প্রথম পাতা
‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের’ বিরুদ্ধে মামলায় যাচ্ছে মন্ত্রণালয়
শরিফ রুবেল
২১ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার
মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন। ছলচাতুরী। এনআইডি সংশোধন। বাবা-মায়ের নাম পরিবর্তন। বয়স ও যুদ্ধক্ষেত্রে সাক্ষীতে কারসাজি। স্থানীয় এমপিদের সুপারিশ। এমন নানা কৌশলে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম উঠিয়েছিলেন ৮ হাজারের বেশি। খসড়া যাচাই-বাছাইয়ে ধরা পড়ে অনেক অসঙ্গতি। নড়েচড়ে বসে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। পরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ধরতে যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। প্রতিটি জেলা-উপজেলায় প্রায় ৫ বছর যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকা থেকে ভুয়াদের বাদ দিতে জামুকায় লিখিত প্রতিবেদন পাঠায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। জামুকা সেই তালিকা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠালে মন্ত্রণালয় তাদের বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে। বাতিল করা হয় সকল সুযোগ-সুবিধা। ভাতা সুবিধাও কেড়ে নেয়া হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রায় ৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করলেও প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সনদ নেয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি তাদের মধ্যে যারা সরকারি ভাতা গ্রহণ করেছে সেই টাকাও ফেরত আনার কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা দেয়নি। এ নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন সেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক উপসচিব মানবজমিনকে বলেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দ্রুতই জেলা-উপজেলায় এ তালিকা পাঠানো হবে। তারা যে ভাতা ভোগ করেছেন তা ফেরত আনা হবে। কেউ মারা গেলে তাদের পরিবারের সুবিধাভোগী সদস্যদের এই টাকা ফেরত দিতে হবে। আবার কেউ যদি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ব্যবহার করে যেকোনো সরকারি সুবিধা বা ছেলেমেয়ের চাকরি নিয়ে থাকেন তাও বাতিল করা হবে। এই বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করা হবে। তবে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ফিরে পেতে মামলা করেছেন। এটা আমাদের কাজে একটু বাধা সৃষ্টি করবে। অনেকে উচ্চ আদালতের আদেশ নিয়ে এসেছেন। আমরাও আইনিভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করবো।
মন্ত্রণালয়ের গেজেট শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সম্প্রতি ৮ হাজারের মতো গেজেট বাতিল করা হয়।
আইনজীবীরা বলছেন, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারি সুবিধা ভোগ করা অপরাধ। আর ফৌজদারি আইনের ৪১৬ ধারা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিলে তাও অপরাধ। এ ছাড়া মিথ্যা তথ্য দেয়ার জন্য ৩ বছরের জেল এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেখিয়ে ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিলে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। হতে পারে অর্থদণ্ডও। মন্ত্রণালয় যদি চায় তাহলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে। তবে সংখ্যায় বেশি হওয়ায় সেটা সময় সাপেক্ষ হবে।
জানতে চাওয়া হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক মানবজমিনকে বলেন, ভুয়া তথ্য দিয়ে যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন, তারা ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। তারা পার পেয়ে গেলে, এমন কাজ অন্যরাও করতে উৎসাহিত হবেন। ভুয়াদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ফেরত এনে তারা অতীতে যত সুবিধা পেয়েছেন সব বাতিল করতে হবে। সন্তানরা চাকরি পেলে তাও বাতিল করতে হবে। আর মুক্তিযুদ্ধ না করেও কীভাবে তারা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আসলেন? এই সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত। এই ধরনের গাফিলতি মোটেও মেনে নেয়া যায় না।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শাস্তির বিষয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক সম্প্রতি বলেছিলেন, ভুয়া প্রমাণ হওয়ায় ৮ হাজার জনকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। শাস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এখন আমরা মন্ত্রণালয় চালাবো নাকি আদালতের বারান্দায় বারান্দায় দৌড়াবো। তবে শুক্রবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি মানবজমিনকে বলেন, ভুয়াদের তালিকা বাতিলের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বলতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমরা এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। আমরা মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মামলা করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির মানবজমিনকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ভুয়া শব্দটি অসম্মানজনক। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শাস্তি নিশ্চিতে মন্ত্রণালয়ের কাজ করতে হবে। ‘আমরা মন্ত্রণালয় চালাবো নাকি আদালতের বারান্দায় বারান্দায় দৌঁড়াবো’ এমন কথা যদি মন্ত্রী বলে থাকেন, তাহলে এটা দুঃখজনক। মন্ত্রীতো আর কোর্টে যাবেন না। মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব আইনজীবী আছে তারা লড়বেন। আর যারা বিপুল পরিমাণ টাকা খেয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করেছে তাদের আগে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এদের সকলকে জেলে দিতে হবে। উপজেলা জেলা থেকে যারা এদেরকে সুপারিশ করেছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আর অবশ্যই এই প্রতারকদের সকল সুবিধা বাতিল করে তাদের দেয়া টাকা ফেরত আনতে হবে। কয়েকজন সচিব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছিল। পরে ধরা পড়লে তাদের সনদ বাতিল করা হয়। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে আমি তাদের রোষানলে পড়ি। ওই চক্র আমার একটি বিল ৭ বছর আটকে রেখেছিল। এই হলো অবস্থা তাদের বিষয়ে বলে লাভ নেই। আমার অপরাধ ছিল কেন আমি ওই সচিবদের বিরুদ্ধে বললাম।
৫ সচিবের আজো বিচার হয়নি-
সাবেক স্বাস্থ্য সচিব এম নিয়াজ উদ্দিন মিয়া, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন সচিব এ কে এম আমির হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম তালুকদারের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ নেয়ার অভিযোগ ছিল। পরে সরকারের এই পাঁচ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয় ২০১৪ সালে। ওই বছরের ২২শে সেপ্টেম্বর তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। বাতিল করা হয় সাবেক সচিব এবং প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তৎকালীন বেসরকারীকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের সনদও। সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ার পর তাদের স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। তবে ৭ বছরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ছিল। তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
পাঠকের মতামত
এখনো যে সকল প্ৰকৃত মুক্তিযোদ্ধাৱা তালিকায় আসতে পাৱে নাই তাদেৱ কি হৰে ?অনেকে আপিল কৱে জামুকায় ঝুলে আছেন তাদেৱ মৰ্জিৱ উপৱ।জামুকাৱ ঘুষতোলা চামচা উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটিৱ দূৰ্ৱনীতিৱ কাৱণে আজ আসলৱা বাদ আৱ নকলৱা ফায়দা লুটছে ।প্ৰথম এদেৱকে ধৱুক সব ৰেৱিয়ে আসবে ।আসলে সৱিষাতেই ভূত আছে
অনেক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তাদের ছেলেমেয়েদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি -সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ দেয়া- মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্লট নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। এখন এদের কি বিচার হবে। ব্যটাতো কাম সাইরা মইরা গেছে!!!!!!
পুরো উপজেলার মানুষ স্বীকৃতি দেয় আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন উপজেলা যাচাই বাছাই করে ক তালিকা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, তবুও জামুকায় তা বাদ দিয়ে দেয় , অথচো কোন তালিকায় নাম না থেকেও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেল অনেকেই, একজন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী দীর্ঘদিন একই পদে থেকেও একটি সঠিক সচ্ছ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা করতে পারলেন না।
একজন দুর্ধর্ষ বুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাই আপনার দের মাধ্যমে আমি কি এটাকে সাকসেসফুল হবো বা সহযোগিতা করবেন আপনারা সম্পূর্ণরূপে ডিটেলস প্রমাণ রয়েছে সে যেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা
"কাজ নাই তো খই ভাজ।" উল্টারে পাল্টা, পাল্টারে উল্টা- এই কাজ চলমান থাকবে, আবার ঠিক হয়ে যাবে। ঘোরাঘুরি ও খরচাপাতি হবে।
ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম প্রকাশিত করার দাবি জানাচ্ছি ।
How did Manik became a freedomfighter
আমার ধারণা এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে। কোনো কোনো এলাকায় বাছাই কমিটির সংশ্লিষ্টগণ উৎকোচ গ্রহন করে ভূয়াদের বীর মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন। এরা ভাতা, বোনাস,ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করেছে। কেউ কেউ ইতোমধ্যে মারাও গিয়েছে। এদের দায় পরিশোধ করবে কে? ভূয়াদের সন্তান সরকারি ,আধা সরকারি, রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে। অনেকের শুধু এক তালিকায় নাম আছে। ভারতীয় তালিকা এবং গ্রহণযোগ্য তালিকা ব্যতীত অন্যদের জন্য নিরপেক্ষ, শক্তিশালী যাচাই-বাছাই কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন করা আবশ্যক। আর অবৈধভাবে রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে এবং তাদেরকে যারা সহযোগিতা করেছে উভয়ের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
আমার আব্বা একজন জেনুইন মুক্তিযোদ্ধা যেটা আমি জন্মের পর থেকে জানি.. অথচ তিনি জীবিত অবস্থায় কোন সার্টিফিকেট পায় নাই এবং এই দুঃখ নিয়ে তিনি গত ৯ই ফেব্রুয়ারি ২২ সালে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন......!! আমাদের পরিবারের একটাই দুঃখ যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আমরা কোন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাই নাই.
আমাদের জাতীয় দাবী, ত্রিশ লক্ষ শহীদ, দু লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম বিনষ্ট, এক কোটি পরিবারে ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে ধ্বংস,- এভাবেতো এক কোটি ৩২ লক্ষ মুক্তি যুদ্ধের তালিকায় আসার কথা সরকারীভাবেই । এখন এই তালিকাই তৈরী করুন এবং একই সাথে ১৯৭১ সালে প্রকৃত এবং প্রত্যক্ষভাবে মুক্তি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ( বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুয়ায়ী ) তাদের তালিকা খুঁজে বের করতে হবে। তার পর দেখা যাবে, কে ভূঁয়া, কে বীর !
আমার পাশের গ্রামেও আছে।
স্থানীয় এমপিদের সুপারিশ।---এই এমপি ক্ষমতাসীন দলের হলে মামলা করার হুংকার দেওয়া ব্যাক্তিটি কতদুর আগাতে পারবেন? বাছাই কমিটির কয়জন '৭১ সালে সকল সেক্টর ঘুরে ঘুরে মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেছেন? সহ মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষি বা সকল সহ মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে প্রার্থীর নিজের বকতব্যই গ্রহন করা ছাড়া আর রাস্তা থাকে না। অতএব মামলার কথা বাদ দিয়ে অন্য কোন পন্থায় প্রকৃত অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায় কিনা তা দেখতে হবে।৫২ বছর পর স্পর্সকাতর বিষয় নিয়ে গরম বকতব্য দিলে সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি হতে পারে,যার রেশ দিন শেষে সরকারকেই বহন করতে হবে। মন্ত্রালয়ে জাচাই এর জন্য গৃহিত ক,খ ও গ কেটাগরির দরখাস্ত গুলো বাছাই সম্পন্ন করুন, ঐ কেটাগরির দরখাস্ত বাছাই করা হবেনা -এমন ঘোষনা থেকে সরে আসার আনুরো করছে সংশ্লিষ্টরা।
একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলছি,ভুয়াদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্হা নিন।তাছাড়া আরো যারা ভুয়া আছে তাদের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ লাগিয়ে পাকড়াও করুন।গ্রামে গোপনে খোঁজ নিলে এসব ভুয়াদের ধরা কঠিন কিছু নয়।
যোদ্ধ না করেও যাহারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকা ভুক্ত হয়েেচন তাহাদের ( আমলা বিচারক এই সকল যোদ্ধা) বাতিল সহ বিচার হওয়া উচিত।
যেসকল বিচারক ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে না থেকে সন্ মুক সমরে অংশ গ্রহন নাকেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটেড হয়ে ভাতা গৰহন করেন তাহাদের কি বিচার হওয়া উচিত নয়?
যাদের নাম উচ্চারণের আগে কোর্ট অর্ডার হলো "বীর মুক্তি যোদ্ধা" বলতে হবে। ঠিক আছে যারা জীবন বাজি রেখে দেশ ও জাতির জন্য যুদ্ধ করলেন তাদের সম্মানের আসনে রাখতেই হবে। কিন্ত সেই তালিকায় যে ভূয়া সব লোকজন ডুকে পড়েছে তা শত ভাগ সঠিক। জাস্ট সিম্পল প্রতারক নোংরা মিথ্যে বাদী একটা মানুষকে সমমান দিয়ে যখন বলতে হবে বীর মুক্তি যোদ্ধা- তখন স্বাধীনতার জন্য অপমানিত বোধ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। হায়রে জাতির ভাগ্য। যাক শুরু থেকেই এবিষয়ে প্রচুর আপততি থাকলে অবশেষে এমন একটি সিদ্ধান্তে জাতি অবশ্যই খুশি ও সরকারকে সাধুবাদ জানাই। এখানে কে কোন দলের তা একেবারেই গনায় আনা উচিৎ নয়। তবে গেজেট বাতিলের জন্য শাস্তি দেওয়ার জন্য কোর্টে কেন যেতে হবে তা প্রশন বোধক ? এতে বাতিল প্রক্রিয়া জটিলতার মধ্যে না ডুবলেই ভালো। ধন্যবাদ।
শুধু আট হাজার নয় আরো হাজার হাজার ভূয়া তালিকায় অন্তরভুও আছে। এমনকি ভুয়া কমিটির প্রধান আছে। ভুয়া কমিটি গঠনে সহায়তা করে ভুয়াদের তালিকায় অন্তরভূওিতে সহায়তা করেছে তাদের ও আইনের আওতায় আনা দরকার বলে আমি মনে করি।
সুধু আট হাজার নয় আরও অনেক ভুয়া তালিকায় অনতরভুও আছে। এমনকি ভুয়া বাছাই কমিটির প্রধান ও আছে। যাহারা ভুয়া কমিটি বানিয়ে যাচাই বাছাই এর মধ্যেমে অসংখ্য ভুয়া দের তালিকায় অন্তরভুওিতে সহায়তা করেছে তাদের ওআইনের আওতায় আনা দরকার। তাদের এহেন কাজে আসলদের সন্মান হানি হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আমি অনুরোধ করবো সত্যি যদি রাষ্ট্র অ মুক্তিযোদ্ধা দের বিচার করিতে আগ্রহি হয় তাহলে যাহারা অনৈতিক উপায়ে মুক্তিযোদ্ধ হয়েছে এবং যাহারা অনৈতিক উপায়ে মুক্তিযো হিসেবে তালিকা ভুক্ত করে গেজেট নোটিফিকেশন করেছে তাহাদের সকলের সহায্য কারি বা সাক্ষী প্রদান কারি সহ সকলের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে বিচার করা এবং যত পরিমান অর্থ রাষ্ট্রের নিকট হইতে গ্রহন করেছে সকল কিছু ফেরত নিয়ে কঠিন সাজা হওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য।
আমি অনুরোধ করবো সত্যি যদি রাষ্ট্র অ মুক্তিযোদ্ধা যাহারা অনৈতিক উপায়ে মুক্তিযোদ্ধ হয়েছে এবং যাহারা অনৈতিক উপায়ে মুক্তিযো হিসেবে তালিকা ভুক্ত করে গেজেট নোটিফিকেশন করেছ তাহাদের সকলের সহায্য কারি বা সাক্ষী প্রদান কারি সহ সকলের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে বিচার করা এবং যত পরিমান অর্থ রাষ্ট্রের নিকট হইতে গ্রহন করেছে সকল কিছু ফেরত নিয় কঠিন সাজা হওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য।
এদেশে কে কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়!!
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যখন দূর্নীতি করে আত্মীয় স্বজনদের ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা হতে সাহায্য করে তখন এর প্রতিকার কিভাবে হবে?
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পুর্বে যারা টাকার বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
বাংলাদেশে যারা বা যেসব পরিবার মুক্তিযুদ্ধ ভাতা পায় তার অধিকাংশই ভূয়া। এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি। আমি একাধিক পরিবারের কথা জানি স্বামী মৃত্যুর পর থেকে যারা মুক্তিযুদ্ধ ভাতা পাচ্ছে কিন্তু স্বামীরা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি দূর্নীতির আখড়া। অর্থের বিনিময়ে তারা বিভিন্ন ব্যক্তি এবং পরিবারকে মুক্তিযুদ্ধ ভাতা দিয়ে যাচ্ছে যাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধের কোন সম্পর্কই ছিল না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যতো মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহন করেছিল বলে জানা যায় , তার চাইতে দ্বিগুণ ব্যক্তি বা পরিবার এখন ভাতা পাচ্ছে। এই চরম দূর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রনালয়টি আর রাখার প্রয়োজন আছে কিনা সেটা গুরুত্বের সাথে দেখা উচিৎ।
৮ হাজার না, কমপক্ষে ৮০ হাজার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। এরা টাকার বিনিময় গেজেট ভুক্ত হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল চাই,অপচয় রোধ হবে। জবাবদিহি সরকার না থাকায় লুটতরাজরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা আসল মুক্তিযোদ্ধার সমাধি হয়েছে।
বাংলাদেশের ৭১ এ সাত কোটি ববাংলাদেশির মধ্যে ছয় কোটিই মুক্তিযোদ্ধা। যারা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে রাজনীতিকরন ও ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা দিয়ে তালিকা প্রস্তুত করেছে, তাদের উপর আল্লাহর গজব পড়ুক। কৃষক-শ্রমিক পরিবারের যে তিন লক্ষ যুদ্ধে শহীদ হলেন, তাদের কথা বলেনা কেন দুর্বৃত্ত রাজনীতিবিদরা?
ধান্দা বাজি করে কি খাওয়া টা খাইছে এতোদিন ধইরা। তবে কি এরা বি এন পি / জামাত দলের লোক?
তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।
জনগণের কষ্টার্জিত টাকা কালা-ধলারা নানান ফন্দি ফিকিরে মেরে খেয়ে ফেলছে ।
ভূয়া সনদ তৈরির ক্ষেত্রে ও আওয়ামীলীগের দয়া।
শুধু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নামে মামলা করলেই হবেনা এদের কঠিন শাস্তি হওয়াটা একান্ত দরকার বলে আমি মনে করি। বর্তমানে সম্ভবত ৩৩ হাজারের উপর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে।
এই পাঁচ সচিবের কেউ রাজাকার ছিল কিনা সেটারও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া রাজাকারদেরও সঠিক তালিকা হওয়া দরকার।