ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৪ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

শেষের পাতা

বিদ্যুতের ইউনিট ৩ টাকার বেশি হতে পারে না- বিডি রহমতুল্লাহ

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ মে ২০২৪, রবিবার
mzamin

পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিডি রহমতুল্লাহ বলেছেন, আজকে একটা বিষয় সুস্পষ্ট যে, আমরা ন্যায্য মূল্যে বিদ্যুৎ চাই। সরকার আজকে  চুরি করার পরে যে ট্যারিফ (ইউনিট) নির্ধারণ করেছে তা ১১ থেকে ১২ টাকা। আমি আপনাদের হিসাব করে দেখিয়ে দিতে পারি এটা ৩ টাকার বেশি কখনো হতে পারে না। গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় পড়ে ১ টাকা ৭৮ পয়সা। এখানে কোনো নতুন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়নি, সব পুরাতন। তাহলে ১২ টাকা কেন বলা হচ্ছে? তেল, ফার্নেস অয়েল ও কয়লার কথা বলা হয়েছে। এগুলো দিয়েই কি ১৩ টাকা হয়ে যাবে? অসম্ভব। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির একটি মিলনায়তনে ‘বিদ্যুৎ: আলো থেকে অন্ধকারে যাত্রা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য। দলটির সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাখখারুল ইসলাম নবাব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. জাহেদ উর রহমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার।  

বিডি রহমতুল্লাহ বলেন, যেখানে ৫৫ শতাংশ গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে, সেখানে ১ টাকা ৮০ পয়সা যদি হিসাব করেন তাহলে কতো হবে? ৩ থেকে ৫ টাকা। এখানে তারা বেশ কয়েকটি হিসাব দেখিয়েছে। তিনটা কয়লার পাওয়ার স্টেশন তারা বসাচ্ছে। এস আলম, আজিজ খান, পায়রাতে চায়না বাংলা ফ্রেন্ডশিপ এবং রামপালে ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ।  চাইনিজ পাওয়ার স্টেশনের হিসাব দেখিয়ে তিনি বলেন, যদি প্রতি মেগাওয়াটে আমরা কয়লাতে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরি, যদি এটা ১২শ’ মেগাওয়াট হয় তাহলে ৭২০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। সেখানে তারা প্রতি মেগাওয়াটে কয়লাতে খরচ দেখিয়েছে ৪২ কোটি টাকা। আমরা কীভাবে সহ্য করবো এগুলো? এই বেশি টাকা কেন আমরা দেবো? সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকায় প্রতি মেগাওয়াটে যে পাওয়ার স্টেশন বানানোর কথা, সেটা তারা ৪২ কোটি টাকা দিয়ে বানাচ্ছে। 

 তিনি বলেন, যদি জনগণের সরকার আসে, আমি সোচ্চারে তাকে বলতে চাই, যত কয়লা ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশন হয়েছে ওইদিনই আমরা তা ভেঙে ফেলবো। এই জিনিসগুলো তৈরি করা হয়েছে শুধু টাকা লুটপাটের জন্য না, এটা থাকলে আমাদের আরও ক্ষতি হবে। আমি এই দেশে কয়লা পাওয়ার স্টেশন বানাবো না। সারাবিশ্ব তাই-ই করছে। আপনারা খবর নিয়ে দেখেন, কয়লাভিত্তিক পাওয়ার স্টেশনের জন্য যে চারটি দেশ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, চায়না এবং ভারত- তাদের সমস্ত পাওয়ার স্টেশন ২০৩০ সালের মধ্যে বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য যে জ্বালানি থাকতে হবে, তার ১০০ ভাগ আমাদের কাছে আছে। আমরা জ্বালানি দিয়ে নবায়নযোগ্য এনার্জি তৈরি করতে পারি। এখন সম্প্রতি সোলারভিত্তিক পাওয়ার স্টেশন হচ্ছে, যা ১৫০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াটের।

পাঠকের মতামত

আমি একমত, আমার এক কাজিন ১টা পাওয়ার প্লান্টের সহকারী হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত।

অতিরি
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন

দাম বাড়িল সব জিনিসের দাম অমিল জীবনের

মোঃ খায়রুল ইসলাম
১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ৭:৪৪ অপরাহ্ন

বাজার মূল্য বৃদ্ধির সাথে বেতন বাড়ানোর জন্য কাউকেই উচ্চবাচ্চ করতে শুনা যায় না। সব কিছুরই দাম বাড়ার জন্য দুর্বল বাজার ব্যাবস্থাপনার সাথে সাথে টাকার ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়াও দায়ী। ক্ষমতাসীনদের বাজার ব্যাবস্থাপনা উন্নত করতে হবে ও টাকার ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবার সাথে বেতন বৃদ্ধির হার নির্নয় করার ফর্মুলা বেড় করতে হবে। শুধু বাংলাদেশ বা দরিদ্র দেশ দেশগুলিই নয়, সম্পদশালী দেশগুলির সাধারণ আয়ের মানুষ সবাই অর্থের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবার জন্য সমস্যায় আছে।

ওবাইদুল
১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ৫:৩৯ অপরাহ্ন

আমরা আছি ভোরের আলোর অপেক্ষায় , অপেক্ষার সময় অনেক ... দীর্ঘ, অনেক কষ্টের ।

Salith Khan
১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ৭:৫২ পূর্বাহ্ন

সরকার উনাকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী করলে এ সরকার‌ও জনগণের সরকার হয়ে যাবে, আমরা জনগণেরাও সস্তায় তিন টাকায় বিদ্যুৎ পাবো। সরকার যত দ্রুত এ কাজটি করবেন দেশ ও দশের তত‌ই মঙ্গল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ৭:৪৭ পূর্বাহ্ন

hi country !!!!

motiur rahman
১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status