প্রথম পাতা
প্রধানমন্ত্রীর সফরের পর গতি বেড়েছে ত্রাণ তৎপরতায়
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৩ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবারপ্রধানমন্ত্রীর সফরের পর সিলেট, সুনামগঞ্জে গতি বেড়েছে ত্রাণ তৎপরতায়। মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে সিলেট সার্কিট হাউসে তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনের কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করার নির্দেশ দেন। মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা সরকারি ত্রাণ বরাদ্দ দাবি করে বলেন, তারা এখন নিজেদের উদ্যোগে ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছেন। সরকারি ত্রাণ বরাদ্দ পেলে আরও বেশি মানুষকে ত্রাণ নিতে পারবেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী সবাইকে ত্রাণ কাজে অংশ নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, সরকারের সব সংস্থা কাজ করছে। যার যা প্রয়োজন সবকিছুর ব্যবস্থা করা হবে। সভায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, জেলা প্রশাসন, পুলিশসহ সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে নেয়া কার্যক্রমের তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমে বাহিনীগুলোর তৎপরতার প্রশংসা করেন এবং তা আরও বেগবান করার নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরের পর সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নতুন উদ্যমে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী বানভাসিদের অভয় দিয়ে বলেছেন, ঘাবড়ানোর কিছু নেই। সরকার আপনাদের পাশে আছে। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে বানভাসিদের মধ্যেও আশার সঞ্চার হয়েছে। গতকাল সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি অনেক সংস্থাও ত্রাণ বিতরণ করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এখন পর্যাপ্ত ত্রাণ মিলছে না। সড়কে মহাসড়কে অনেককে ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসতে পারেননি এমন অনেকে ত্রাণের অপেক্ষায় আছেন। দুর্গম এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নৌকা ও স্পিডবোটে করে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। সুনামগঞ্জ ও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট এলাকায় শুরুতে বন্যার ধকল এলেও এখন কুশিয়ারা তীরবর্তী উপজেলাগুলোতে বন্যা বিস্তৃত হয়েছে। এসব এলাকায় নতুন করে মানুষের ঘর বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় পানিবন্দি মানুষের ত্রাণের প্রয়োজন হলেও এসব এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ যাচ্ছে না। কুশিয়ারা তীরবর্তী উপজেলাগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা আরও জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।