অনলাইন
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ, শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিল চান এ কে আজাদ
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ৪ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৭:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:০১ অপরাহ্ন
দ্বৈত নাগরিক হওয়ায় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের দলীয় মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ (এ কে আজাদ) ও মো. ফারুক হোসেন। তবে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে আবেদনকারী দুই প্রার্থীকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সেইসঙ্গে রিটার্নিং অফিসার শামীম হকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। এদিকে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শামীম হক। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আসনের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, শামীম হক একই সঙ্গে নেদারল্যান্ড ও বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি ডাচ পাসপোর্টধারী ও ভোটার। এমন একজন ব্যক্তি কিভাবে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। জানা গেছে, শামীম হক নেদারল্যান্ডে থাকার সময় দীর্ঘদিন অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এই পদে থাকতে হলে যেকোন ব্যক্তিকে ওই দেশের নাগরিক হতে হয়। প্রবাস রাজনীতিতে দলীয় পদ পদবি পেতে হলে স্বস্ব দেশের ভোটার ও বৈধ নাগরিক হতে হয়।
রিটার্নিং অফিসার বরাবর জমা দেয়া আবেদনে বলা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সংসদীয় ২১৩ ফরিদপুর-৩ আসনে জনাব শামীম হক মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, যিনি একজন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাসপোর্টধারী দ্বৈত নাগরিক, যাহা বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ‘গ’ ধারা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। উক্ত প্রার্থীর দ্বৈত নাগরিকত্ব ত্যাগের প্রমানপত্র দেখাতে না পারলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। চিঠির একটি অনুলিপি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বরাবরও পাঠানো হয়।
সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে হলে আগ্রহী প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া ছাড়াও বয়স ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে। এ ছাড়া অপ্রকৃতিস্থ, দেউলিয়া কিংবা দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। ৬৬ ধারায় আরও উল্লেখ আছে, কোনো ব্যক্তি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করলে ও পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে, বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ করলে; কিংবা অন্য ক্ষেত্রে পুনরায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে তিনি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন বলে গণ্য হবে না।
এ বিষয়ে আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে এখনো হাইকোর্টে কোনো মামলা হয়নি। তবে কেউ দ্বৈত নাগরিক হলে সংবিধান অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।