বাংলারজমিন
সবাইকে ছাড়িয়ে আনিসুল বাড়ি নেই তাজের
জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবারসহায়-সম্পদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে সবার শীর্ষে আনিসুল হক। আর বাড়ি নেই তাজের। তাদের হলফনামা বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে এই চিত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেনের নগদ টাকার পরিমাণ ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫০ টাকা। তার স্ত্রীর নামে নগদ আছে ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, কোম্পানির শেয়ার নিজের নামে ৫ কোটি ৪২ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৭ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও বন্ড রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য খাতে তার বিনিয়োগ রয়েছে ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৬৯ টাকা। গাড়ি আছে দুটি ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) শাহজাহান আলম সাজু পড়াশুনায় এমবিএস (মাস্টার্স অব বিজনেস স্টাডিস)। তার নিজ নামে নগদ টাকা রয়েছে ১২ লাখ ২২ হাজার ১৬৪ টাকা, স্ত্রীর নামে ২২ লাখ ২৫ হাজার ৩৩২ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ২ লাখ ৯ হাজার ৬৯৮ টাকা। বন্ড-ঋণপত্র ও শেয়ারে বিনিয়োগ ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা, পোস্টাল-সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪০ টাকা। তার ৩ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর উপজেলা ও বিজয়নগর) আসনের প্রার্থী মোকতাদির চৌধুরী কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১১ লাখ ২৭ হাজার ৭০০ টাকা, শেয়ার-সঞ্চয়পত্র-ব্যাংক আমানত থেকে ৩ লাখ ৯৪ হাজার, পেশা থেকে ২৫ লাখ ৫০ হাজার, সংসদ সদস্য হিসেবে আনুতোষিক হিসেবে পান ৬ লাখ ৬০ হাজার, মৎস্য চাষ থেকে ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ব্যাংকের সুদ, টকশো, সভা-সেমিনারের সম্মানী এবং কলাম লেখা থেকে আয় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫২০ টাকা, করমুক্ত আয় ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭০ টাকা। তার নিজ নামে নগদ টাকার পরিমাণ ২০ লাখ টাকা। নিজের নামে ৮৮ লাখ ৪৩ হাজার ২৬৬ টাকা দামের গাড়ি, স্ত্রীর নামে ২৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা দামের গাড়ি রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের নগদ রয়েছে ১০ কোটি ৯২ লাখ ৯৪ হাজার ১৯৯ টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা ১৪০৯৩.৫৮ ইউএসডি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৬ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৭ টাকা। ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার রয়েছে। সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৮ টাকার।
৫ কোটি ৪৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ৪টি মোটরগাড়ি ও ১টি মোটরসাইকেল রয়েছে তার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদলের বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে বাৎসরিক আয় ১ লাখ ৮৯ হাজার, শেয়ার-সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানতের সুদ ৪ লাখ ৯ হাজার ৪২৫ টাকা, চাকরি (পরিচালক সম্মানী) ৬০ লাখ টাকা, অন্যান্য ৯ লাখ ১ হাজার ৮৩৫ টাকা। নিজ নামে নগদ ৩ কোটি ৪৭ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৯ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৪১ লাখ ৪৫ হাজার ৩ শ’ টাকা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৬৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮৪ টাকা, স্ত্রীর নামে ৭ লাখ ৩০ হাজার ১৬১ টাকা। ঢাকায় নিকুঞ্জে ৪ কোটি ৬৮ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের জমিসহ ৩ তলা বাড়ি। এ ছাড়া নিজ নামে বনানীতে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা মূল্যের ৩টি অ্যাপার্টমেন্ট এবং স্ত্রীর নামে ১৯ লাখ টাকা মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের প্রার্থী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামের কৃষি খাত থেকে আয় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শেয়ার-সঞ্চয় ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫৭ টাকা। পেশা থেকে আয় ১৬ লাখ ৫০ হাজার। চাকরি থেকে বাৎসরিক আয় ৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
তার নগদ টাকার পরিমাণ ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ৪৪০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ ২৪ লাখ ৭৮ হাজার, বন্ড-ঋণপত্র ও শেয়ারে বিনিয়োগ ৩২ হাজার টাকা। ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের গাড়ি রয়েছে তার। স্বর্ণ আছে ৫০ ভরি। কৃষিজমির পরিমাণ ২৫০ শতাংশ। যা পৈতৃক সূত্রে পেয়েছেন। ঢাকার গুলশানে ৭ কাঠা জমির উপর ৮ তলা বাড়ি। যা একপুত্র ও ২ কন্যাকে হেবাঘোষণা দলিলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন।