ঢাকা, ৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

অনলাইন

বাংলাদেশকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি: বাণিজ্য সচিব

স্টাফ রিপোর্টার

(১ বছর আগে) ৩০ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২:৫১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, আমেরিকা থেকে যে চিঠি দেয়া হয়েছে নির্বাচনের সঙ্গে এই চিঠির সম্পর্ক নেই। এ চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো চাপ অনুভব করছে না। আমরা প্রতিনিয়ত এসব নিয়ে কাজ করছি। সামনে দেশের শ্রমিকদের অধিকার কীভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেদিকে জোর দিচ্ছি। বাংলাদেশকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো কিছুই দেখি না। বাংলাদেশে সে পরিস্থিতিও নেই। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সবকিছু হয়।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

সচিব বলেন, ওয়াশিংটন থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কিছু অবজারভেশনের কথা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আইএলও-এর বাংলাদেশের শ্রম আইন নিয়ে কিছু কথা আছে। আমরা সেটা উন্নত করার চেষ্টা করছি। আমি মনে করি এ চিঠি নতুন কিছু না। মার্কিন এ নীতি সব দেশের জন্যই। বাণিজ্য সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যা করার করতে হবে। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনও সুযোগ পাই না। ফলে নতুন মার্কিন শ্রম নীতি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে দেশটির উদ্বেগের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, ইউএস শ্রম নীতি গ্লোবাল ইস্যু। যারা ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে কাজ করেন, তাদের বিরুদ্ধে যেন কোনও পদক্ষেপ নেয়া না হয়, সেই চেষ্টা থাকতে হবে। এটা আসলে চলমান প্রক্রিয়া।

বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ক্ষমতায়ন, অধিকার ও হাই-লেবার স্ট্যান্ডার্ড উন্নয়ন ইস্যুতে গত ১৬ নভেম্বর প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিনকেন। উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যারা ইউনিয়ন নেতা, শ্রমিক অধিকার রক্ষাকারী এবং শ্রমিক সংগঠনকে আক্রমণ করে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য বিষয়ক জরিমানা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ইতিমধ্যে শ্রমমান ও শ্রমিক অধিকার বিষয়ে মার্কিন নতুন নীতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস। তারা বলছে, দেশের রাজনৈতিক ইস্যু ঘিরে এটি ব্যবহার করা হতে পারে পোশাক খাতে। ওই চিঠিতে বলা হয়, শ্রম পরিবেশ আর শ্রমিক অধিকার রক্ষার ইস্যু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। কাজেই অবহেলা না করে গুরুত্ব দিতে হবে এই বিষয়ে। যদিও নীতিটি সর্বজনীন। তবে শঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশকে লক্ষ্য বানানোর।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

নবীজীর সাহাবীদের নিয়ে কটূক্তি/ মৌলভীবাজারে নারী আইনজীবী আটক

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status