বাংলারজমিন
এমপিদের স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ
স্টাফ রিপোর্টার
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবারস্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে এমপিদের। বেড়েছে বিভিন্ন খাতের আয়। এমপি হওয়ার পর অনেকেই গড়েছেন নতুন দালান-কোঠা। ভারী হয়েছে তাদের ব্যাংক-ব্যালেন্স। এমপিদের স্ত্রীদের বেড়েছে স্বর্ণালংকার, গাড়ি, বাড়ি ও ব্যাংক আমানত। সম্পদসহ বিভিন্ন খাতের আয় বেড়েছে সন্তানদেরও। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমপি থেকে স্ত্রীদের সম্পদের পরিমাণ বেড়ছে বহুগুণ। সব মিলে এমপি ও তাদের স্ত্রী-পুত্রদের সম্পদ বেড়েছে সমানতালে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা ও আগের নির্বাচনগুলোর হলফনামা পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বরিশাল-৫: জাহিদ ফারুক: বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে হলফনামায় পেশা ব্যবসা উল্লেখ করা জাহিদ ফারুকের বাড়ি ভাড়া থেকে বাৎসরিক আয় ছিল ৪ লাখ ৫১ হাজার ৮০২ টাকা। এ ছাড়া নগদ ১০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, গাড়ির মূল্য ২৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, স্বর্ণ ২০ ভরি, অকৃষি জমি এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিল। স্ত্রীর নামে ছিল আরও ৩০ ভরি স্বর্ণ। এ ছাড়া ওই সময় তার গাড়ি ক্রয় বাবদ প্রায় ৭ লাখ টাকার ঋণও ছিল। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তার সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের হলফনামা অনুযায়ী, জাহিদ ফারুকের পেনশন ও সংসদ সদস্য হিসেবে পাওয়া ভাতা থেকে বাৎসরিক আয় ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৬ টাকা। ব্যাংক মুনাফা ও ফ্ল্যাট বিক্রি করে আয় এক কোটি ১৪ লাখ ২৯ লাখ টাকা, নগদ রয়েছে ৫৮ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ এক কোটি ৯ লাখ টাকা, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকৃত এক লাখ ২৫ হাজার টাকা। ২৩ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রাইভেটকার এবং স্বর্ণ ২০ তোলা। এ ছাড়া দালান বাবদ তার এক কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ রয়েছে।
কুষ্টিয়া-১: আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরওয়ার জাহান বাদশাহর বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ টাকা। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামার তথ্যে তার বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ২৩ গুণ বেড়ে হয়েছে ৬৯ লাখ ১ হাজার টাকা। আর বর্তমান স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৭ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরওয়ার জাহান বাদশাহর স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার। আর বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১০৬ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১২ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
রংপুর-১: মসিউর রহমান রাঙ্গা: জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার গত পাঁচ বছরে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ছয় গুণের বেশি। একই সঙ্গে জমিসহ স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণও বেড়েছে এই সংসদ সদস্যের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেয়া হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছিলেন, তার নগদ ছিল ২৭ লাখ ৮ হাজার টাকা। পাঁচ বছরের মধ্যে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৪ লাখ ৬ হাজার টাকায়। এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর আগে টাকা জমা না থাকলেও এবার হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ছিল ৮৯ লাখ ৫৬ হাজার ৯৩৪ টাকা আর এবারের হলফনামায় তা দেখানো হয়েছে ২ কোটি ১ লাখ ৪ হাজার টাকা।
পাঁচ বছরে বেড়েছে জমিসহ স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণও। ২০১৮ সালের হলফনামায় তার জমির পরিমাণ ১২ একর ৩৩ শতক দেখানো হয়েছিল। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ একর ৫৪ শতকে।
রাজশাহী: রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের বর্তমান এমপিদের আয় বেড়েছে কয়েকগুণ। আয় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সদর আসনের এমপি ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার। এবার তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ১৭ হাজার ৪৪২ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় তার আয় ছিল ৭ লাখ ৫০০ টাকা। সম্পদ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর। ২০১৮ সালে ফারুক চৌধুরী নিজ নামে নগদ টাকা দেখান ৯০ লাখ ৯৫ হাজার ৬০২ টাকা। গতবার স্ত্রীর নামে ৩৩ লাখ ৯৭ হাজার ১১৪ টাকা ছিল। এবার স্ত্রীর নগদ টাকা কমে হয়েছে ১১ লাখ ৩১ হাজার ১১৪ টাকা। তবে বেড়েছে নির্ভরশীলদের নামে। শূন্য থেকে নির্ভরশীলদের নামে এবার নগদ টাকা জমা হয়েছে ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৬ টাকা। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া আসাদুজ্জামান আসাদের বছরে আয় ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের বর্তমান এমপি এনামুল হক এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার ২৭১ টাকা। গত নির্বাচনে যা ছিল ৪৯ লাখ টাকা। রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের বর্তমান এমপি ডা. মনসুর রহমানের বার্ষিক আয় ৯২ লাখ ৭০ হাজার ২৮৭ টাকা। রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের বর্তমান এমপি শাহরিয়ার আলমের বার্ষিক আয় ৭ কোটি ৯২ লাখ ৯১ হাজার ২৫৪ টাকা। গত নির্বাচনের সময় ছিল ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৮ টাকা।
কক্সবাজার-১: জাফর আলম: কক্সবাজার-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত সংসদ সদস্য জাফর আলম ও তার স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ। গত ৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। স্ত্রীর বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১৭ লাখ ১৩ হাজার টাকা। স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ও স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। গত ৫ বছরে স্ত্রীর মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। ৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ২ কোটি ২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া এবারের হলফনামায় ১ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার যৌথ মালিকানাধীন সম্পদ দেখানো হয়েছে।
সিলেট-৪: ইমরান আহমদ: সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের বার্ষিক আয় বেড়েছে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ২ কোটি ২৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকার। স্ত্রীর সম্পত্তি বেড়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকার। ইমরান আহমদের বছরে আয় ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তবে ২০১৮ সালে ইমরান আহমদের বছরে আয় ছিল ২৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ আছে ৩১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, যা ২০১৮ সালে ছিল ৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ ১ কোটি ৫৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, শেয়ারে বিনিয়োগ ৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা। যানবাহন আছে ৪৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা দামের প্রাডো জিপ; গত বছর ছিল ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো। আর স্ত্রীর নামে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, যা ২০১৮ সালে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ছিল। স্ত্রীর আছে ২টি গাড়ি। ১৬ লাখ ২২ হাজার টাকার সুজুকি ভিএক্সআই ২০১৮ সালেও ছিল। তবে নতুন যোগ হয়েছে ২৬ লাখ ১৫ হাজার টাকার হার্ড জিপ। স্থাবর সম্পদে রয়েছে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া কৃষি জমি ২৪ দশমিক ২৭ একর এবং নিজ নামে অকৃষি জমি ৪ দশমিক ৫ একর, কেনার সময় যার দাম ৫৫ হাজার টাকা। রয়েছে চা ও রাবার বাগান এবং মৎস্য খামার। হলফনামায় স্ত্রী নাসরিন আহমদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দেখানো হয়েছে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় স্ত্রীর নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২ কোটি ৭৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ টাকার।
চট্টগ্রাম-১১: এম এ লতিফ: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ লতিফের অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বর্তমানে ৫ কোটি ৭২ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। পাঁচ বছরে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি বাড়লেও আয় কমেছে তার।
খুলনা-৪: আবদুস সালাম মুর্শেদী: পাঁচ বছরের ব্যবধানে খুলনা-৪ আসনে বর্তমান এমপি আবদুস সালাম মুর্শেদীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৮ গুণ। ২০১৮ সালে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৫ কোটি ১১ লাখ টাকার। বর্তমানে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার।
গাজীপুর-২: জাহিদ আহসান রাসেল: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর জাহিদ আহসান রাসেলের গত ১৭ বছরে নগদ অর্থ ও সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ। স্ত্রীর নামেও হয়েছেন নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় রাসেলের নিজের স্বর্ণের পরিমাণ ১৪০ তোলা আর স্ত্রীর রয়েছে ১৪৮ ভরি। এমপি হিসেবে করমুক্ত গাড়ি রয়েছে তিনটি, যার মূল্য ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৩৪ টাকা আর স্ত্রীর নামেও ১৩ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত নিজ নামে টাকার পরিমাণ ১৪ লাখ ১৬ হাজার ১৩১ টাকা এবং স্ত্রীর ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩৪৫ টাকা। স্থাবর সম্পত্তি পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত টঙ্গীতে ১ দশমিক ৬৫০ শতাংশ, উত্তরায় তৃতীয় প্রকল্পে ৫ কাঠা জমি। আর স্ত্রীর নামে রাজধানীর বনানীতে রয়েছে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত দুইটি ফ্ল্যাট।
বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনের হলফনামায় নগদ অর্থ দেখিয়েছিলেন ছয় লাখ টাকা। এ ছাড়া সে সময় তার বাৎসরিক আয় ছিল প্রায় ১০ লাখ টাকা। আর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তার কাছে নগদ টাকা রয়েছে দুই কোটি ২২ লাখ টাকা। বাৎসরিক আয় প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে সাদিকের স্ত্রীর নামে কোনো সম্পদ না থাকলেও পাঁচ বছরের ব্যবধানে স্ত্রীর নামে সম্পদ হয়েছে ১০ ভরি স্বর্ণ এবং ২০ লাখ টাকা মূল্যের ৬৫ শতাংশ অকৃষি জমি।
নোয়াখালী -৬ আসন মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের সম্পত্তিতে সয়লাব কানাডার টরেন্ট শহর। বই-পোলাপাইন বহাল তবিয়তে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আবার জিগায়!!!
রাজশাহী-৪ এর সাংসদ এবং বর্তমান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাহেবের সম্পত্তিতে সয়লাব কানাডার টরেন্ট শহর। বই-পোলাপাইন বহাল তবিয়তে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
যারা ধোঁকা দেওয়ার জন্য স্ত্রী সন্তান এর নামে সম্পদ কিনেছেন তা যাচাই করা তো খুবই সহজ। তাদের আয়ের উৎস কি প্রশ্ন করলেই সব তথ্য বেরিয়ে যাবে - যদি সরকারের সদিচ্ছা থাকে এবং দুদক কে তদন্ত করার নির্ভয় ক্ষমতা দেওয়া হয়। নিজ নামে সম্পদ বৃদ্ধির জন্য ও আয়ের উৎস কি জানতে চাইলে ই দুর্নীতি বেড়িয়ে আসবে । সব নির্ভর সরকারের ইচ্ছার উপর।
Good Job. We proud all of you.