বাংলারজমিন
মৌলভীবাজারে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার
১৯৭১ সালের ৮ই ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে মৌলভীবাজার শহর শত্রুমুক্ত হয়েছিল। এরপর থেকে এই দিনটিকে মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। মুক্ত দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বিজয় র্যালি ও মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. ঊর্মি বিনতে সালাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. মিজবাহুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও শিল্পপতি আলহাজ এম.এ রহিম (সি,আই,পি), পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. জামাল উদ্দিনসহ অন্যরা। মুক্তিযোদ্ধাদের বহুমুখী মরণপণ লড়াই ও ভারত থেকে মুক্তি বাহিনী ক্রমশ ক্যাম্প অভিমুখে এগিয়ে আসার খবরে পাক বাহিনী ভীত হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে ৮ই ডিসেন্বর ভোরে মনুব্রিজসহ বিভিন্ন স্থাপনা পাক বাহিনী ধ্বংস করে তারা শেরপুর হয়ে সিলেটের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর মুক্ত হয় মৌলভীবাজার শহর। উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। ১৯৭১ সালের ৩০শে এপ্রিলের পর থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজাকারদের সহায়তায় মৌলভীবাজারে হত্যা করেছিল অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ মানুষকে। মৌলভীবাজার মুক্ত করতে বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়া, জমির মিয়া, নিরোধ চন্দ্র রায়, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল মন্নান, উস্তার উল্লাহসহ কয়েকশ’ নারী-পুরুষ শহীদ হন। মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনগুলো পৃথকভাবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।