ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ‘সংকটজনক’: আর্টিকেল নাইনটিন

স্টাফ রিপোর্টার

(১১ মাস আগে) ২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ৮:০৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৩:১১ অপরাহ্ন

mzamin

বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ‘সংকটজনক’ শ্রেণিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বের ১৬১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৮তম, স্কোর ১২। গত ১০ বছরে এই স্কোর কমেছে ৮ পয়েন্ট। সংস্থাটির ‘বৈশ্বিক মতপ্রকাশ প্রতিবেদন-২০২৪’-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য উপস্থাপন করেন আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম। ২০১৭ সাল থেকে সংস্থাটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এবারের প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার বিশ্বজুড়ে একযোগে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে ২৫টি সূচক ব্যবহার করে ১৬১টি দেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পরিমাপ করা হয়েছে। এসব সূচককে ছয়টি বড় ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। সূচকগুলোর বিপরীতে ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত মতপ্রকাশ স্কোর নির্ধারণ করা হয়েছে। স্কোরের ভিত্তিতে ‘সংকটজনক’, ‘অতি বাধাগ্রস্ত’, ‘বাধাগ্রস্ত’, ‘স্বল্প বাধাগ্রস্ত’ ও ‘মুক্ত’- এই ৫টি শ্রেণিতে দেশগুলোকে ভাগ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মতপ্রকাশ স্কোর বা জিআরএক্স স্কোর মাত্র ১২। ৫ বছর ধরে বাংলাদেশের এই স্কোর ১১ ও ১২ এর মধ্যে আটকে আছে। গত দুই যুগে বাংলাদেশের স্কোর কমেছে ৩২ পয়েন্ট। বৈশ্বিক অবস্থানে বাংলাদেশ ১২৮তম। ২০২২ সালে এই অবস্থান ছিল ১৩০তম। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ নম্বরে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

এতে বলা হয়, ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪৪, যেটি মতপ্রকাশের শ্রেণিগত দিক থেকে ‘বাধাগ্রস্ত’ হিসেবে বিবেচিত। ‘বাধাগ্রস্ত’ থেকে ‘অতিবাধাগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবনমন হয় ২০০৬ সালে। পরের বছর আরও ১০ পয়েন্ট কমে স্কোর নেমে আসে ২৯-এ। এর পরের দুই বছর (২০০৮ ও ২০০৯ সালে) স্কোর ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৩৪-এ উন্নীত হলেও পরবর্তী বছরগুলোতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। ২০১৪ সালে স্কোর ৪ পয়েন্ট কমে ১৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো মতপ্রকাশের ‘সংকটজনক’ শ্রেণিতে ঢুকে পড়ে। যা থেকে বাংলাদেশ এখনও উত্তরণ ঘটাতে পারেনি।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের জন্য ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। সমালোচনা গ্রহণ করার সংস্কৃতি দেশে গড়ে ওঠেনি। ক্ষমতার রাজনীতির হাতে মতপ্রকাশ জিম্মি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নজরদারি ও সভা-সমাবেশ করার অধিকারের দিক থেকে বাংলাদেশ পিছিয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, স্কোর থেকে ভয়াবহতা বোঝা যায় না। সরকারের মনস্তত্ত্ব হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলা। সরকার সত্যিকারের গণতান্ত্রিক হলে বিরুদ্ধ মত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

পাঠকের মতামত

তোরা যে যা বলিস ভাই আমার ক্ষমতা চাই নইলে...................

দেশ আমার
২২ মে ২০২৪, বুধবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

এসব শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা, কথায় চিরা ভিজে না।

A R Sarker
২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ৯:১৩ অপরাহ্ন

আমাদের কোন অপরাধবোধ নেই। অতসব স্কোর ফিস্কোর আমাদেরকে প্রভাবিত করে না।

NP
২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ৮:৫৬ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status