রিজার্ভ চুরি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা চলবে

বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির মামলা নিয়ে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংককে এখন তার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ভাবতে হবে। কারণ নিউ ইয়র্কের আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের করা ওই মামলা চালিয়ে নেয়ার অনুমতি দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে ফিলিপাইনের গণমাধ্যম এনকোয়ারার। খবরে বলা হয়, ২০১৬ সালে হওয়া ওই রিজার্ভ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হওয়া ওই মামলা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে এরইমধ্যে ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক (আরসিবিসি)। শুক্রবার ব্যাংকটি জানায়, ২৯শে ফেব্রুয়ারি মার্কিন হাইকোর্ট থেকে একটি সিদ্ধান্ত পেয়েছে তারা। এতে আরসিবিসি ব্যাংক ও সব বিবাদীর বিরুদ্ধে অর্থ রূপান্তর, চুরি ও আত্মসাতের কর্মকাণ্ডে সহায়তা বা প্ররোচনা, জালিয়াতি, জালিয়াতিতে সহায়তা বা প্ররোচনা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তবে অন্যান্য অভিযোগে মামলা চলতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত। যেমন চুরি যাওয়া যে অর্থ আরসিবিসিতে গেছে, তা ফেরত দেয়া। ব্যাংকটি জানিয়েছে যে, তারা এখন এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা ভাবছে।

এর আগে গত বছরের এপ্রিলে নিউ ইয়র্কের আরেকটি আদালতে আরসিবিসির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলাটি খারিজ করে দেয়। রায়ে বলা হয়েছিল, ওই মামলা বিচারের ‘পর্যাপ্ত এখতিয়ার’ ওই আদালতের নেই। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিউ ইয়র্কের ‘এখতিয়ারভুক্ত’ আদালতে মামলা করা হয় বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক। 

২০২০ সালের ২৭শে মে প্রথম এ ইস্যুতে মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৬ সালে সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয়া হয়। এর পেছনে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। মূলত চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ। এ মামলা থেকে ব্লুমবেরি ও ইস্টার্ন হাওয়াই নামে দুটি ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতি দিয়েছেন নিউ ইয়র্ক কাউন্টি সুপ্রিম কোর্ট, তবে মামলা এখনো খারিজ হয়নি।