খেলা
নিলামে উঠছে মেসির জার্সি, বিক্রি হবে রেকর্ডমূল্যে!
স্পোর্টস ডেস্ক
(১০ মাস আগে) ২১ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১২:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
কাতারে রূপকথা রচনা করেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় বিশ্বকাপ উপহার দেন এই কিংবদন্তি। অমরত্ব অর্জনের আসরে মেসির পরা ৬টি জার্সি নিলামে উঠছে। খবরটি নিশ্চিত করেছে নিউইয়র্কের ব্রোকার হাউস সোথেবি। সংস্থাটি জানিয়েছে, নিলামে মেসির জার্সি অনুমেয় দামে বিক্রি হলে বিশ্ব রেকর্ড হবে।
গত ডিসেম্বরে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। আসরে ৭ গোল করে ‘ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট’ হন লিওনেল মেসি, জেতেন গোল্ডেন বল। গ্রুপ পর্বে সৌদি আরব, মেক্সিকো, দ্বিতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস, সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া এবং ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে যে জার্সিগুলো পরেছিলেন মেসি- সেই ছয়টি জার্সিই এবার নিলামে তোলা হচ্ছে। সবমিলিয়ে মেসির জার্সিগুলোর দাম আনুমানিক এক কোটি ডলার আশা করা হচ্ছে।
সোথেবি জানিয়েছে, দাম এক কোটি ডলার পেরিয়ে গেলে খেলাধুলার স্মারক নিলামে তোলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির রেকর্ড হবে। কোনো খেলোয়াড়ের জার্সি নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির রেকর্ডটি বাস্কেটবল লেজেন্ড মাইকেল জর্ডানের। ১৯৯৮ সালে শিকাগো বুলসের হয়ে এনবিএ’র চূড়ান্ত পর্যায়ে জর্ডান যে জার্সি পরেছিলেন, গত বছর সেটি এক কোটি এক লাখ ডলারে বিক্রি হয়।
ফুটবলারদের জার্সির মধ্যে নিলামে সবচেয়ে বেশি অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়েছিল প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের জার্সি। আর্জেন্টাইন গ্রেট ‘হ্যান্ড অব গড’খ্যাত গোলের জন্য বিখ্যাত ম্যাচটিতে তার পরিহিত জার্সি ৭১ লাখ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ, মেসির জার্সি নিলামে তোলার ঘোষণায় হুমকির মুখে পড়েছে ম্যারাডোনার জার্সি নিলামের রেকর্ডমূল্যটিও।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো খেলাধুলার স্মারকের প্রতি ঝুঁকছে। এটাকে বেশ দ্রুতবর্ধনশীল বাজার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। মেসির বিশ্বকাপের জার্সিগুলো নিলামে তোলার ব্যবস্থা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান এসি মোমেন্টো। আগামী ৩০শে নভেম্বর থেকে ১৪ই ডিসেম্বরের মধ্যে বিডিং চলাকালীন ব্রোকার হাউস সোথেবির নিউইয়র্ক সদর দফরে মেসির জার্সিগুলো বিনামূল্যে জনসাধারণের দেখার জন্য প্রদর্শন করা হবে।
সোথেবি জানিয়েছে, নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি অংশ ইউনিকাস প্রকল্পে দান করা হবে। এই প্রকল্প লিও মেসি ফাউন্ডেশনের অধীনে বার্সেলোনার শিশু হাসপাতালে একটি উদ্যোগ, যা বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করে।