ঢাকা, ১৬ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

এক্সক্লুসিভ

সিনেমার নায়ক রাজনীতিতে কেমন করছেন

নাজমুল হুদা
১০ মার্চ ২০২৪, রবিবার
mzamin

ঢাকাই সিনেমায় রাজত্ব করেছেন দীর্ঘদিন। ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র মতো সিনেমা করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সিনেমার সেই জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস আহমেদ হঠাৎই নাম লেখিয়েছেন রাজনীতির খাতায়। হয়েছেন সংসদ সদস্য। ঢাকার অভিজাত এলাকা খ্যাত ধানমণ্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান এলাকার এই সংসদ সদস্য রাজনীতির মাঠে কেমন করছেন। দলের নেতাকর্মীরাই বা তাকে কীভাবে গ্রহণ করছেন। এমন নানা প্রশ্ন নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে মানবজমিন। দলের নেতাকর্মী আর ভোটাররা জানিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। প্রত্যাশা-খেদ দুটিই আছে। সংসদীয় এলাকার নাগরিকদের প্রত্যাশা আর চাহিদার বিপরীতে ফেরদৌস জানিয়েছেন রাজনীতির মাঠেও সফল হতে চান তিনি।

বিজ্ঞাপন
মানুষের জন্য কাজ করে হতে চান সিনেমার নায়কের মতোই রাজনীতির নায়ক। 

ঢাকার ধানমণ্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ থানা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এমপি হয়েছেন ফেরদৌস। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এ আসনে টানা তিন বারের এমপি ছিলেন। এই এলাকার রাজনীতিতেও তার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তাপস মেয়র হওয়ার পর এই আসনে এমপি হয়েছিলেন ব্যবসায়ী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। এই আসনের দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ গড়তে পারেননি। এ কারণে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ছিল। তারা এবার ভেবেছিলেন স্থানীয় কেউ এমপি হবেন। কিন্তু এবারোা আগের মতোই আসনের বাইরে থেকেই দলীয় প্রার্থী করা হয় ফেরদৌস আহমেদকে। এ কারণে তার সামনে বড় এক চ্যালেঞ্জ। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ সামনে রেখেই কাজ শুরু করেছেন ফেরদৌস। 
১৯৬৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনীতি করেন ধানমণ্ডি থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল আহমেদ। নির্বাচন ঘিরে তাদের অনেক প্রত্যাশাও ছিল। কামাল আহমেদ বলেন, এত বছরে আমার মতো যারা দীর্ঘ সময় রাজনীতি করে তাদের একটা প্রত্যাশা থাকে। যখন জানলাম চিত্রনায়ক ফেরদৌস কনফার্ম হয়েছেন তখন হতাশ হওয়ার সঙ্গত কারণ ছিল। এমন যদি হতে থাকে তাহলে যারা ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে রাজনীতি করা মানুষ আর রাজনীতিতে আসবে না। মাঠের কর্মীরা বলে, দিনের পর দিন আমরা আন্দোলন করেছি। রাস্তার পোড় খাওয়া লোক। আমাদের কেউ আসুক। সেটা না হওয়ায় হতাশ। তারপরও নেতাকর্মীরা দলের নির্দেশ মেনেছে। হতাশা একটু ভেতরে ভেতরে আছে। যেহেতু সবাই দলের প্রতি অনুগত তাই কেউ তা প্রকাশ করে না। 

তিনি বলেন, বর্তমান মেয়র এখানে তিনবার এমপি ছিলেন। এখানে তার কথাতেই সবকিছু হয়। মেয়র চেয়েছেন বলে উপনির্বাচনে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এমপি হয়েছেন। নেতাকর্মীরা তার জন্য কাজ করেছেন। এবার নির্বাচনেও তাই হয়েছে। বর্তমান এমপি ফেরদৌস চিত্র জগতে ছিলেন। সেখান থেকে সরাসরি এখানে এসেছেন। আরও কিছুদিন গেলে বোঝা যাবে তিনি কেমন কাজ করবেন। আগের এমপি ৩ বছরে একদিন ফোন করেছিলেন আমাকে। সেদিক থেকে ফেরদৌস হয়তো একটু ব্যতিক্রম। তিনি হয়তো যোগাযোগ রাখবেন। তবে এখনো রাজনৈতিক বিষয়ে তার সঙ্গে আমাদের তেমন আলাপ হয় না। মেয়র তাপস যখন এমপি ছিলেন তখন সংসদ না থাকলে প্রতিদিন আমাদের সঙ্গে বসতেন। প্রতিটি জুমার নামাজ এলাকায় পড়তেন।

হাজারীবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ডিএসসিসির ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান বলেন, আমরা কেন রাজনীতি করলাম তা জানি না, আবার কেন করবো না তাও জানি না। আমাদের অবস্থা হয়েছে এমন। আমরা দলের আদর্শ, নেতৃত্বকে ভালোবেসেই এই লাইনে এসেছি। কিন্তু রাজনীতি কর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করে না, তারা নেতা বানায় না। এটা উপরের থেকে নির্ধারণ হয়। এজন্য সব জায়গায় রাজনৈতিক অবস্থা ভালো না। তিনি বলেন, ফেরদৌস আহমেদ নতুন মানুষ। তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও না। ঢাকা-১০ আসনে রাজনৈতিক বিষয়ে এক ব্যক্তি ছাড়া কোনো লোক এখানে মাথা ঘামাতে পারে না। ঢাকা-১০ একদম ব্যতিক্রম এলাকা। মেহমান হয়ে আসা ছাড়া তেমন গুরুত্ব কিছু দেখি না। তাও পলিটিক্যাল ব্যক্তিত্ব হয়ে থাকলে গুরুত্ব পাওয়া যায়। আমাদের মেয়র এই এলাকায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন আলাদাভাবে দেখেন। তাই এখানের এমপিদের তেমন গুরুত্ব নেই। 

নিউ মার্কেট থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি হানিফ মিয়া বলেন, আমরা এলাকায় রাজনীতি করছি। এলাকার বাইরে থেকে কাউকে এমপি করা হলে কিছুটা কষ্ট থাকবেই। আগের এমপি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সঙ্গে আমাদের মধ্যে দূরত্ব ছিল। আমরা চাই না তার মতো এমপি ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে দূরত্ব হয়। চার বছরের মতো মহিউদ্দিন এমপি ছিলেন। কিন্তু একদিনও তার চেহারা দেখিনি আমরা। আমরা রাজনীতি করি, একটু ভালোবাসা, সহযোগিতার প্রত্যাশা থাকে। আমার ধারণা এমপি ফেরদৌস আইডিয়াল ম্যান। আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক করে কাজ করবেন। তার সঙ্গে এখনো আমাদের কার্যক্রম হয়নি। শুধু একদিন আমরা বসেছিলাম। আমাদের এখানে প্রত্যেকটা কর্মী ব্যারিস্টার তাপসের অনুগত। সে হিসেবে মেয়র তাপস আর এমপি ফেরদৌস মিলে যদি সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন তাহলে খারাপ হবে না। ব্যারিস্টার তাপস যেভাবে আমাদের আপন করে নিয়েছে সেভাবে যাতে তিনি আমাদের আপন করে নেন এটাই প্রত্যাশা। 

কলাবাগান থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফেরদৌস আহমেদকে ঢাকা-১০ থেকে নমিনেশন দিয়েছে। তখন আমাদের দক্ষিণ সিটির মেয়রের নেতৃত্বে তিনি আমাদের নিয়ে বসেছেন। সবাই মিলে আলোচনা করে নির্বাচন করেছি। নির্বাচনের পর আমাদের নিয়ে আবার বসেছেন। সবাইকে নিয়ে মেয়রের সঙ্গে দেখা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি ওয়ার্ডভিত্তিক বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাচ্ছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। আমার মনে হচ্ছে ফেরদৌস খুব ভালো করবেন। তিনি সহজেই মানুষের মধ্যে ঢুকতে পারেন। মানুষকে আপন করে নিতে পারেন।

দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের প্রত্যাশার বিষয়ে মানবজমিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ফেরদৌস আহমেদ। রাজনীতির মাঠে নায়ক হতে পারবেন কিনা- তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ পারবো। মন দিয়ে যদি মানুষ কিছু চায় তাহলে সেটা করতে পারে। আমি ভীষণভাবে আত্মবিশ্বাসী নিজের ব্যাপারে। আমি যখন অভিনয়ে আসি তখন অভিনয় শিখে আসিনি। অভিনয়ের কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না। আমার শুধু আত্মবিশ্বস ছিল আমি পারবো। তেমনি রাজনৈতিক মাঠেও আমার প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস, মানুষের ভালোবাসা আমার সঙ্গে আছে। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর দোয়া আছে আমার সঙ্গে। ইনশাআল্লাহ আমি সফল হবো। 

রাজনীতির মাঠে কেমন চ্যালেঞ্জ আসছে এ প্রশ্নে তিনি বলেন, রাজনীতি বলতে আমরা কী বুঝি? আমরা পলিটিক্স শব্দ ব্যবহার করি নেগেটিভ অর্থে। রাজনীতি রাজার নীতি। আমি এখানে কেন এসেছি; মানুষের কল্যাণে কিছু করার জন্য। মানুষের সেবার করার জন্য। সেটা আমি ছোট বেলা থেকেই করি। আর শেয়ারিং ও কেয়ারিং ব্যাপারটা আমার পরিবার থেকে শেখা। স্কুল, কলেজ পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুরা মিছিল করতো, মিটিং করতো। আমি মাঝেমধ্যে যেতাম। আমি যেহেতু ফিল্মে জয়েন করবো তাই ওদিকে ফোকাস করেছি। কিন্তু গণসংযোগ, জনসংযোগ, মানুষের সঙ্গে মেশা, মানুষের ভালোমন্দ জানা এই ব্যাপারগুলো বরাবরই আমার মধ্যে ছিল, আছে। এটিই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। ২০০১ সালে যখন প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাই, তারপর থেকেই আমি নানাভাবে তার সান্নিধ্যে আছি। আমি দেখেছি, কীভাবে তিনি মানুষকে ভালোবেসে কাছে টেনে নেন। মানুষের কল্যাণ করার যে ব্রত তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ২০১৪ থেকে সরাসরিভাবেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হই। একটা সময় ছিল শিল্পীরা বিশ্বাস করতো, আমরা নিরপেক্ষ থাকবো, আমরা সবার। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা কেউই নিরপেক্ষ না। জন্মের পর থেকে একটা শিশু যখন বড় হয় তখন মা বেশি আদর করলে মায়ের দিকে চলে যায়, বাবা বেশি আদর করলে বাবার দিকে চলে যায়। জন্মগতভাবেই আমরা কেউই নিরপেক্ষ না। নিরপেক্ষ বলা মানে নিজেকে একটি জায়গায় আটকে ফেলার মতো। সেই জায়গা থেকে আমার একটা আদর্শ থাকবে। একটা নীতি থাকবে। একটা ভালো লাগা থাকবে। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করেছি। সেক্ষেত্রে আমার বলতে তো দ্বিধা ছিল না। এভাবে আমার সম্পৃক্ততা বেড়ে যায়। এটাই আসলে মূল রাজনীতির সঙ্গে চলে আসা। ২০১৯ সালে সেটা আরও জোরালো হয়। 

নেতাকর্মীরা কীভাবে গ্রহণ করছেন? তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস তারা স্বতঃফূর্তভাবেই গ্রহণ করেছেন। বাকিটা তাদেরকে প্রশ্ন করতে হবে। আমার কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী যারা রয়েছেন তাদের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে অঙ্গ সংগঠনসহ প্রত্যেকে যেভাবে সাপোর্ট করেছেন, যদি আমাকে ভালো না বাসতো, আমার প্রতি তাদের আস্থা না থাকতো, ভালো লাগা না কাজ করতো তাহলে তারা সেভাবে সাপোর্ট করতো না। নির্বাচনী প্রক্রিয়াতে আমার মনে হয়েছে তারা আমার একটা পরিবার। এভাবেই তারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। এখন যখন তাদের সঙ্গে কথা বলি বা কোনো প্রোগ্রাম করি তখন তারা সেখানে থাকেন। আমাদের মেয়র এখানে সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি তিনবারের এমপি ছিলেন এখানে। পুরো এলাকাটা তার গোছানো। পুরো জিনিসটা আমার হাতে তুলে দিয়ে বলেছেন, ‘আমার পুরনো বাগানটা আপনার হতে তুলে দিলাম। এবার আপনি কীভাবে এটা পরিচর্যা করবেন সেটা আপনার ব্যাপার।’ এখন পর্যন্ত ভালো যাচ্ছে। সবকিছু পারফেক্ট আছে। 

আগের এমপি’র সঙ্গে এলাকার নেতাকর্মীদের দূরত্ব ছিল। ঘুচাতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করবো। একা কারও পক্ষে তো কিছু করা সম্ভব না। তারা এখানে দীর্ঘদিন ধরে আছেন। তাদের সহযোগিতায় আমরা একসঙ্গে কাজ করছি ও করবো। নিজের পরিকল্পনার বিষয়ে বলেন, আমার চাওয়া শিক্ষা, সংস্কৃতি ও শিল্প- এই তিনটার সমন্বয় ঘটিয়ে আমি এই আসন দশে দশ করতে চাই। আমার এখানে ধানমণ্ডির মতো একটা ঐতিহাসিক জায়গা রয়েছে। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী বেড়ে উঠেছেন। এই জায়গাকে পবিত্রতার সঙ্গে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা। ধানমণ্ডি লেককে পুনঃসংস্কার করা, নান্দনিক করে আরও বেশি ব্যবহার উপযোগী করা। এরসঙ্গে আমাদের শিল্প সংস্কৃতির সঙ্গে সমন্বয় ঘটানো, পরিষ্কার রাখা। ধানমণ্ডিতে অনেক খেলার মাঠ রয়েছে। এগুলোকে ব্যবহার উপযোগী করা। ট্রাফিকের একটা বড় সমস্যা রয়েছে সেটাকে নিয়ে এখন ভাবছি। তাছাড়া হাজারীবাগে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের ভাগ্য উন্নয়ন করা। তাদের ওখানে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করে রাস্তাঘাট দীর্ঘায়িত করে ব্যবহার উপযোগী করা যায়। নিউমার্কেট বড় একটা ব্যবসায়িক কেন্দ্র। এটাকে আরও স্মার্ট নিউমার্কেট কীভাবে বানানো যায় সেটা নিয়ে কাজ করা যায়। কলাবাগানে রাস্তাগুলো অনেক পুরনো, গ্যাসের সমস্যা আছে সেটাকে ঠিক করা। অর্থাৎ যেই এলাকায় যে ধরনের সমস্যা রয়েছে সেগুলোকে ঠিক করে জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তুলে দশে দশ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন, সাংবাদিক হওয়ার ইচ্ছা ছিল কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার সাংবাদিকতা করা ইচে্ছা ছিল না। কারণ এটি অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় মনে হয়েছিল এটা একটা ইন্টারেস্টিং বিষয়। এই বিষয়ে পড়লে দেশ, জাতি, সংস্কৃতি, ইতিহাস সম্বন্ধে জানা যায়। সে কারণে করা। সেই শিক্ষাটা কাজে দিচ্ছে অন্যভাবে। তবে দু-একবার আমি পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের পরীক্ষামূলক কিংবা অতিথি সম্পাদক হয়েছি। আমার লিখতে ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে লিখি। গতবছর বইমেলায় প্রথমা প্রকাশন থেকে আমার একটা বই বেরিয়েছে ‘এই কাহিনি সত্য নয়’ নামে। সামনেও সময় সুযোগ পেলে বই লিখবো। যদি কখনো সম্ভব হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ইন্টারভিউ নিতে পারি একটা। 
 

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status