বাংলারজমিন
পুঠিয়ায় ১০ চাকার ট্রাক গিলে খাচ্ছে কোটি টাকার সড়ক
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসন এবং থানার সঙ্গে ট্রাক মালিকদের সমঝোতায় উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ট্রাক্টর ও ১০ চাকার ডাম্প ট্রাকগুলো পুকুর খননের মাটি পরিবহন করছে। এতে গ্রামীণ সড়কগুলো নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এতে সড়কে মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। শিলমাড়িয়ায় ইউনিয়নে (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের একজন প্রভাবশালী নেতার ৭ জন অনুসারী মিলে একটি পুকুর খনন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। অবশ্য তাদের টাকা দিলে পুকুর খনন করতে দেয়া হচ্ছে। এদিকে প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা হলে কোনো জরিমানা হয় না। আর সমঝোতা না হলেই জরিমানা হয় বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গত ১৮ই এপ্রিল রাতে পুঠিয়া-দুর্গাপুরের পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিজে পুকুর খননকারী দু’টি ভেকু এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসীর রোষানলে পরে পুলিশের গাড়িসহ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে পালাতে বাধ্য হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় মোট ৬৪৫ কিলোমিটার সড়কপথ রয়েছে। এরমধ্যে পাকা সড়ক রয়েছে ৩৩৪ কিলোমিটার। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের এবং থানা পুলিশের সঙ্গে সমঝোতা করে পুকুর খননের কাজ চলছে। পুকুর খননকারীদের মাটি পরিবহন কাজে নিয়োজিত প্রতিদিন অর্ধশতাধিক ১০ চাকার ডাম্প ট্রাক ও ট্রাক্টর উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোতে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। বেশির ভাগ ট্রাকের আবার লাইসেন্স নম্বর নেই। এলাকার মানুষ উপজেলা প্রশাসান এবং পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ এবং চুক্তি করে পুকুর খনন করছে। নিচু স্থানের মাটি ভরাট এবং ইটভাটার মাটি বিক্রির হোতা হলো নাটোর জেলার সান্টু এবং নয়ন। এরাই সংশ্লিষ্টদের সবার সঙ্গে চুক্তি করে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রি করছে।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাজশাহীতে থাকার কথা বলে ফোনের লাইন কেটে দেন। এ ব্যাপারে ইউএনও একেএম নুর হোসেন নির্ঝর বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ডাম্প ট্রাকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে জরিমানা করেছি। আগামীতে আরও কিছু ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। তবে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে পুকুর খনন করা বন্ধ হবে না।