খেলা
২০১০ ব্যালন ডি’অরের অযোগ্য ছিলেন মেসি!
স্পোর্টস ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৪ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার, ২:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:১০ অপরাহ্ন

২০২৩ সালে রেকর্ড অষ্টম ব্যালন ডি’অর জেতেন লিওনেল মেসি। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো বর্ষসেরার খেতাব জেতা আর্জেন্টাইন সুপারস্টার ২০১০ সালে জেতেন দ্বিতীয় ব্যালন ডি’অর। তবে সেবার নাকি বর্ষসেরা হওয়ার যোগ্য ছিলেন না মেসি। নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্লেমেকার ওয়েসলি স্নাইডারের দাবি, ২০১০ ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবিদার ছিলেন তিনি নিজে।
২০০৯-১০ মৌসুমটা অসাধারণ কেটেছিল ওয়েসলি স্নাইডারের। ইন্টার মিলানের হয়ে সেবার চ্যাম্পিয়নস লীগ, ইতালিয়ান সিরি আ এবং ইতালিয়ান কাপ জিতেছিলেন ডাচ্ তারকা। এছাড়া ২০১০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের রানার্সআপ হওয়ার পেছনেও মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে ২০০৯-১০ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে শুধু লা লিগার শিরোপা জিতেছিলেন লিওনেল মেসি। আর ২০১০ বিশ্বকাপে মেসির আর্জেন্টিনা বিদায় নিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্নাইডার বলেন, ‘‘২০১০ সালে আমি ব্যালন ডি’র না জিতে মেসির জেতাটা ছিল কিছুটা অন্যায্য।’’
দলীয় অর্জনে এগিয়ে থাকলেও ২০০৯-১০ মৌসুমে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে স্নাইডারের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিলেন মেসি। মৌসুমজুড়ে বার্সেলোনার হয়ে ৫৩ ম্যাচে ৪৭ গোলের সঙ্গে ১২টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। বিপরীতে ইন্টার মিলানের হয়ে ৪১ ম্যাচ খেলে ৮ গোল করেছিলেন স্নাইডার। অ্যাসিস্ট ১৫টি। ২০১০ ব্যালন ডি’অর দাবি করলেও সেবার সেরা তিনেই জায়গা হয়নি ওয়েসলি স্নাইডার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছিলেন মেসির ক্লাব সতীর্থ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা এবং জাভি হার্নান্দেজ।
স্নাইডারের ভাষ্য, ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলীয় প্রাপ্তিতেই বেশি খুশি তিনি। নেদারল্যান্ডসের জার্সিতে ১৩৪ ম্যাচে ৩১ গোল করা স্নাইডার বলেন, ‘‘কিন্তু আমি এমন লোক নই যে এ নিয়ে চিৎকার করব। ব্যালন ডি’অর ব্যক্তিগত পুরস্কার। আমি দলীয় ট্রফিতে বিশ্বাসী। আমাকে যদি চ্যাম্পিয়নস লীগ ও ব্যালন ডি’অরের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হয়, আমি চ্যাম্পিয়নস লীগই পছন্দ করব। আমি চ্যাম্পিয়নস লীগের শিরোপা জিততে পেরেই খুশি।’