অনলাইন
হরতালের ৪র্থ দিন
বিক্ষোভ থামাতে পিওকে-তে ২৩ বিলিয়ন রুপি অর্থ সাহায্য ঘোষণা পাক প্রধানমন্ত্রীর
মানবজমিন ডিজিটাল
(৬ মাস আগে) ১৪ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে(পিওকে) এখনো পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। অস্বাভাবিকহারে কর বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিল, মুদ্রাস্ফীতিসহ একাধিক বিষয়ে পাক সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে শুক্রবার প্রতিবাদে নামে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনতা। সেই ধর্মঘট আজ পঞ্চম দিনে প্রবেশ করেছে। বেহাল অবস্থা সামাল দিতে সোমবার এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পিওকে-তে ২৩ বিলিয়ন রুপি অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করল পাক সরকার। বিতর্কিত এই অঞ্চলটিতে পুলিশ এবং অধিকারগোষ্ঠীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ইতিমধ্যেই একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য। শুক্রবার থেকে এই অঞ্চলে ধর্মঘটের জেরে জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ পরিস্থিতি সম্পর্কে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ ছিলেন, বিক্ষোভকারীদের এবং আঞ্চলিক সরকারের মধ্যে আলোচনা ভেস্তে যাবার পর অবিলম্বে বিক্ষোভকে প্রশমিত করতে তিনি অর্থ সাহায্য ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অপ্রত্যাশিত প্রতিবাদ এবং এর সংবেদনশীলতার কারণে প্রধানমন্ত্রী শরীফ সোমবার একটি বিশেষ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন যেখানে পিওকে প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক, স্থানীয় মন্ত্রীরা এবং শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শরীফ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ২৩ বিলিয়ন রুপি অনুমোদন করেছেন। ফেডারেল মন্ত্রী এবং জোটের দলগুলোর নেতারাও বৈঠকে অংশ নেন, যেখানে পরিস্থিতির বিশদ পর্যালোচনা করা হয়। কাশ্মীরের নেতারা এবং সমস্ত অংশগ্রহণকারীরা শেহবাজকে তার সিদ্ধান্তের জন্য প্রশংসা করেছেন বলে জানিয়েছে পিএমও। পিওকে-তে এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে রয়েছে জম্মু কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি (JAAC), যার নেতৃত্বে রয়েছে এই অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশের ব্যবসায়ীরা। তারা এই অঞ্চলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনুযায়ী বিদ্যুতের ব্যবস্থা, ভর্তুকিযুক্ত গমের আটা এবং অভিজাত শ্রেণীর সুযোগ সুবিধার অবসান চেয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন।
JAAC এর কোর কমিটি এবং এই অঞ্চলের মুখ্য সচিব দাউদ বারেচের মধ্যে আলোচনা অমীমাংসিতভাবে শেষ হওয়ার পরে মুজাফফরাবাদে JAAC পদযাত্রার ঘোষণা করে ।বিক্ষোভকারীরা ইতিমধ্যেই পিওকে-এর বিভিন্ন স্থানে কোহালা-মুজাফফরাবাদ রোড বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। দোকানপাট বন্ধ রাখারও আর্জি জানানো হয়েছিল।
এদিকে প্রতিবাদ রুখতে বিভিন্ন জায়গায় পাক রেঞ্জার্স ও পুলিশবাহিনী মোতায়েন করে ইসলামাবাদ। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে নড়েচড়ে বসেছে পাক সরকার।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস