অনলাইন
মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
স্টাফ রিপোর্টার
(৯ মাস আগে) ৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এসময় আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান খান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিওন। অপরদিকে রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম রাফেল।
গত ২৮শে অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের নামফলক, গেটে হামলা চালানো হয় এবং ভেতরে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ ৫৯ বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়। এরপর ২৯শে অক্টোবর গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ি থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নিম্ন আদালতে কয়েক দফায় নামঞ্জুর হলে তিনি হাইকোর্টে এই জামিন আবেদন করেন।
এখন প্রতিষ্টিত হয়ে গেল আদালত জামিন দেয় না, দেয় সরকার। সাবাস ।
KAZI সাহেব কমেন্ট করেছেন দেখেন কিরকম ছেলে মানুষী কথাবার্তা বলে, কেউ যদি জেগে জেগে ঘুমায় তাহলে কি আর তার ঘুম ভাঙানো যায়, তবে ভাঙবে সময় হলেই ভাঙবে, এই বিচার বিভাগ একটা মুখ্যম সময় পেয়েছিলো কিন্তু কাজে লাগাতে পারলো না।
@ Kazi, বললেন, " বিএনপির তাদের সমর্থকদের কড়া নির্দেশ নিয়ে এ-সব ঘটনা না করতে আদেশ দেয়া উচিৎ ছিল যাতে সরকার... " আপনি যদি মনে করেন মির্জা ফখরুল সাহেব প্রধান বিচারপতির বাসস্থান ভাংচুরে জড়িত ছিলেন তাহলে আপনি যে একজন মিথ্যাচারী দালাল সেটা প্রমাণিত হলো। একই মামলার অন্য এক আসামী জামিন পেল না শুধু কয়েক ঘন্টার মধ্যে খালাস পেয়ে নৌকা মার্কা খচিত নমিনেশন ফর্ম জমা দিয়ে সিলেকশন নিশ্চিত করলো, এটা কোন ধরনের বাহানা বলতে পারেন নির্লজ্জ দালাল সাহেব। আসলে দালালরা কাজীদের মতো নির্লজ্জ ই হতে হয়। মনে রাখবেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে যারা দালালী করেছিল তারা 'পাকিস্তানি রাজাকার' নামে পরিচিত হয়ে আছে আর এখন যারা প্রতিবেশি এক আধিপত্যবাদী দেশের নগ্ন থাবার মুঠোয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিলিয়ে দেবার জন্য দালালী করছে তাদেরকে **** রাজাকার হিসেবেই চিহ্নিত করা হচ্ছে।
হে বিচারক এই নাটক করতেছেন। সেদিন বেশি দুরে নয়। কৈফিয়ত দিতে হবে মানুষের কাছে আর মৃত্যুর পরেও। ক্ষমতার মোহে জালেমের মর্জি অনুযায়ী রায় নিরস্ত্র জনগণ সহ্য করলেও আল্লাহ ছাড়বরননা। আল্লাহ ছাড় দেন ছেড়ে দেননা। ধিক আপনাদের বিবেকহীন বিচার
জনগণ এই সব কল্পকাহিনী শুনতে শুনতে বিরক্ত ! কবে যে এ সবের অবসান হবে ! দেশ ও গনতন্ত্র মুক্তি পাবে !
Kazi সাহেব এখনও দালালি বন্ধ করেন নাই? আপনার কথামত কাজ করতে হলে বিএনপির মানুষ দের দরজা বন্ধ করে নিজ নিজ ঘরে বসে থাকতে হবে।
আবার Kazi সাহেবের মিথ্যাচার, উনি মনে হয় অনেক আগে থেকেই বিকাশ যোদ্ধা ।
সেদিন কারা হামলা করেছে, পুলিশকে কারা পিটিয়ে মেরেছে তার ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় এসেছে। সেদিন বিএনপির কর্মসূচিতে আসা কারো হাতে লাঠি ছিলনা। কারা কোন রংয়ের লাঠি নিয়ে শান্তি মিছিলের নামে রাস্তায় ছিল তা দেশের মানুষ দেখেছে। এবং তারাই হামলা করেছে। বিবেকহীন কারো পক্ষেই পুলিশের রিপোর্টের বাহিরে কিছু করার ক্ষমতা নাই।
যারা এই নির্বাচনে যাচ্ছেন যেমন জি এম কাদের, মে আক্তারুজ্জামান, ইব্রাহিম, মাশরাফি এবং আরো ১৫০০ তথাকথিত মনোয়োন প্রত্যাশী তারা কি জাতির সামনে বুক চিতিয়ে বলতে পারবেন যে আপনারা মির্জা ফকরুল সাহেব থেকে বেশি সৎ,প্রজ্ঞাবান,স্বচ্ছ ও ভদ্র? যদি না পারেন তবে কিভাবে আপনাদের বিবেক সায় দিচ্ছে যে উনার মত একজন ব্যক্তি জেলে ধুকে ধুকে মরছে আর আপনারা নির্লজ্জ্ব বেহায়ার মত জনগণের সাথে অহেতুক ভোট ভিক্ষার ভান ধরছেন? যদিও এগুলো বলে কোনো লাভ নেই কারণ আপনারা সবাই বধির জানোয়ারের মত।
হিটলারের বিচারকগণ ও এর থেকে বেশি স্বচ্ছ ছিল।
ইতিমধ্যে নাশকতার মামলায় জামিন পাওয়া জনাব শাহজাহান ওমর একটি বার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এই বার্তাটি অনেক বার্তার সততা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করবো বিব্রতকর বিষয় গুলো এড়িয়ে মহামান্য বিচার বিভাগ মানুষের আস্থা ও বিস্বাসের যায়গাটিকে মুল্যায়ন রাখবেন।
বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন আওয়ামি জাজ হয়ে থাকলে, তাদের আদালতে নিশ্চিৎ এই জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যাবে। কারণ বিএনপি’র বিরুদ্ধে হাইকোর্ট সুপ্রীমকোর্টের সকল জাজ সাহেব’রা একাট্টা। বাংলাদেশের এই জাজগুলিকে বিচারপতি বলার অর্থ বিশ্ববিবেকে কলঙ্ক তিলক এঁকে দেয়া।
বিএনপি তাদের সমর্থকদের কড়া নির্দেশ দিয়ে এসব ঘটনা না করতে আদেশ দেওয়া উচিত ছিল যাতে সরকার বাহানা না পায়। এখানে বিএনপির রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দেখাতে পারে নি ।
শাজাহান ওমর সরাসরি মুক্তি পায়, আর ফখরুলের মুক্তির বিষয়ে রুল জারি করে এদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ ।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জমিন না মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।