অনলাইন
নারীর পোশাকে আরবি লিপি, উন্মত্ত জনতা এবং ...
মানবজমিন ডিজিটাল
(১০ মাস আগে) ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৫:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:১১ অপরাহ্ন
পাকিস্তানের লাহোর শহরের আচারা মার্কেটের এক রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছিলেন এক যুগল। কিন্তু সমস্যা হলো অন্য জায়গায়। নারীর পোশাকে ছিল আরবি ভাষায় লেখা কিছু শব্দ। তাতেই তেড়ে আসেন রেস্টুরেন্টের কয়েকজন। পোশাকটিতে আরবি অক্ষরে "হালওয়া" শব্দটি মুদ্রিত ছিল। যার অর্থ আরবিতে সুন্দর। বিক্ষোভকারীদের দাবি, নারীর পোশাকে লেখা রয়েছে কোরআনের আয়াত। পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে যায় যে, হামলার শিকার হয়ে যেতে পারতেন ওই নারী ও সঙ্গে থাকা তার স্বামী। দূতের মতো হাজির হয় পুলিশ। তাকে রক্ষা করে নিরাপদে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবশ্য ওই নারী প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন। পাকিস্তানে ব্লাসফেমির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিছু লোককে তাদের মামলার বিচারের আগেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
উন্মত্ত জনতার হাত থেকে পাকিস্তানী নারীকে রক্ষা করতে স্থানীয় থানায় ফোন যেতেই ছুটে আসেন এএসপি সায়েদা শেহরবানু নকভি ও পুলিসের একটি বিশাল টিম। তাকে দেখেই আরও তেতে ওঠে জনতা। তারা দাবি করতে থাকে আরবি লেখা পোশাক খুলতে হবে ওই নারীকে। তবেই বাইরে বের হতে দেওয়া হবে। সায়েদা বানু গিয়ে দেখেন কোরআনের কোনও আয়াত নয়। লেখা রয়েছে কিছু আরবি শব্দ। শুনে কিছুটা হলেও শান্ত হয় জনতা। এরপরই রেস্টুরেন্টের শার্টার তুলে ভেতরে ঢুকে যান সায়দা। এরপরই ওই নারীর মাথা ঢেকে দিয়ে তাকে বাইরে বের করে আনেন। ওই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তারা আসার সময় প্রায় ৩০০ লোক রেস্টুরেন্টের বাইরে ভিড় করেছিল। ভিডিওতে শোনা গেছে কিছু লোক বলছেন ওই নারীর শিরচ্ছেদ করতে হবে।সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ফুটেজে দেখা গেছে সায়েদা বানু রেস্তোরাঁর প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে মানুষকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। সায়েদা বানু বলেছেন যে, কট্টরপন্থী তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তান (টিএলপি) দলের সমর্থকরা ভিড়ের মধ্যে ছিল। ওই নারীকে একটি থানায় আনা হয়েছিল, যেখানে বেশ কয়েকজন ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ নিশ্চিত করেছেন যে তার পোশাকের পাঠ্যটি আরবি ক্যালিগ্রাফি ছিল, কোরআনের আয়াত নয়।
পুলিশ তখন বিশেষজ্ঞদের একটি ভিডিও রেকর্ড করতে বলে এবং জানাতে বলে যে ওই নারী নির্দোষ। পাঞ্জাব প্রদেশের আইজি উসমান আনোয়ার লিখেছেন, জীবন বাজি রেখে ওই নারীকে উন্মত্ত জনতার হাতে থেকে রক্ষা করেছেন এএসপি সায়দা। এর জন্য তাকে কায়দ ই আজম সম্মান দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ধর্মীয় বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা তাহির মাহমুদ আশরাফি X-এ বলেছেন, ওই নারীর পরিবর্তে ভিড়ের মধ্যে থাকা পুরুষদেরই ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। ব্লাসফেমির বিরুদ্ধে আইনগুলি বৃটিশ শাসকদের দ্বারা প্রথম কোডিফায়েড হয়েছিল এবং ১৯৮০ এর দশকে সামরিক সরকারের অধীনে প্রসারিত হয়েছিল।
সূত্র : বিবিসি
@S Z Hossain, আরবি শব্দটার বানান পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে - হা লাম ওয়াও হামজা - বলুন তো জনাব, এই বানানে আপনি 'হালাক' শব্দ আবিষ্কার করলেন কোন্ আজগুবি কৃতিত্বে? নাকি কোনো 'অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী'র কাছ থেকে শুনে সেটাকেই ঠিক মনে করে বসলেন?
আরবি যা বাংলাও তা, তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে পোষাকে যা লিখা সেটা হল "হালাক" এর মানে হচ্ছে ধংস
আরবী লেখা থাকলেই কোরআনের আয়াত ভাবা, বা আরবী শব্দ যত্র তত্র ব্যাবহার করা যাবেনা এইটা এক ধরনের মূর্খতা বলে আমি মনে করি। পাকিস্তানে যা হলো তাতে মুসলিমদের সম্পর্কে অপপ্রচার যেগুলা আছে তাই উস্কে দেয়া হলো। এখানেও দেখলাম অনেকে কমেন্ট করে ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাতে সমর্থন দিচ্ছে। ইসলামের বিজইয় এবং মুক্তি আরো বহুদূর বলেই মনে হচ্ছে, যদিও তা সুনিশ্চিত।
@Faiz Ahmed মূমিন মূর্খ Faiz Ahmed, আরবি ভাষা মক্কার মূর্তিপূজক কাফের-মুশরিকদের ভাষা, ইসলামের আল্লাহ মুসলিমদের জন্য কোনো ভাষা নাজিল করেনি। মূর্তিপূজক কাফের-মুশরিকদের ভাষায়ই ইসলামের আল্লাহ কোরআনের আয়াতও নাজিল করেছে।
আরবী ক্যালীয়গ্ৰাফি লেখার জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে আরকি !
ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে জানুন তারপর নারীর বিচার চান। ক্যালিগ্রাফি শিখতে চারুকলায় পড়াশুনা করতে হয়। আরবরা সেটা করে। আমরা করিনা এবং পারিনা। এটা আমাদের ব্যর্থতা।
আরবী অক্ষর নিয়ে মজা করা অপরাধ। তাই ঐ মহিলার বিচার হওয়া উচিৎ।