অনলাইন
একটি গাণিতিক সমস্যা ও ভোট প্রদানের সংখ্যা
সালেহ উদ্দিন
৮ জানুয়ারি ২০২৪, সোমবারঘড়ির কাঁটা তখন বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা। ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়ার দেড় ঘণ্টা পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৮% ভোট পড়েছে। ভোট শেষ হওয়ার একঘণ্টা আগে বেলা ৩টায় ইসি সচিব জানান যে, ভোট পড়েছে ২৭.১৫%। এটা যুক্তিসঙ্গত যে, ভোটদানের শেষ একঘণ্টায় ১% ভোট বৃদ্ধি পেতেই পারে । সে হিসাবে ২৮%-এ বৃদ্ধি যুক্তিসংগত। কিন্তু সংবাদ সম্মেলন চলাকালে একজন কর্মকর্তা জানালেন, স্যার সংখ্যাটা ৪০% হবে । সঙ্গে সঙ্গে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বললেন, সংখ্যাটা ৪০-ও হতে পারে এর কমবেশি হতে পারে। এর মানে গত এক ঘণ্টায় এক-তৃতীয়াংশ ভোট পড়েছে। কী অবিশ্বাস্য!
ভোটের এই নৌকায় ৭ ঘণ্টায় ২৭ জন যাত্রীর বেশি পার করতে পারলো না, অথচ শেষের এক ঘণ্টায় ১৩ জন যাত্রী পার করলো ? সারাদিন কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের খরা ছিলো। ডামি লাইন ছাড়া কোথাও ভোটারের লাইন দেখা যায়নি। কোথাও পর্যবেক্ষকদের এবং সাংবাদিকদের দেখানোর জন্য ভোটের লাইনের শুটিং হতে দেখা গেছে। সেখানে ভোটের এই সংখ্যা নিয়ে অনেকেই বিস্মিত। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের ধারণা-প্রকৃত ভোটের সংখ্যা ১২%-এর বেশি হবে না।
প্রসঙ্গত; বিগত সংসদ নির্বাচনে ৮০% ভোট পড়েছিলো বলে সরকারিভাবে জানানো হয়।
আমার দেখা মতে ৫% এর বেশি হবে না,কারণ নিম্ন শ্রেণির কিছু লোক টাকা খেয়ে ভোট দিয়েছে
কেন্দ্রের অবস্থা দেখলে বোঝা যায় কত % ভোট পড়েছে। আমার বিশ্বাস ১৮-২০% মতো হবে।
সময় এসেছে হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে এ্যাকশন নেয়ার। বিরোধীদের ভুল রাজনীতির জন্য তাদেরই পতন হয়েছে, হয়তো মুসলীম লীগের মতো হারিয়ে যাবে।
ইসি সচিবের তথ্য মতে বিকাল ৩টায় ভোট প্রদানের হার ছিল ২৭%। সিইসি এর বক্তব্য মোতাবেক বিকাল ৪ টায় প্রদত্ত ভোটের হার যদি ৪০% হয় তবে এক ঘন্টায় ১৩% ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। দেশের মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। সেই হিসাবে শেষ এক ঘন্টায় ১,৫৪,৭৭,৯৫১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে! দেশে মোট ভোটকেন্দ্র ৪০,১৮৩টি ও ভোটকক্ষ ২,০৭,৩১২টি। অর্থাৎ প্রতি ভোট কক্ষে শেষ ঘন্টায় গড়ে প্রায় ৭৫ জন ভোট প্রদান করেছেন! সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন এর মতে একজন ভোটারের একটি ভোট প্রদানে গড়ে ৩ মিনিটের মত সময় লাগে। সে হিসাবে ৭৫ জন ভোটারের ভোট প্রদানের জন্য ৭৫x৩ = ২২৫ মিনিট বা ৩.৭৫ ঘন্টা সময় প্রয়োজন। কেউ কি হিসাবটা মিলিয়ে দিবেন?
সবাই বোঝে ৫-৭% এর বেশী ভোট পড়েনি । আওয়ামী সমর্থকরাও ভোট দিতে যায়নি ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার উনি কি দেখেছেন,উনিতো পুলিশ পহারায় থাকেন,জনগনের খান আার খমতাবানদের হয়ে কাজ তরেন।এইযে ১জন প্রার্থীর দেড়/দুই লাখ ভোটের হিসাব দেয়া হচ্ছে সব ভুয়া। এভারেজ ৫%এর বেশী ভোট পড়েনাই।এটা প্রমান করা কঠিন কিছু না।সব তথ্যউপাত্ত এখনও মজুদ আাছে।সিইসি মিথ্যা বলছে।উনি এবং উনার লোকরা ভয়ের উধ্বে উঠতে পারেন নাই।ভারত এটা বলছে,রাশিয়া ওটা বলছে,আামরা পাবলিক সব দেখেছি।,আামাদের চেয়ে খাটি পর্যবেখ্খক আাবার কে।সবভুয়া,ডামি ভোট,ডামিলাইন,ডামি পর্যবেখ্কক,ভুয়াভোটার,ভুয়া রেজাল্ট শীট,কেউ কি নাই এসব বন্ধ করার? সবাই টকশো নিয়ে ব্যস্ত,মাঠে নামুন, সব যে জাল তা প্রমান করার এখনই শ্রেষ্ট সময়।
বাংলাদেশের জনগণ অবৈধ নির্বাচন বর্জন করেছে কোন সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দেয় নাই
2% ভোট পাইছে মিত্যা
আমার এলাকায় বেশীরভাগ ভোটকেন্দ্রে ৭৫থেকে২০০ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন, কিন্ত কেন্দ্রওয়ারী ফলাফলে দেখা গেছে সর্বনিম্ন ৭৫০থেকে ৩৫০০ ভোট পড়েছে প্রতিটি কেন্দ্রে,জালিয়াতির বাজারে কোনও হিসাব চলে না।
যেখানে বিএনপির আন্দোলন হয় ফটোসেশান, ভোটের লাইনও ঠিক তাই হয়েছে
আমি নিজে ৫ টি কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি কোনো ভোটের লাইন নেই। মাঝে মধ্যে দুই একজন মহিলা আসছে বোরকা পড়ে দেখেই মনে হচ্ছে টাকা বা অন্য কোন প্রভাব বিস্তার করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। আমার একেবারে নিকট আত্মীয় স্বজনের মধ্যে কয়েকজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ছিলো তাদের মুখ থেকে শুনেছি ভোট কাটা শিশুলীগের ভোট দেওয়ার কাহিনী।
আমিও সারাদিন বিভিন্ন কেন্দ্রের চিত্র দেখে মন্তব্য করেছি প্রকৃত ভোটের হার ১০/১২%
সংখ্যাটা ২৮ থেকে ৮২ করে দিলে আরো ভালো হতো। কলমের একটু খোচা দিলেইতো হয়ে যায়!
এটি একটি দলীয় কাউন্সিল হয়েছে, যার উপস্থিতি সংখ্যা দেশের মোট ভোটারের ৪ থেকে ৫ শতাংশ। এখানে সাধারণ জনগণের কোন অংশগ্রহণ ছিল না। একে জাতীয় নির্বাচন বলা অনুচিত, দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ঘৃণা করে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং গণতন্ত্রপূর্ণ উদ্ধার করার জন্য ভোট বর্জন কে সমর্থন দিয়েছে।
নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের ধারণা-প্রকৃত ভোটের সংখ্যা ১২%-এর বেশি হবে না। সিইসি বলছেন প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ইলেকশন হয়েছে / অনেক প্রত্যক্ষদশীকে বলতে শুনেছি ৫% থেকে ১০% এর বেশী কখনোই নয়, যখন অপকর্মেেিদর মুখে বলা ইলেকশন হয়েছে ৪০%, পরক্ষণেই ২৮% সবই গোজামিল ধারণার বর্হিপ্রকাশ মাত্র / এদের কথা ঐ গতবারের আজিজ খানের দুর্বত্তায়নের মতই বলা / এরা ২০২৪ এর প্রশ্নবিদ্ধ দুর্বৃত্তায়ন। প্রকাশিত মন্তব্যটিও ঐ সত্যই স্পষ্ট করছে।
মিথ্যা ও প্রতারণার জালে আমার সাধের বাংলাদেশ বন্দী হয়ে আছে গত এক দশকের বেশি কাল। "অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা" কথাটি জ্বলজ্বলে সত্যি হয়ে চোখে ভাসছে।
ধন্যবাদ। মাত্র ৫টা সংবাদমাধ্যমকে দেখলাম সত্যভাবে নিউজ তুলে ধরতে। তার মধ্যে মানবজমিন একটা। আমারতো মনে হয় না ৫% হবে। আমাদের এলাকায় ভোটকেন্দ্রগুলোর কথা বললে ২% বলা মুশকিল হবে। এই নির্বাচন বিদেশিদের দেখানোর জিন্য নির্বাচন। এটা চীনের স্টাইলে নির্বাচন।
সত্যের পথে থাকার জন্য মানবজমিনকে স্যালুট।
সবই মিথ্যা সারা দেশে একটা ভোট কেন্দ্র ও পাবেন না যেখানে জাল ভোট হয় নাই প্রত্যেক কেন্দ্র জাল ভোট হয়েছ। আর প্রকৃত প্রদত্ত ভোট ৫% বেশি হবেনা।