খেলা
বন্ধ হয়ে গেল অ্যাথলেটিক্স ক্যাম্প
স্পোর্টস রিপোর্টার
৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার
দশ অ্যাথলেট নিয়ে গত ১৩ই নভেম্বর শুরু হয় জাতীয় দলের ক্যাম্প। এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই সেই ক্যাম্প স্থগিত করলো বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। গত বৃহস্পতিবার অনুশীলনের পর ক্যাম্প বন্ধ ঘোষণা করে ফেডারেশন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু ক্যাম্প বন্ধের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমরা অনিবার্য কারণে ক্যাম্প বন্ধ করেছি। জাতীয় মিটের পর (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) আবার ক্যাম্প শুরু করবো।’ সম্প্রতি জাতীয় সামার মিট দুইবার ঘোষণা দিয়ে বন্ধের ক্ষেত্রেও অনিবার্য কারণই ব্যবহার করেছিল ফেডারেশন। অ্যাথলেটিক্সে সাধারণত আন্তর্জাতিক আসরের আগে ক্যাম্প শুরু হয়। থাইল্যান্ডে মার্শাল আর্ট গেমস স্থগিত হওয়ায় সাঁতার ফেডারেশন ক্যাম্প শুরু করেনি। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অবশ্য এর আগেই নিজস্ব উদ্যোগে ক্যাম্প শুরু করেছিল এবং গেমস স্থগিত হওয়ার পরও ক্যাম্প চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তিন সপ্তাহ পরেই ফেডারেশন পিছু হটেছে। ফুটবল, ক্রিকেট, আরচারি, শুটিং ও টেবিল টেনিসের বাইরে বছরব্যাপী ক্যাম্প করার সক্ষমতা সকল ফেডারেশনের নেই। আর্থিক, আবাসন ও নানা সীমাবদ্ধতায় ফেডারেশনগুলো ক্যাম্প চলমান রাখতে পারে না। অ্যাথলেটিক্সের ক্যাম্প হয়েছে হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে। সেখানের আবাসন খুব একটা সুবিধাজনক নয়। ফেডারেশনের নেই নিজস্ব জিম ব্যবস্থাও। এত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেই মাত্র সপ্তাহ তিনেকের ক্যাম্পেই লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। আকস্মিক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই ব্যয়ের উপযোগিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণত ট্রায়াল নেয়ার পর ক্যাম্প শুরু হয়। অ্যাথলেটিক্সে হয়েছে উল্টো। ১৩ই নভেম্বর শুরু হওয়া ক্যাম্পের ট্রায়াল হয়েছে ২৪শে নভেম্বর। ক্যাম্পের মধ্যে ট্রায়াল, কিছুদিন পর ক্যাম্পই বন্ধ। হুটহাট এমন সিদ্ধান্তে অ্যাথলেটিক্স অঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে এসব সমালোচনা মানতে নারাজ ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রকিব মন্টু। তিনি ক্যাম্প বন্ধের বিষয়ে বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। চাইলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো মিট আয়োজন করতে পারবো না। অলিম্পিকের কারণে আগামী বছরের আন্তর্জাতিক আসরগুলোও স্থগিত হয়ে গেছে। তাই আপাতত আমরা ক্যাম্প স্থগিত করেছি। জানুয়ারির শেষে সামার মিট অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে বাছাই করে অ্যাথলেট নিয়ে আবার ক্যাম্প শুরু করবো।