ঢাকা, ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

অনলাইন

আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করতে চলেছে ইসরাইল সরকার

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ বছর আগে) ২ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ২:২১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৬ পূর্বাহ্ন

mzamin

কাতারের মালিকানাধীন আল জাজিরাসহ একাধিক টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করতে সরকারের একটি আইন অনুমোদন করেছে ইসরাইলের সংসদ। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন যে, তিনি আলজাজিরা নেটওয়ার্কের স্থানীয় অফিস বন্ধ করার জন্য  অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবেন । যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিদেশী সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায়, গাজা স্ট্রিপে অবস্থিত আল জাজিরার স্টাফরাই একমাত্র সাংবাদিকদের মধ্যে যুদ্ধের খবর সংগ্রহ  করতে সক্ষম হয়েছেন। ইসরাইলের সংসদ নেসেট, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশী নেটওয়ার্কগুলিকে "সাময়িকভাবে" নিষিদ্ধ করার অনুমতি দেয়ার বিলটি অনুমোদন করেছে। নেতানিয়াহু এক্সে লিখেছেন, 'আল জাজিরা আর ইসরাইল থেকে খবর সম্প্রচার করতে পারবে না। 

আলজাজিরাকে একটি ‘সন্ত্রাসী চ্যানেল’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি । বছরের পর বছর ধরে, ইসরাইলি কর্মকর্তারা নেটওয়ার্কটির বিরুদ্ধে ইসরায়েল-বিরোধী খবর করার অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে সম্প্রচারকারীর বিরুদ্ধে তাদের সমালোচনা তীব্র হয়েছে। কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে, এটির সাথে  হামাসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যদিও এই অভিযোগ আল জাজিরা তীব্রভাবে অস্বীকার করে।একটি বিবৃতিতে, আল জাজিরা বলেছে, নেতানিয়াহু আল জাজিরা নেটওয়ার্ক এবং এর কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন  অপবাদ উপস্থাপন করেছেন।

আল জাজিরা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর তার চলমান আক্রমণের  কোনও  যুক্তি নেই।ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর আনা অভিযোগকে মিথ্যা ও লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেছে আল জাজিরা কর্তৃপক্ষ। চ্যানেলটি ইসরাইলকে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ করেছে। ইসরাইলি হামলায় আল জাজিরা গাজার ব্যুরো চিফ ওয়ায়েল আল-দাহদুহের ছেলে হামজা আল-দাহদৌহ সহ সাংবাদিকরা নিহত হয়েছেন। যদিও  ইসরাইল সাংবাদিকদের টার্গেট করার কথা অস্বীকার করেছে।

কাতার, যেখানে আল জাজিরার সদর দফতর রয়েছে, দেশটি এখন প্রায় ছয় মাস দীর্ঘ দ্বন্দ্ব নিয়ে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে আলোচনার মধ্যস্থতা করছে। কাতারের মধ্যস্থতায় পূর্ববর্তী আলোচনার ফলে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ১০৫ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। যদিও ইসরাইলের এই পদক্ষেপ যুদ্ধবিরতি আলোচনায় প্রভাব ফেলবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

ইসরাইল এর আগে একটি ছোট লেবানিজ চ্যানেল আল মায়াদিনকে দেশে কাজ করা থেকে নিষিদ্ধ করেছে। প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, যদি এটি সত্য হয়, তাহলে এই ধরনের পদক্ষেপ উদ্বেগের  বিষয়।

যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করে, যখন হামাস যোদ্ধারা গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায়, ইসরাইলি পরিসংখ্যান অনুসারে প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে। প্রায় ১৩০ জন জিম্মি বন্দী অবস্থায় রয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জনকে মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরাইল সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে গাজায় ৩২,৮০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৫,০০০ আহত হয়েছে।  নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

আল জাজিরা ১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করে।  মধ্যপ্রাচ্যের সরকার ও শাসকদের সমালোচনা করে মিডিয়া জগতে এটি  সাড়া ফেলে দিয়েছিলো।কিন্তু এই অঞ্চলের কিছু সরকারের আল জাজিরার  কভারেজ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সৌদি আরব, জর্ডান এবং মিশরে  এটি বন্ধ বা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আল জাজিরা দাবি করে এসেছে  যে এটিই প্রথম আরবি চ্যানেল যা ইসরাইলি রাজনীতিবিদ এবং ভাষ্যকারদের টিভির সামনে এনেছে ।

সূত্র : বিবিসি

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status