অনলাইন
নিউ ইয়র্কে ছুরি নিয়ে হামলা, চার জনকে কুপিয়ে খুন করলো দুষ্কৃতী
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ বছর আগে) ৪ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৫০ অপরাহ্ন
নিউ ইয়র্কের কুইন্সে ছুরিকাঘাতে দুই শিশুসহ চারজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। ফার রকওয়ে থেকে পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। যেখানে গিয়ে পুলিশ দুর্গতদের খুঁজে পায় । তাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলো দুষ্কৃতী। পুলিশ অফিসাররা অপরাধীকে থামাতে গেলে দুই পুলিশ অফিসারকে ছুরিকাঘাত করে আততায়ী। পরে একজন অফিসার তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়। হামলায় নিহতরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে। জ্যামাইকা হাসপাতালে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে, পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে তারা ৯১১ তে সাহায্য চেয়ে একটি কল পেয়েছিলো। একজন তরুণী ফোন করে বলেছিলেন যে, তার চাচাতো ভাই তার পরিবারের সদস্যদের একের পর এক হত্যা করছে । ফোন পাবার পর দুই অফিসারকে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় পাঠানো হয়েছিল যেখানে তারা একজন ব্যক্তিকে লাগেজ নিয়ে হাঁটতে দেখেছিল। অফিসাররা ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তির সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে সে একটি ছুরি বের করে একজন অফিসারের ঘাড়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে এবং দ্বিতীয় অফিসারের মাথায় আঘাত হানে। একজন অফিসার তার আগ্নেয়াস্ত্র বের করে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গুলি করতে সক্ষম হন। পরে আরও অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়, তারা বাড়ির সামনে ১১ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। নিউইয়র্ক ফায়ার ডিপার্টমেন্ট ঘটনাস্থলে আসার পরে, বাড়ির ভিতরে আরও তিনজনের মৃতদেহ খুঁজে পায়। যাদের মধ্যে ছিলেন - একটি ১২ বছর বয়সী ছেলে, ৪৪ বছর বয়সী এক নারী এবং ৩০ বছর বয়সী একজন পুরুষ। একাধিক ছুরিকাঘাতে আহত ৬১ বছর বয়সী একজন নারীকে মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সমস্ত নিহতদের ছুরিকাঘাতের ফলে মৃত্যু হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি রান্নাঘরের স্টেক ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে সন্দেহভাজন ব্যক্তি কোর্টনি গর্ডন ( ৩৯), যিনি ব্রঙ্কসে গার্হস্থ্য সহিংসতার জন্য আগে একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। হামলার দিন সে কুইন্সে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ।
সূত্র : বিবিসি
মার্কিন দেশে তিন জন ফিলিস্তিনি ছাত্রকে এক ইসরাইলি সমর্থক গুলি করেছে, বাংলাদেশের মিডিয়া সেই খবরটি চেপে যাচ্ছে।
এই জন্যেই আমেরিকা যাওয়ার আগে ১০০০ বার চিন্তা করা উচিত। নিউ ইয়র্কে গড়ে প্রতি ৬ মাসে ১ জন বাংলাদেশী খুন হয় ।