বাংলারজমিন
নড়াইলে মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলন
নড়াইল প্রতিনিধি
১ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার
নড়াইলে মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে নড়াইল-১ ও নড়াইল-২ আসনে মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। কিন্তু তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে তিনি ও তার অনুগত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মনোকষ্ট পান। এদিকে মনোনয়ন ঘোষণার পরপরই নড়াইল শহরের কুড়িগ্রামে তার বাসভবনের সামনে পটকাবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করেন নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুগত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এমন অভিযোগ এনে বুধবার বিকালে তার শহরের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, নড়াইল-২ আসনে মাশরাফি বিন মুর্তজার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এটা মাননীয় দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত। তাই এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। কিন্তু মনোনয়নপ্রাপ্ত মাশরাফি বিন মুর্র্তজা দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে তথা দলের স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীদের না জানিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুর বাড়ির সামনে দিয়ে মাশরাফীর সমর্থকদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা, বিজয় উল্লাস প্রকাশ ও পটকা ফোটানো খুবই দুঃখজনক।
তিনি ও বর্তমান এমপি মাশরাফিসহ অনেকেই নড়াইল-২ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় কমিটি মাশরাফিকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। মনোনয়ন পাওয়ার পর মাশরাফি ফোন করেছিলেন এটা সত্য। তবে তার উচিত ছিল পরবর্তীতে দলের সবাইকে নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা। তিনি নিজের দীর্ঘ ৪০ বছর রাজনীতির ঘাত-প্রতিঘাতের কথা তুলে ধরে দুঃখের সঙ্গে বলেন, দলের দুঃসময়ে জেল-জুলুম সহ্য করে অর্থ, মেধা, শ্রম ব্যয় করে দলকে এতদূর নিয়ে আসা কম কথা নয়। সেই হিসেবে এমপি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। মনোনয়ন দলের যে কেউ চাইতে পারে। মনোনয়ন চাওয়া তো কোনো অপরাধের না। তাই বলে মনোনয়ন চাওয়ার কারণে তার বাড়ির সামনে গিয়ে পটকা ফোটাতে হবে। তাকে অবমূল্যায়ন করতে হবে। এটা কোন ধরনের রাজনৈতিক শিষ্টাচার? মনোনয়ন পেয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের এভাবে অবমূল্যায়ন করা দলের জন্য মঙ্গল নয়। তাই এসব বিষয়ে দলীয় হাইকমান্ডকে জানানো হবে। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন কি-না এ প্রশ্নে তিনি বলেন, দলের বাইরে আমি নই। দলের জন্য দলীয় প্রার্থীর জন্য কাজ করতে চাই। কিন্তু তিনি তো আমিসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের এড়িয়ে চলছেন এবং অবমূল্যায়ন করছেন। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন কি-না? এ প্রশ্নে বলেন, দলের বিরুদ্ধে বা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি কোনোদিন অবস্থান নেননি, ভবিষ্যতেও নেবেন না। কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন কি-না? এমন প্রশ্নে বলেন, ১৭ই ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন দলীয় নির্দেশনা ও বাস্তবায়ন পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবো।