বাংলারজমিন
সিংগাইর উপজেলা
এমপি’র দুই খলিফা একে-অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী নিশ্চুপ মমতাজ বেগম
রিপন আনসারী, মানিকগঞ্জ থেকে
২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবাররাজধানী ঢাকার অতি কাছের একটি উপজেলা সিংগাইর। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে এখানে চলছে নানান পলিটিক্স। ক্ষমতাসীন দলের সাবেক এমপি ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের ১৫ বছরের রাজত্ব হাতছাড়া হয়ে গেছে গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। নির্বাচনের আগে নানান আলোচনা সমালোচনায় নিজ দলের নেতাকর্মীদের চরম বিরোধিতার মুখে পড়েন মমতাজ বেগম। নিজ দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বেফাঁস কথা তার পরাজয়ের অন্যতম কারণ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর রাজত্ব চলছে এখন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এখানে মাত্র তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিন জনের দু’জনই বর্তমান সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন খলিফা হিসেবে পরিচিত।
এদের একজন হচ্ছে হাজী আব্দুল মাজেদ। তার রাজনৈতিক পদবি হচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধি হিসেবে উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের একাধিক বারের চেয়ারম্যান। তার প্রধান প্রতিপক্ষ নিজ দলের অন্যতম নেতা সায়েদুল ইসলাম।
প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর দুই খলিফা হাজী আব্দুল মাজেদ এবং সায়েদুল ইসলাম দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে মানিকগঞ্জ জেলার মধ্যে সিংগাইর উপজেলাটি সবদিক থেকেই গুরুত্ব বহন করে থাকে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি’র একক আধিপত্য ছিল। এখানে জেলা বিএনপি’র সভাপতি আফরোজা খান রিতার অনুসারী রয়েছেন বিএনপি’র সিংহভাগ নেতাকর্মী। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আফরোজা খান রিতা।
গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও বিএনপি ভোট বয়কট করার ঘোষণায় এখানকার বিএনপি ঘরানার লোকজনের মধ্যে ভোটের মাঠে কোনো সাড়া-শব্দ নেই। সবমিলিয়ে এই উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হিসাবনিকাশ এবং রাজনৈতিক জটলায় রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।