শেষের পাতা
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। এতে ৪৮ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তালিকা তুলে ধরা হয়। তালিকায় রয়েছেন-১. দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা-ঠাকুরগাঁও, ২. মোসা. আশিকা সুলতানা- নীলফামারী, ৩. রেজিয়া ইসলাম-পঞ্চগড়, ৪. রোকেয়া সুলতানা-জয়পুরহাট, ৫. কোহেলী কুদ্দুস- নাটোর, ৬. জারা জাবীন মাহ্বুব-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ৭. রুনু রেজা-খুলনা, ৮. ফরিদা আক্তার বানু-বাগেরহাট, ৯. মোসা. ফারজানা সুমি-বরগুনা, ১০. খালেদা বাহার বিউটি- ভোলা, ১১. নাজনীন নাহার রশীদ- পটুয়াখালী, ১২. ফরিদা ইয়াসমিন-নরসিংদী, ১৩. উম্মি ফারজানা ছাত্তার-ময়মনসিংহ, ১৪. নাদিয়া বিনতে আমিন-নেত্রকোনা, ১৫. মাহফুজা সুলতানা- জয়পুরহাট, ১৬. পারভীন জামান- ঝিনাইদহ, ১৭. আরমা দত্ত-কুমিল্লা, ১৮. লায়লা পারভীন-সাতক্ষীরা, ১৯. বেগম মন্নুজান সুফিয়ান- খুলনা, ২০. বেদৌরা আহমেদ সালাম-গোপালগঞ্জ, ২১. শবনম জাহান-ঢাকা, ২২. পারুল আক্তার-ঢাকা, ২৩. সাবেরা বেগম-ঢাকা, ২৪. শাম্মী আহমেদ-বরিশাল, ২৫. নাহিদ ইজাহার খান- ঢাকা, ২৬. ঝর্না হাসান-ফরিদপুর, ২৭. ফজিলাতুন নেসা-মুন্সীগঞ্জ, ২৮. শাহিদা তারেখ দীপ্তি-ঢাকা, ২৯. অনিমা মুক্তি গমেজ-ঢাকা, ৩০. শেখ আনার কলি পুতুল-ঢাকা, ৩১. মাসুদা সিদ্দীক রোজী- নরসিংদী, ৩২. তারানা হালিম-টাঙ্গাইল, ৩৩.বেগম শামসুর নাহার-টাঙ্গাইল, ৩৪. মেহের আফরোজ-গাজীপুর, ৩৫. অপরাজিতা হক-টাঙ্গাইল, ৩৬. হাছিনা বারী চৌধুরী- ঢাকা, ৩৭. নাজমা আক্্তার- গোপালগঞ্জ, ৩৮. রুমা চক্রবর্তী-সিলেট, ৩৯. ফরিদুন্নাহার লাইলী-লক্ষ্মীপুর, ৪০. আশ্রাফুন নেছা-লক্ষ্মীপুর, ৪১. কানন আরা বেগম-নোয়াখালী, ৪২. শামীমা হারুন-চট্টগ্রাম, ৪৩. ফরিদা খানম- নোয়াখালী, ৪৪. দিলোয়ারা ইউসুফ-চট্টগ্রাম, ৪৫. ওয়াসিকা আয়শা খান-চট্টগ্রাম, ৪৬. জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ-রাঙ্গামাটি, ৪৭. সানজিদা খানম-ঢাকা, ৪৮.মোছা. নাছিমা জামান (ববি)-রংপুর।
দ্বাদশ সংসদে সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় ফরম কেনেন ১৫৪৯ জন প্রার্থী। এদের মধ্য থেকে দলটি ৪৮ জনকে মনোনয়ন দেয়। প্রতি আসনে গড়ে লড়েছেন ৩২ জনের বেশি (৩২.২৭ জন)। প্রতিটি ফরম বিক্রি হয়েছে ৫০ হাজার টাকায়। এতে দলটির মোট আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
পাঠকের মতামত
এই সরকার যে জনগনের রায়কে তুয়াক্কা করে না তা আবার মহিলা এম পি নমিনেশন দিয়ে বুঝিয়ে দিল, কারণ তারা বেশ কয়েক জন পরাজিত নৌকার মাঝিকে আবার এম পি করছে
যারা নির্বাচনে প্রতিদন্ধিতা করে পরাজিত হয়েছেন তাদের আবারো সংরক্ষিত পদে মনোনয়ন দেয়া উচিৎ হয় নাই। এতে জনরায়কে অসম্মান করা হয়েছে। কেননা, নিজ নিজ কর্ম-এলাকায় তারা নিজেদের গ্রহনযোগ্যতা ও আস্থা ধরে রাখতে পারেন নাই, জনগনের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় তারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। এমন প্রত্যাখ্যাত ব্যক্তিদের আবারো ভোটারদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। একটা রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই জনরায়ের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। এমন প্রতিদন্ধিতাহীন ও একতরফা নির্বাচনেও যারা পাশ করতে পারেনা, তাদের বার বার চাপিয়ে দেয়া কেন? এটা গণতান্ত্রিক মূল্যেবোধের পরিপন্থি।