খেলা
‘বাংলাদেশে টেস্ট খেলা সবসময় কঠিন’
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৮ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়েই ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে প্রবেশ করতে যাচ্ছে দুই দল। তবে চক্রের শুরুতে পূর্ণ শক্তির দল পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তামিম ইকবালকে ছাড়াই এবারের চক্র শুরু করছে দল। এগুলো বিবেচনায় আনলেও নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদির কাছে বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলা সবসময়ই কঠিন।
বিশ্বকাপের আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপ শেষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে সফর পূর্ণ করবে তারা। সিরিজের প্রথম টেস্টের আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আসেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। ২০১৯-২১, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় নিউজিল্যান্ড। তবে গত আসরটা ভালো কাটেনি তাদের। ১৩ ম্যাচে মাত্র ৪ জয় নিয়ে ৬ নম্বরে থেকে আসর শেষ করে দলটি। ফলে এবার সেগুলো মাথায় থাকছে সাউদির। তবে তিনি ভালো করে জানেন নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশ বেশ ভালো খেলে।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সাউদি বলেন, ‘নতুন চক্র শুরু হওয়াটা রোমাঞ্চকর। এই জায়গা টেস্ট খেলার জন্য কঠিন। বাংলাদেশ এ ধরনের কন্ডিশনে ভালো খেলে। এ বছরের শুরুতে আমরা টেস্ট খেলেছিলাম। গত চক্রটা আমাদের জন্য পরিকল্পনা মতো কাটেনি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে যুক্ত ছেলেরা জানে এটা কতো স্পেশাল।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে দেড় মাসের বিশ্বকাপ। এরপর আবার আজ থেকে টেস্ট সিরিজ। ফলে টানা ব্যস্ত সময় পার করছে নিউজিল্যান্ড। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের জন্য এটি স্বাভাবিক বিষয় বলে মনে করছেন সাউদি।
তিনি বলেন, ‘এটি খুব ব্যস্ত সময়। বিশ্বকাপের আগেও আমরা বাংলাদেশ, ইংল্যান্ডে খেলেছি। কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের জন্য এটি স্বাভাবিক বিষয়। তিন সংস্করণে খেলা যে কোনো ক্রিকেটারকে এটি মেনে নিতে হবে, এখন ব্যস্ত সময়। আমরা সৌভাগ্যবান যে, ফাঁকে ফাঁকে বিরতিতে নিজেদের সতেজ করতে পেরেছি।’
সাউদি বলেন, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্র শুরু, এটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। ছেলেদের জন্য বাইরে থাকা লম্বা সময় এটি। তবে আর দুই সপ্তাহ এগিয়ে যেতে হবে। এরপর আমরা আমাদের গ্রীষ্মে নিজেদের কন্ডিশনে খেলার জন্য নিউ জিল্যান্ডে ফিরব।’
এই টেস্টের আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে সাকিব আর লিটনের না থাকা নিয়ে। সাকিব চোটের কারণে নেই আর লিটন সময় দিচ্ছেন সদ্যজাত সন্তানকে। এর আগে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ বলেছিলেন এরা না থাকা তাদের জন্য ভালো। সাউদিও সেটা অস্বীকার করলেন না।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সবশেষ সিরিজে সেঞ্চুরি রয়েছে সাকিব ও লিটনের। দুটি সিরিজই হয়েছে কিউইদের মাটিতে। যদিও সাকিব নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন সেই ২০১৭ সালে। ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি করেছেন নিজের ক্যারিয়ার সেরা ২১৭ রান। গত বছরের জানুয়ারিতে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ১০২ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। এর আগে একই সফরে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে এক ইনিংস ব্যাটিং করা লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৮৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। সবমিলিয়ে ক্রিকেটারের অভাব বাংলাদেশ টের পাবে বলে মনে করেন সাউদি।
কিউইদের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের গ্রেট ক্রিকেটার সাকিব। লিটন দাস খুবই মানসম্পন্ন ক্রিকেটার। সে আমাদের বিপক্ষে অতীতে ভালো করেছে। আমার মনে হয়, এই দুজন না থাকার অভাব অনুভব করবে তারা (বাংলাদেশ)। তবে একইসঙ্গে তাদের জায়গায় যারা খেলবে তাদের সামনে এগিয়ে আসার এটিই সুযোগ।’