বাংলারজমিন
‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হইনি’
স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে
৬ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবারমানিকগঞ্জ-১ আসনের পরপর দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এবার তার পরিবর্তে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালামকে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে সারা দেশে অনেক সংসদ সদস্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নাঈমুর রহমান দুর্জয় সেদিকে পা রাখেননি। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান এবং দলীয় প্রার্থীর যেন কোনো ক্ষতি না হয় এর জন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি। অথচ জেলা, উপজেলা ও তৃণমূল পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, অবহেলিত ও উন্নয়নবঞ্চিত মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে দেশরত্ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পরপর দুইবার দলীয় মনোনয়ন দেন। দুইবারই আমি সরাসরি ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। পদ্মা-যমুনার ভাঙনে বিধ্বস্ত শিবালয়, দৌলতপুর ও ঘিওর উপজেলায় এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে আমার দুই মেয়াদে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে টানা ১০ বছর মাঠে-ঘাটে কাজ করেছি। এমপি হয়ে কখনোই ঢাকায় বসে থাকিনি। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনদিন এলাকায় গিয়ে মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
দুর্জয় বলেন, নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে যেসব যোগ্যতার কথা বলা হয়েছিল আমার বিশ্বাস তার সবগুলোই আমার মধ্যে ছিল। প্রথম শর্ত ছিল এলাকার নেতাকর্মী ও জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক, দুই. করোনার সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তিন. দলীয় কর্মসূচি পালন ও বয়স বিবেচনা। আমি মনে করি এসবের কোনো কমতি আমার মধ্যে ছিল না। কারণ রাজনৈতিক জীবনে পদার্পণের আগে আমি একজন ক্রিকেটার ছিলাম। ক্রিকেট মাঠে যেমন ভক্তদের মন জয় করেছিলাম তেমনি রাজনৈতিক মাঠে এসেও দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছি। দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকে খেলার মাঠ থেকে রাজনৈতিক মাঠে এনেছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের পরপর দুটি নির্বাচনে আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছিলেন এবং জয়ী হয়ে তার হাতে আসনটি তুলে দিয়েছি। নাঈমুর রহমান দুর্জয় মনে করেন, মাঠপর্যায়ে তার কর্মকাণ্ডের সঠিক তথ্য হয়তো প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছায়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এর প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে তার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেটা ভালো মনে করেছেন, সেটাই করেছেন।
অনেক বর্তমান এমপি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আমাকেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে জেলার নেতাসহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা চাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু মনে করি, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে দলীয় প্রার্থীর ক্ষতি হয়ে যাবে আর প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে অসম্মান করা হবে। যার কারণে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হইনি।
অপেক্ষা করেন, আপনিও এর মুল্যায়ন প্রাপ্ত হবেন