিখিয়ে দিলে খুব সহজে শিখে নেবে। বন্দর বড় হবে, ক্যাপাসিটি বড় হবে। আজ সই করে দিলেও পাঁচ বছর লাগবে। ফুল স্পিডে কাজ শুরু হবে পাঁচ বছর পর। আমাদের লোকজন এর মধ্যে অভিজ্ঞ হবে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমবারের মতো নিজ জেলা চট্টগ্রামে এসেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সকাল সোয়া ৯টার দিকে তিনি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান চট্টগ্রাম প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা। চট্টগ্রাম বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। শুরুতেই তিনি দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৫ নম্বর ইয়ার্ডে বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। ছোট্ট হৃৎপিণ্ড, তার মধ্যে রোগাক্রান্ত। রক্ত সঞ্চালন হবে না। বন্দর নামের হৃৎপিণ্ড বিশ্বমানের হতে হবে। অর্থনীতি সচল হবে। সারা দেশের জিনিস এখান দিয়ে বিদেশে চলে যাবে। বন্দর আরও আছে। কিন্তু এখান থেকেই সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রিত হবে। পৃথিবীর সেরা বন্দরগুলোকে ডাকা হয়েছে। এ হৃৎপিণ্ড পরিবর্তন না করে দেশের অর্থনীতি পরিবর্তন করতে হবে। নেপালের হৃৎপিণ্ড নেই। আমাদের হৃৎপিণ্ড দিয়ে তাদেরও চলতে হবে। তারাও লাভবান হবে আমরাও লাভবান হবো। এ হৃৎপিণ্ড বাদ দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অর্থনীতির রক্ত সঞ্চালন হবে না।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি পাল্টাতে হবে। তাহলে চট্টগ্রাম বন্দর ভরসা। এটা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন অধ্যায়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ পথ খুলতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের মতো দেশে একটা বন্দর কয়েকটা টার্মিনাল নিয়ে কথা বলছি। এ রকম ২০-৩০টা বন্দর টার্মিনাল অনেক দেশের আছে। আমাদের হৃৎপিণ্ড দিয়ে রোগী বেশিদিন টিকবে না। কাজেই এটাকে শক্তিশালী করতে হবে। এটাই চ্যালেঞ্জ। ভারতে স্বাস্থ্যের জন্য দলে দলে যান না! নেতারা সিঙ্গাপুরে, ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে। বন্দর- এখানে কেউ আসতে পারবে না। আমাদের চিকিৎসা দিতে হবে। সেরা চিকিৎসক দিতে হবে। এ হৃৎপিণ্ড ক্রমাগত শক্তিশালী ও বৃহত্তর হবে। আমাদের বড় ডাক্তার দিয়ে কাজ করতে হবে। এর জন্য টাকা-পয়সা খরচ হবে না। বিল্ড অপারেট ট্রান্সফার পদ্ধতিতে তোমরা বানাও অপারেট করো, আমাদের হস্তান্তর করো। দুনিয়ার সেরা প্রতিষ্ঠান যখন বানাচ্ছে তাদের রোজগার করে টাকা তুলতে হবে। তারা আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে বানাবে। তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে। তারা যন্ত্র বানিয়ে দেবে, তাদের মেয়াদ শেষে আমরা চালাবো। আমাদের টাকা লাগলো না। আমরা প্রযুক্তির শেষ মাথা থেকে শুরু করলাম।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, দ্রুত চুক্তি সই করে ফেলতে পারি। কাজ শুরু করতে পারি। আর অপেক্ষার সুযোগ নেই। ডাক্তারদের হাতে ছেড়ে দিই। যাতে যেটুকু পেয়েছি তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো করতে পারি। যাতে বাংলাদেশিদের স্মরণ করে। সেই গোপন রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারি। চট্টগ্রাম সওদাগরদের শহর। নৌকা নিয়ে, পালতোলা জাহাজ নিয়ে কে কোথায় চলে যাবে। পর্তুগিজরা এসেছিল। আমিও দোকানে বসেছি। তারা দেশ-বিদেশে যাবে, ব্যবসা করবে। ছোটবেলায় দেখেছি জাহাজ বোঝাই ধান, চাল আসতো। আমাদের রক্ত হলো সওদাগরের রক্ত। এদের হাতে ছেড়ে দিলে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা দুনিয়ায় তারা ছড়িয়ে যাবে। আমাদের রক্তের ভেতরে আছে, ঐতিহ্যের ভেতরে আছে। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। বিশাল অর্থনীতি হবে যদি চট্টগ্রাম বন্দরের হৃৎপিণ্ড বিশাল হয়। যেকোনো ব্যবসায়ী এসে এখানে বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বেগে পরিবর্তন হবে।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রথমেই প্রধান উপদেষ্টা এখন সার্কিট হাউসে রয়েছেন। সার্কিট হাউসে তিনি কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের দলিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন তিনি।
দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে সার্কিট হাউস ত্যাগ করবেন ড. ইউনূস। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সমাবর্তনে ২০১১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২২ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থীকে সনদপত্র দেয়া হবে। এ অনুষ্ঠানে ২০১৫-২৫ সালের ২২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হবে। চবি কর্তৃপক্ষ ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং বিশ্ব জুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডিলিট ডিগ্রি দেবে।
পরে হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন করার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। সেখানে তিনি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, এলাকাবাসীর সঙ্গে সময় কাটাবেন। সন্ধ্যায় বিমানে চট্টগ্রাম ত্যাগ করার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
পাঠকের মতামত
এই দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ আন্তরিক ভাবে আপনার সুস্থ শরীর ও দীর্ঘায়ুর জন্য আল্লাহর নিকট অবিরাম প্রাথনা করিতেছে।
আপনার জন্য সবসময় ভালবাসার ও মন থেকে আমাদের দোয়া থাকবে স্যার।
Thank you. Well done. Best regards.