অনলাইন
এখনো সময় আছে, বাংলাদেশের জনগণের জন্য নজর দিতে হবে বিশ্বকে: অস্ট্রেলিয়ান সিনেটর
মানবজমিন ডিজিটাল
(১০ মাস আগে) ৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ১২:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৩৮ অপরাহ্ন
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সংসদে। এমন উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম ফলাফলের দিকে বিশ্বকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রভাবশালী সিনেটর ডেভিড শুব্রিজ।
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এক বক্তৃতায় তিনি এমন আহ্বান জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়নের মধ্যেই আগামী বছরের ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু নিয়মনীতি এবং প্রক্রিয়া না থাকায় ওই নির্বাচনে দেশটির প্রধান বিরোধী দল অংশগ্রহণ করবে না।
সিনেটর ডেভিড শুব্রিজ বলেন, এর জবাবে অক্টোবরে সরকার প্যারা মিলিটারি অক্সিলিয়ারি ফোর্স মোতায়েন করেছে যাতে লোকজনকে ধরে নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা যায়। এটা রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য অতি ভয়ংকর এক পদক্ষেপ। এর ফলে ব্যাপক বিক্ষোভও হয়েছে যেগুলো পুলিশের সহিংসতা এবং গুরুতর বর্বরতার সম্মুখীন হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস দলের নেতা ডেভিড শুব্রিজ বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিএনপির সাথে যা ঘটছে তাকে 'সহিংস স্বৈরাচারী ক্র্যাকডাউন' বলে অভিহিত করেছে। অ্যামনেস্টি এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনারও (বাংলাদেশে) যা ঘটছে তা নিয়ে কথা বলেছেন। বাংলাদেশে নিজেদের পরিবারের সাথে এবং কমিউনিটিতে যা ঘটছে তা নিয়ে এখানকার অস্ট্রেলিয়ান কমিউনিটিতেও গভীর উদ্বেগ রয়েছে। আমিও সেগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এখনো সময় আছে, বাংলাদেশের জনগণের জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম ফলাফলের দিকে নজর দিতে হবে বিশ্বকে।
সাধারন জনগন আজ চিরিয়াখানায় বন্ধি।
দেশে দুর্নীতিবাজরা বলে দুর্নীতিবাজদের কোনো দল নেই সে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন ?
নিপীড়িত জনতার প্রাণের আকুতিই প্রকাশ পেয়েছে ডেভিড শুব্রিজ এর কণ্ঠে।
অজানা গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে আমার সোনারবাংলা ।
ধন্যবাদ মি ডেভিড শ্রব্রিজ, বিশ্বের শান্তিপ্রিয় নেতৃত্ব ও জনগণ,বাংলাদেশের এই সৈরাচারের বিরুদ্ধে এক হয়ে কাজ করবেন এবং খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিবে এই আশা করছে এদেশের জনগণ।
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল ইসলামকে এ জাতি কখনও ভূলবে না।এত গুম,হত্যা,নির্যাতন,নিপিড়ন,দুঃশাসন সবকিছুর মুলে ছিল ঐ একটি রায় যার মাধ্যমে এদেশের জনগণের সব আশা,আকাঙ্খাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে এক দানবীয় স্বৈরচারি ব্যবস্থা প্রবর্তিত করা হয়েছে।
বয়ষ্ক ভাতা বিধবা ভাতা কার্ড নিয়ে দেশের জনগণের সাথে ব্লাক মেইল করা হচ্ছে এর চেয়ে নীচ জঘন্যতম অপরাধ আর কি হতে পারে। সচেতন তরুণ সমাজের উচিত সচেতন হয়ে এই বেহায়াপনার বিরুদ্ধে কথা বলা।
অস্ট্রেলিয়ান প্রভাবশালী সিনেটর ডেবিড শুব্রিজ বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যাকারী অবৈধ আওয়ামী স্বৈরশাসকের সীমাহীন দুঃশাসন প্রতিরোধে বিশ্বনেতৃবৃন্দের ভূমিকা নেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছে তা বাংলাদেশের নিপীড়ন নির্যাতন বিদগ্ধ জনমানুষের হৃদয়ের ব্যাথিত আকুতিরই প্রতিলন। দানবী শক্তির রক্তচক্ষুকে এবং তার ভয়ঙ্কর নখরের থাবাকে প্রতিরোধ কিংবা প্রতিহত করার শক্তি বাংলাদেশের সরকার বিরোধি রাজনৈতিক দল বা জনগনের এই মুহূর্তে নাই। এমন দুঃসহ ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে কোন না কোন দৈব শক্তির সহযোগীতা পেতে বাংলাদেশের জনগন এখন তাদের অন্তর্দাহে আর্তনাদ করছে।
শুধুমাত্র একজন মানুষের কারণে প্রিয়স্বদেশ আজ হুমকির মুখে।