ঢাকা, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১ রজব ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, অশ্লীল ছবি ধারণ

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
৩০ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার

বিয়ের প্রলোভনে সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে কোচিং সেন্টারে ধর্ষণের পর মুঠোফোনে অশ্লীল ছবি ধারণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগের পরও অভিযুক্ত যুবককে এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
নোয়াখালী সদর উপজেলার করমূল্যা বাজার সংলগ্ন ফেমাস কোচিং সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবক আবদুল আল মাহমুদ (১৯) উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামের মাঈন উদ্দিনের ছেলে এবং করমূল্যা নূরুল উলুম ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিমের বড়  ভাই বাদশা আলম।
অভিযোগে তিনি জানান, তার ছোট বোন করমূল্যা নূরুল উলুম ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। মাদ্রাসায় আসা-যাওয়াসহ বিভিন্ন সময়ে তার বোনকে একই মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র আবদুল আল মাহমুদ প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। দীর্ঘ সময়ে আল মাহমুদের এমন নিবেদনে ভিকটিম তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একটা সময় ভিকটিমকে কোরআন শপথের মাধ্যমে বিয়ের আশ্বাস দিলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয় এবং একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
অভিযোগে বাদশা আলম আরও জানান, গত ১৮ই নভেম্বর সকালে অভিযুক্ত আল মাহমুদ ভিকটিমকে তাদের বিয়ের বিষয়ে জরুরি কথা আছে বলে করমূল্যা বাজার সংলগ্ন ফেমাস কোচিং সেন্টারে যেতে বলে। ভিকটিম সেখানে যাওয়ার পর দেখেন সেখানে অভিযুক্ত আল মাহমুদ ছাড়া আর কেউ নেই। পরে ভিকটিম সেখান থেকে চলে আসতে চাইলে আল মাহমুদ তাকে জোরপূর্বক পরপর দুইবার ধর্ষণ করে ভিকটিমের উলঙ্গ অবস্থায় মুঠোফোনে অশ্লীল ছবি ধারণ করে। পরে ভিকটিম প্রেমিক আল মাহমুদকে বিয়ের জন্য ছাপ প্রয়োগ করলে সে ভিকটিমের অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত যুবকের পরিবারে বিচার চেয়েও কোনো সমাধান না পেয়ে সোমবার রাতে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবক আবদুল আল মাহমুদের পিতা মাঈন উদ্দিন বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক থাকায় তারা ছবি তুলেছে। কিন্তু ধর্ষণের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি মানবজমিনকে বলেন, ভিকটিম এবং অভিযুক্ত যুবক একই মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে না করায় থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

Bangladesh Army

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status