প্রথম পাতা
গণমাধ্যমের পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবারদেশে গণতন্ত্র না থাকলে সংবাদপত্রের পক্ষে স্বাধীন ভূমিকা পালন করা খুব কঠিন হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। মানবজমিনকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক। কারণ যখন দেশে গণতন্ত্র থাকে না, স্বৈরতন্ত্র জেঁকে বসে, তখন সংবাদপত্রের পক্ষে স্বাধীন ভূমিকা পালন করা খুব কঠিন হয়ে যায়। তারপর সংবাদপত্র মালিক যারা আছেন, তারা আবার দ্বিধাবিভক্ত। তাদের মধ্যে ঐক্য থাকলে সরকারের নিয়ন্ত্রণ, সরকারের দমননীতি সেগুলোর বিপক্ষে একটা ভালো অবস্থান করে নিতে পারতো। স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠা করতে পারতো। সেটার আর সুযোগ নেই এখন। খুব খারাপ অবস্থা।
গণমাধ্যমে আস্থার সংকট রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম গণমাধ্যমের ভূমিকা পালন করতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে তাকে সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে। সরকারের অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি, ভোটাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা চেপে যেতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তো আর এগুলো বুঝবে না। তারা দেখবে যে, আমরা যে যন্ত্রণা ভোগ করি, কষ্ট পাই সেটা সংবাদপত্রে নেই। ফলে আস্থার সংকট তো আসবেই।
গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় গণমাধ্যম কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। একসঙ্গে স্বৈরতন্ত্রের আইন ও যে বিধিনিষেধ আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ১৯৯০-এ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেটার সুফলটা মনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। যতোটুকু সুযোগ আছে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে হবে। আমরা মানবজমিনকে দেখেছি- অনেক পত্রিকা সাহস করে কিছু লিখেনি, মানবজমিন সাহস করে লিখেছে। সৎ সাংবাদিকতা করেছে। মানবজমিন-এর সঙ্গে যদি আরও ৫-১০টা পত্রিকা যোগ দিতো তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ভিন্ন হতো। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কিছুটা হলেও প্রতিষ্ঠিত হতো।
I extremely like manabzamin
মানবজমিন ছাড়া কোন পত্রিকাই পড়া হয়না। কারন অন্যসব পত্রিকায় দেশের সামগ্রিক কোন চিত্রই ফুটে উঠেনা। দেশের কোটি কোটি মানুষের আর্তনাদ, হাহাকারকে উপহাস করে ক্ষমতাসীনদের গুণকীর্তন করে নিজেদের আখের গোছানোই যেন ওসব পত্রিকার মূল কাজ! পাঠক গণমাধ্যমের উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ক্রমাগত আস্থা হারাচ্ছে গণমাধ্যম।
I like Manabzamin
thank u manab zamin
প্রত্যেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করে, তবুও একই সাথে দাবি করে যে বাক বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। কি বৈপরীত্য!! বাক-স্বাধীনতা না থাকলে আসিফ নজরুল এসব কথা বললেন কীভাবে?
বর্তমান বিশ্বে এবং আমাদের দেশে 'সুবচন এবং সত্য কথন' নির্বাসনে গেছে। 'মানবজমিন" বহু প্রতিকুলতার সাথে লড়াই করে কিছুটা হলেও সত্যকে পূনর্বাসিত করতে পেরেছে এবং সচেষ্ট আছে। এ জন্যে মানবজমিন কে ধন্যবাদ। মানবজমিনের জন্যে শুভকামনা রইলো।
মানবজমিন বিগত দিনগুলিতে অনেক সাহসী ও সত্য সংবাদ পরিবেশন করেছে। আশা করি এই সাহসী ভূমিকা আগামী দিনগুলিতেও অব্যহত রাখবে। শুভকামনা।
স্যার একদম সত্য ও সাধারণ মানুষের মনের কথা বলেছেন।